বিষয়: রবীন্দ্রসঙ্গীত।
গান সংখ্যা :
শিরোনাম:
আকাশতলে দলে দলে
মেঘ যে ডেকে যায়
পাঠ ও পাঠভেদ:
আকাশতলে দলে দলে মেঘ যে ডেকে যায়
‘আয় আয় আয় আয়’॥
জামের বনে আমের বনে রব উঠেছে তাই-
‘যাই যাই যাই’।
উড়ে যাওয়ার সাধ জাগে তার পুলক-ভরা ডালে
পাতায় পাতায়॥
নদীর ধারে বারে বারে মেঘ যে ডেকে যায়-
‘আয় আয় আয়’
কাশের বনে ক্ষণে ক্ষণে রব উঠেছে তাই-
‘যাই যাই যাই’।
মেঘের গানে তরীগুলি তান মিলিয়ে চলে
পাল-তোলা পাখায়॥
পাণ্ডুলিপির পাঠ: Ms.464।
তথ্যানুসন্ধান
ক.
রচনাকাল ও স্থান:
১৯২৩
খ্রিষ্টাব্দের ২৬ এপ্রিল, রবীন্দ্রনাথ শিলঙ্ যাত্রা করেন। দুই মাস শিলঙে কাটিয়ে
তিনি জুন মাসের মাঝামঝি সময়ে কলকাতায় ফিরে আসেন। জুলাই মাসের শুরুতে তিনি
শান্তিনিকেতন আসেন। শান্তিনিকেতন থেকে তিনি কলকাতায় আসেন আগষ্ট মাসের শেষের
দিকে। শান্তিনিকেতনে থাকাকালে তিনি মোট ১০টি গান রচনা করেন। গানগুলো
পাওয়া যায়,
রবীন্দ্রনাথের
পাণ্ডুলিপি
RBVBMS 464
-তে। এই গানটি রচিত হয়েছিল
২৪ আষাঢ় থেকে ২৬ শে আষাঢ়ের ভিতরে
গানগুলো শান্তিনিকেতনে রচিত হয়েছিল। স্বরবিতান ত্রিংশ খণ্ডে
গানটির তারিখ উল্লেখ আছে '২৪শে
আষাঢ়/১৩৩০
বঙ্গাব্দ'।
এই সময় রবীন্দ্রনাথের
বয়স ছিল ৬২ বৎসর
২ মাস ।
[রবীন্দ্রনাথের ৬২ বৎসর বয়সে রচিত গানের তালিকা]
খ. প্রকাশ ও গ্রন্থভুক্তি:
গ্রন্থ:
তৃতীয় খণ্ড, প্রথম সংস্করণ (বিশ্বভারতী ১৩৩৯)
দ্বিতীয় খণ্ড দ্বিতীয় সংস্করণ (বিশ্বভারতী ১৩৪৮)
অখণ্ড সংস্করণ, তৃতীয় সংস্করণ (বিশ্বভারতী ১৩৮০)। প্রকৃতি (উপ-বিভাগ : বর্ষা-১৫) পর্যায়ের ৪০ সংখ্যক গান।
গীতমালিকা প্রথম খণ্ড
(১৩৩৩ বঙ্গাব্দ)। অনাদিকুমার
দস্তিদারকৃত স্বরলিপিসহ মুদ্রিত।
প্রবাহিনী (বিশ্বভারতী ১৩৩২ বঙ্গাব্দ)। ঋতু-চক্র ১২। পৃষ্ঠা: ১৩৩। [নমুনা]
স্বরবিতান ত্রিংশ (৩০, গীতমালিকা প্রথম খণ্ড) খণ্ডের (চৈত্র ১৪১৪বঙ্গাব্দ)২৫ সংখ্যক গান। পৃষ্ঠা ৮৪-৮৬ ।
পত্রিকা:
প্রবাসী (কার্তিক ১৩৩০ বঙ্গাব্দ)।
প্রাচী (ভাদ্র ১৩৩০ বঙ্গাব্দ)।
শান্তিনিকেতন পত্রিকা (আশ্বিন ১৩৩০ বঙ্গাব্দ)।
গ. সঙ্গীত বিষয়ক তথ্যাবলী:
স্বরলিপি:
স্বরলিপিকার: অনাদিকুমার
দস্তিদার
[অনাদিকুমার
দস্তিদারকৃত স্বরলিপির তালিকা]
সুর ও তাল:
স্বরবিতান
ত্রিংশ
(৩০, গীতমালিকা প্রথম
খণ্ড) খণ্ডে (১৩৩৩ বঙ্গাব্দ) গৃহীত
স্বরলিপিতে রাগ-তালের উল্লেখ নেই।
উক্ত স্বরলিপিটি ৩।৩
মাত্রা ছন্দে
দাদরা
তালে
নিবদ্ধ।
[ দাদরা নিবদ্ধ
রবীন্দ্রসঙ্গীতের তালিকা]
[কেদারা রাগে নিবদ্ধ গানের তালিকা]
গ্রহস্বর: সা।
লয়: মধ্য।