বিষয়: রবীন্দ্রসঙ্গীত।
গান সংখ্যা:
শিরোনাম: কোথা আছ, প্রভু, এসেছি দীনহীন,
পাঠ ও পাঠভেদ:
- গীতবিতান (বিশ্বভারতী, কার্তিক
১৪১২)-এর পাঠ: পূজা
ও প্রার্থনা :
৬
কোথা আছ, প্রভু, এসেছি দীনহীন,
আলয় নাহি মোর অসীম সংসারে!
অতি দূরে দূরে ভ্রমিছি আমি হে ‘প্রভু প্রভু’ ব'লে ডাকি কাতরে॥
সাড়া কি দিবে না। দীনে কি চাবে না। রাখিবে ফেলিয়ে অকূল আঁধারে?
পথ যে জানি নে, রজনী আসিছে, একেলা আমি যে এ বনমাঝারে॥
জগতজননী, লহো লহো কোলে, বিরাম মাগিছে শ্রান্ত শিশু এ।
পিয়াও অমৃত, তৃষিত সে অতি– জুড়াও তাহারে স্নেহ বরষিয়ে॥
ত্যজি সে তোমারে গেছিল চলিয়ে, কাঁদিছে আজিকে পথ হারাইয়ে–
আর সে যাবে না, রহিবে সাথ-সাথ, ধরিয়ে তব হাত ভ্রমিবে নির্ভয়ে॥
এসো তবে, প্রভু, স্নেহনয়নে এ- মুখ-পানে চাও– ঘুচিবে যাতনা,
পাইব নব বল, মুছিব অশ্রুজল, চরণ ধরিয়ে পূরিবে কামনা॥
পাণ্ডুলিপির
পাঠ: রবীন্দ্রনাথের পাণ্ডুলিপি পাওয়া যায়
নি।
-
তথ্যানুসন্ধান
-
ক.
রচনাকাল ও স্থান:
রচনাকাল
সম্পর্কে সুনির্দিষ্ট তথ্য পাওয়া যায় না। ধারণা করা হয়, ১১ মাঘ ১২৮৭
বঙ্গাব্দ [রবিবার ২৩ জানুয়ারি ১৮৮১ খ্রিষ্টাব্দ] তারিখে অনুষ্ঠিত একপঞ্চাশৎ
(৫১) মাঘোৎসব উপলক্ষে রবীন্দ্রনাথ এই গানটি রচনা করেছিলেন। এই বিচারে ধারণা
করা হয়- গানটি রবীন্দ্রনাথের ১৯ বৎসর বয়সের রচনা।
-
খ.
প্রকাশ ও গ্রন্থভুক্তি:
-
গ. সঙ্গীত বিষয়ক তথ্যাবলী:
-
ভাঙা গান:
ইন্দিরাদেবী তাঁর 'রবীন্দ্রসঙ্গীতের ত্রিবেণী
সংগম' গ্রন্থে এই গানটিকে 'গুজরাটি, ভৈরবী। একতালা' উল্লেখ করেছেন। মূলগানের কোনো
চরণ এই গ্রন্থে উল্লেখ নেই।
-
স্বরলিপিকার:
কাঙ্গালীচরণ সেন-কৃত স্বরলিপিটি স্বরবিতান ২৩ খণ্ডের সুরান্তরে দেখানো হয়েছে।
স্বরবিতান ২৩-এ গৃহীত স্বরলিপিটি কার, তার উল্লেখ নেই।
- সুর ও তাল:
রাগ- গুজরাটি
ভজন। তাল-একতাল। [স্বরবিতান-২৩]
- রাগ: পাশ্চাত্য ভাঙা সুর । তাল: একতাল।
[রবীন্দ্রসংগীত: রাগ-সুর নির্দেশিকা। সুধীর চন্দ।
প্যাপিরাস, ডিসেম্বর ২০০৬। পৃষ্ঠা: ৪৭]
- রাগ:
গুজরাটি ভজন। তাল: একতালা। [রাগরাগিণীর এলাকায় রবীন্দ্রসংগীত। প্রফুল্লকুমার চক্রবর্তী।
পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সংগীত আকাদেমি, জুলাই ২০০১। পৃষ্ঠা: ৮৫।]
- বিষয়াঙ্গ: ধ্রুপদাঙ্গ
- সুরাঙ্গ: ভজনাঙ্গ
- গ্রহস্বর: সা ।
- লয়: মধ্যলয়।