বিষয়: রবীন্দ্রসঙ্গীত। 
গান সংখ্যা: ৫৭ 
শিরোনাম:  তোমারি মধুর রূপে ভরেছ ভুবন
পাঠ ও পাঠভেদ:
দিবানিশি করিয়া যতন
হৃদয়েতে রচেছি আসন-
জগতপতি হে, কৃপা করি হেথা কি করিবে আগমন॥
অতিশয় বিজন এ ঠাঁই, কোলাহল কিছু হেথা নাই-
হৃদয়ের নিভৃত নিলয় করেছি যতনে প্রক্ষালন।
বাহিরের দীপ রবি তারা ঢালে না সেথায় করধারা-
তুমিই করিবে শুধু দেব, সেথায় কিরণবরিষণ।
দূরে বাসনা চপল, দূরে প্রমোদ-কোলাহল-
বিষয়ের মান-অভিমান করেছে সুদূরে পলায়ন।
কেবল আনন্দ বসি সেথা, মুখে নাই একটিও কথা-
তোমারি সে পুরোহিত, প্রভু, করিবে তোমারি আরাধন
নীরবে বসিয়া অবিরল চরণে দিবে সে অশ্রুজল,
দুয়ারে জাগিয়া রবে একা মুদিয়া সজল দু’নয়ন॥
পাণ্ডুলিপির পাঠ: পাণ্ডুলিপিতে গানটি পাওয়া যায় নি।
তথ্যানুসন্ধান
	ক. রচনাকাল ও স্থান: 
	
	রচনাকাল 
		সম্পর্কে সুনির্দিষ্ট তথ্য পাওয়া যায় না। ধারণা করা হয়, ১১ মাঘ ১২৮৭ 
		বঙ্গাব্দ [রবিবার ২৩ জানুয়ারি ১৮৮১ খ্রিষ্টাব্দ] তারিখে অনুষ্ঠিত একপঞ্চাশৎ 
		(৫১) মাঘোৎসব উপলক্ষে রবীন্দ্রনাথ এই গানটি রচনা করেছিলেন। এই বিচারে ধারণা 
		করা হয়- গানটি  রবীন্দ্রনাথের ১৯ বৎসর বয়সের রচনা।
 
খ. প্রকাশ ও গ্রন্থভুক্তি:
গ্রন্থ:
কাব্য-গ্রন্থ , অষ্টমভাগ ( মজুমদার লাইব্রেরি। ১৩১০ বঙ্গাব্দ), ব্রহ্মসঙ্গীত।
কাব্যগ্রন্থাবলী [আদি ব্রাহ্মসমাজ প্রেস, ১৩০৩। ব্রহ্মসঙ্গীত। রাগিণী ধুন্- তাল কাওয়ালি। পৃষ্ঠা: ৪৪৮] [নমুনা]
			
			গান 
				সিটি বুক সোসাইটি, ১৩১৫ 
		বঙ্গাব্দ।
				ব্রহ্মসঙ্গীত। 
				 
				ইন্ডিয়ান 
			প্রেস 
				(১৯০৯ খ্রিষ্টাব্দ, ১৩১৬ 
		বঙ্গাব্দ)।
			ব্রহ্মসঙ্গীত। রাগিণী 
				ধুন, তাল কাওয়ালি। পৃষ্ঠা: ২৮৯। [নমুনা:
				২৮৯]
				
গানের বহি ও বাল্মীকি প্রতিভা (১৩০০ বঙ্গাব্দ)।
স্বরবিতান পঞ্চচত্বারিংশ (৪৫) খণ্ডের ২০ সংখ্যক গান। পৃষ্ঠা : ৪৬-৪৮।
পত্রিকা:
তত্ত্ববোধিনী (ফাল্গুন ১২৮৭ বঙ্গাব্দ)। ধুন-কাওয়ালি। পৃষ্ঠা: ২১২। [নমুনা]
পরিবেশনা: এই গানটি ১১ মাঘ ১২৮৭ বঙ্গাব্দ [রবিবার ২৩ জানুয়ারি ১৮৮১ খ্রিষ্টাব্দ] তারিখে অনুষ্ঠিত একপঞ্চাশৎ (৫১) মাঘোৎসবের সায়ংকালীন অধিবেশনে গীত হয়েছিল।