সুখের মাঝে তোমায় দেখেছি,
দুঃখে তোমায় পেয়েছি প্রাণ ভ’রে।
হারিয়ে তোমায় গোপন রেখেছি,
পেয়ে আবার হারাই মিলনঘোরে॥
চিরজীবন আমার বীণা-তারে
তোমার আঘাত লাগল বারে বারে,
তাই তো আমার নানা সুরের তানে
প্রাণে তোমার পরশ নিলেম ধ’রে॥
আজ তো আমি ভয় করি নে আর
লীলা যদি ফুরায় হেথাকার।
নূতন আলোয় নূতন অন্ধকারে
লও যদি বা নূতন সিন্ধুপারে
তবু তুমি সেই তো আমার তুমি-
আবার তোমায় চিনব নূতন ক’রে॥
পাণ্ডুলিপির পাঠ: RBVBMS 131 [নমুনা]
পাঠভেদ:
তথ্যানুসন্ধান
		ক. রচনাকাল ও স্থান:   
	
	RBVBMS 
	131-তে
	
		লিখিত এই গানের সাথে গানটির রচনাকাল ও স্থানের উল্লেখ আছে- 
		২৫ 
		আশ্বিন/পাল্কি পথে/বেলা। 
			পান্থ তুমি,পান্থজনের সখা হে [পূজা-৫৬৪] 
[তথ্য] এরপর 
সকাল ৯টার দিকে সতীশচন্দ্র দুটি পাল্কি 
সংগ্রহ করতে সক্ষম হন। এই পাল্কিতে চড়ে রবীন্দ্রনাথ বেলা পাহাড়ের বৌদ্ধ-আমলের গুহা 
দেখতে যান। বেলা ১টার সময় পাহাড়ের পাদদেশে পাল্কি পৌঁছায়। এই সময় খাদ্য-পানীয়ের 
অভাবে ও গরমে রবীন্দ্রনাথ এতটাই ক্লান্ত হয়ে পড়েন যে, শেষ পর্যন্ত গুহা না দেখেই 
ফিরে আসেন। এই আসা-যাওয়ার পথে তিনি পাল্কিতে বসে তিনি এই গানটি রচনা করেছিলেন। এই 
সময় রবীন্দ্রনাথের বয়স ছিল ৫৩ বৎসর ৬ মাস।
		
		উল্লেখ্য, 
		
		১৩২১ বঙ্গাব্দের ২৫শে আশ্বিন [সোমবার,  ১২ অক্টোবর, 
		১৯১৪]
সকালে রেলপথে রবীন্দ্রনাথ বুদ্ধগয়া থেকে 
		
বেলা পাহাড়ের বৌদ্ধ-আমলের 
গুহা দেখতে যান। 
কথা ছিল 
গুহা দেখার জন্য 
এখানে রবীন্দ্রনাথের জন্য পাল্কি থাকবে। কিন্তু রবীন্দ্রনাথ যখন বেলা রেলস্টেশনে 
পৌছালেন, তখনও পাল্কি এসে পৌঁছায় নি। বেলা স্টেশনের ওয়েটিং রুমে রবীন্দ্রনাথ 
লিখলেন, 
		
			
 
	       
[৫৩  বৎসর 
	অতিক্রান্ত বয়সে রবীন্দ্রসঙ্গীতের তালিকা]
			
খ. প্রকাশ ও গ্রন্থভুক্তি:
গ্রন্থ:
অখণ্ড, তৃতীয় সংস্করণ (বিশ্বভারতী, কার্তিক ১৪১২), পর্যায়: পূজা ও প্রার্থনা ৭৪, পৃষ্ঠা: । [নমুনা]
গীতালি (কার্তিক ১৩২১ বঙ্গাব্দ)।
স্বরবিতান চতুশ্চত্বারিংশ (৪৪) খণ্ডের (বিশ্বভারতী, চৈত্র ১৪১৩) ২৬ সংখ্যক গান, পৃষ্ঠা : ৭১-৭৩।
রেকর্ডসূত্র:
			প্রকাশের 
			কালানুক্রম: 
 
গ. সঙ্গীতবিষয়ক তথ্যাবলি:
স্বরলিপি: [স্বরলিপি] পাণ্ডুলিপি হতে স্বরবিতান চতুশ্চত্বারিংশ (৪৪) খণ্ডে সংকলিত।
স্বরলিপিকার: অনাদিকুমার দস্তিদার।
সুর ও তাল:
স্বরবিতান চতুশ্চত্বারিংশ (৪৪) খণ্ডে (বিশ্বভারতী, চৈত্র ১৪১৩) গৃহীত গানটির স্বরলিপিতে রাগ-তালের উল্লেখ নেই। উক্ত স্বরলিপিটি ৩।৩ মাত্রা ছন্দে 'দাদরা' তালে নিবদ্ধ।
রাগ : ছায়ানট-কেদারা। তাল : দাদরা। [রবীন্দ্রসংগীত: রাগ-সুর নির্দেশিকা, সুধীর চন্দ, প্যাপিরাস, ডিসেম্বর ২০০৬], পৃষ্ঠা: ৮২।
রাগ: ছায়ানট। তাল: দাদরা। [রাগরাগিণীর এলাকায় রবীন্দ্রসংগীত, প্রফুল্লকুমার চক্রবর্তী, পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সংগীত আকাদেমি, জুলাই ২০০১], পৃষ্ঠা: ১৪১।
বিষয়াঙ্গ:
সুরাঙ্গ:
গ্রহস্বর: সা।
লয়: