• গীতবিতান অখণ্ড (বিশ্বভারতী, কার্তিক ১৪১২ )-এর পাঠ: প্রকৃতি (উপ-বিভাগ : বর্ষা-১৯) পর্যায়ের ৪৪ সংখ্যক গান।

এই শ্রাবণ-বেলা বাদল-ঝরা যূথীবনের গন্ধে ভরা॥
কোন্ ভোলা দিনের বিরহিণী,  যেন তারে চিনি চিনি-
ঘন বনের কোণে কোণে ফেরে ছায়ার-ঘোমটা-পরা॥
কেন বিজন বাটের পানে তাকিয়ে আছি কে তা জানে।
হঠাৎ কখন অজানা সে আসবে আমার দ্বারের পাশে,
বাদল-সাঁঝের আঁধার-মাঝে গান গাবে প্রাণ-পাগল-করা॥

• পাণ্ডুলিপির পাঠ: RBVBMS 464   [নমুনা]
• তথ্যানুসন্ধান
  • ক. রচনাকাল ও স্থান: গানটি রচনার কোনো সুনির্দিষ্ট সময় পাওয়া যায় না। ১৯২৩ খ্রিষ্টাব্দের ২৬ এপ্রিল (বৈশাখ ১৩৩০ বঙ্গাব্দ) রবীন্দ্রনাথ শিলঙ যাত্রা করেন। দুই মাস শিলঙে কাটিয়ে তিনি জুন মাসের মাঝামঝি সময়ে কলকাতায় ফিরে আসেন। জুলাই মাসের শুরুতে তিনি শান্তিনিকেতন আসেন। শান্তিনিকেতন থেকে তিনি কলকাতায় আসেন আগষ্ট মাসের শেষের দিকে। শান্তিনিকেতনে থাকাকালে তিনি এই গানটি-সহ মোট ১০টি গান রচনা করেন। এর ভিতরে তিনটি গানের তারিখ পাওয়া যায়। ধারণা করা হয় অবশিষ্ট গান রচনা করেছিলেন ২৪ আষাঢ় থেকে ১৩৩০ বঙ্গাব্দের ২৬ শে আষাঢ়ের ভিতরে শান্তিনিকেতনে রচিত হয়েছিল। এই সময় রবীন্দ্রনাথের বয়স ছিল ৬২ বৎসর ৩ মাস ।
              [রবীন্দ্রনাথের ৬২ বৎসর বয়সে রচিত গানের তালিকা]
  • খ.প্রকাশ ও গ্রন্থভুক্তি:
    • গ্রন্থ:
      • গীতবিতান
        • তৃতীয় খণ্ড, প্রথম সংস্করণ (বিশ্বভারতী ১৩৩৯)
        • দ্বিতীয় খণ্ড, দ্বিতীয় সংস্করণ (বিশ্বভারতী ১৩৪৮)
        • অখণ্ড সংস্করণ, তৃতীয় সংস্করণ (বিশ্বভারতী ১৩৮০)। প্রকৃতি (উপ-বিভাগ : বর্ষা-১৯) পর্যায়ের ৪৪ সংখ্যক গান।
      • গীতমালিকা প্রথম খণ্ড (১৩৩৩ বঙ্গাব্দ) । অনাদিকুমার দস্তিদারকৃত স্বরলিপিসহ মুদ্রিত।
      • প্রবাহিনী  (বিশ্বভারতী ১৩৩২)। ঋতুচক্র ৩১। পৃষ্ঠা: ১৪৪-১৪৫। [নমুনা: প্রথমাংশ, শেষাংশ]
      • স্বরবিতান ত্রিংশ (৩০, গীতমালিকা প্রথম খণ্ড) খণ্ডের (চৈত্র ১৪১৪বঙ্গাব্দ) ১২ সংখ্যক গান। পৃষ্ঠা ৪২-৪৩। [নমুনা]
    • পত্রিকা:
      • শান্তিনিকেতন পত্রিকা  (অগ্রহায়ণ ১৩৩০ বঙ্গাব্দ)।
  • গ.সঙ্গীত বিষয়ক তথ্যাবলী:
    • স্বরলিপি: [নমুনা] [স্বরবিতান ত্রিংশ (৩০, গীতমালিকা প্রথম খণ্ড) খণ্ডের (চৈত্র ১৪১৪বঙ্গাব্দ)]
    • স্বরলিপিকার: অনাদিকুমার দস্তিদার
                     [অনাদিকুমার দস্তিদারকৃত স্বরলিপির তালিকা ]
    • সুর ও তাল:
      • স্বরবিতান ত্রিংশ (৩০, গীতমালিকা প্রথম খণ্ড) খণ্ডে (১৩৩৩ বঙ্গাব্দ) গৃহীত স্বরলিপিতে রাগ-তালের উল্লেখ নেই। উক্ত স্বরলিপিটি ৩।৩ মাত্রা ছন্দে  দাদরা  তালে নিবদ্ধ।
      • রাগ: দেশ। তাল:  দাদরা। [রবীন্দ্রসংগীত: রাগ-সুর নির্দেশিকা। সুধীর চন্দ। প্যাপিরাস, ডিসেম্বর ২০০৬। পৃষ্ঠা: ৩৬]
      • রাগ: বিভাস (বাংলা)। তাল: দাদরা [রাগরাগিণীর এলাকায় রবীন্দ্রসংগীত। প্রফুল্লকুমার চক্রবর্তী। পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সংগীত আকাদেমি, জুলাই ২০০১। পৃষ্ঠা: ৬৮।]
    • গ্রহস্বর: সা। 
    • লয়: মধ্য।