শ্যামল শোভন শ্রাবণ, তুমি নাই বা গেলে
সজল বিলোল আঁচল মেলে॥
পুব হাওয়া কয়, ‘ওর যে সময় গেল চলে।’
শরৎ বলে, ‘ভয় কী সময় গেল ব’লে,
বিনা কাজে আকাশ-মাঝে কাটবে বেলা অসময়ের খেলা-খেলে।’
কালো মেঘের আর কি আছে দিন।
ও যে হল সাথিহীন।
পুব-হাওয়া কয়, ‘কালোর এবার যাওয়াই ভালো।’
শরৎ বলে, ‘মিলবে যুগল কালোয় আলো,
সাজবে বাদল সোনার সাজে আকাশ-মাঝে কালিমা ওর ঘুচিয়ে ফেলে।’॥
পাঠভেদ: স্বরবিতান একত্রিংশ খন্ডের পাঠভেদ অংশে একটি পাঠভেদ দেয়া আছে; যা নিম্নরূপ-
শ্যামল শোভন শ্রাবণ, তুমি নাই বা গেলে
শ্যামল শোভন
শ্রাবণ, তুমি :
স্বরলিপি,
গীত-মালিকা
২ (পৌষ
১৩৩৬ বঙ্গাব্দ)
শ্যামল শোভন শ্রাবণ-ছায়া : কথার অংশ ,গীতমালিকা
২
(পৌষ ১৩৩৬ বঙ্গাব্দ)
গীতবিতান
৩ (শ্রাবণ ১৩৩৯ বঙ্গাব্দ)।
তথ্যানুসন্ধান
ক. রচনাকাল ও স্থান:
গানটির সুনির্দিষ্ট রচনাকালের সন্ধান পাওয়া যায় নাই। ধারণা করা হয়, 'শেষ
বর্ষণ' নাটকটি রচনার সময় এই গানটি রচিত হয়েছিল। এই নাটকটি মঞ্চস্থ হয় ১৩৩২
বঙ্গাব্দের ভাদ্র মাসে। এই সময় রবীন্দ্রনাথের বয়স ছিল ৬৪ বৎসর ৩-৪ মাস।
[৬৪
বৎসর অতিক্রান্ত বয়সে রবীন্দ্রসঙ্গীতের তালিকা]
খ. প্রকাশ ও গ্রন্থভুক্তি:
গ্রন্থ:
ঋতু-উৎসব [বিশ্বভারতী। ১৩৩৩ বঙ্গাব্দ। শেষ বর্ষণ। নটরাজের গান। পৃষ্ঠা ১৯-২০] [নমুনা প্রথমাংশ, শেষাংশ]
শেষ বর্ষণ (৩০ ভাদ্র ১৩৩২ বঙ্গাব্দ) অনুষ্ঠান উপলক্ষে প্রকাশিত পুস্তিকায় মুদ্রিত গান।
ঋতুউৎসব, শেষ বর্ষণ (১৩৩৩ বঙ্গাব্দ) গ্রন্থাকারে প্রকাশিত।
গীতমালিকা দ্বিতীয় খণ্ড (পৌষ ১৩৩৬ বঙ্গাব্দ)। দিনেন্দ্রনাথ ঠাকুর-কৃত স্বরলিপি-সহ মুদ্রিত।
স্বরবিতান একত্রিংশ (৩১, গীতমালিকা দ্বিতীয় খণ্ড) খণ্ডের (পৌষ ১৪১২ বঙ্গাব্দ), গান সংখ্যা: ৩৫, পৃষ্ঠা ১১৯-১২১।
পত্রিকা:
সবুজপত্র (কার্তিক ১৩৩২ বঙ্গাব্দ)।
রেকর্ডসূত্র:
প্রকাশের
কালানুক্রম:
গ. সঙ্গীতবিষয়ক তথ্যাবলি:
স্বরলিপি: [স্বরলিপি]
স্বরলিপিকার: দিনেন্দ্রনাথ ঠাকুর।
সুর ও তাল:
স্বরবিতান একত্রিংশ (৩১, গীতমালিকা দ্বিতীয় খণ্ড) খণ্ডে (পৌষ ১৪১২ বঙ্গাব্দ) গৃহীত গানটির স্বরলিপিতে রাগ-তালের উল্লেখ নেই। উক্ত স্বরলিপিটি ৩।৩ মাত্রা ছন্দে 'দাদরা' তালে নিবদ্ধ।
রাগ : হাম্বীর-কেদারা। তাল : দাদরা। [রবীন্দ্রসংগীত: রাগ-সুর নির্দেশিকা, সুধীর চন্দ, প্যাপিরাস, ডিসেম্বর ২০০৬], পৃষ্ঠা: ৭৯।
রাগ: কেদারা। তাল: দাদরা। [রাগরাগিণীর এলাকায় রবীন্দ্রসংগীত, প্রফুল্লকুমার চক্রবর্তী, পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সংগীত আকাদেমি, জুলাই ২০০১], পৃষ্ঠা: ১৩৭।
বিষয়াঙ্গ:
সুরাঙ্গ:
গ্রহস্বর: পা।
লয়: মধ্য।