গান সংখ্যা :
শিরোনাম:
বজ্রে তোমার
বাজে বাঁশি,
সেকি সহজ গান
পাঠ ও পাঠভেদ:
বজ্রে তোমার বাজে বাঁশি, সেকি সহজ গান !
সেই সুরেতে জাগব আমি, দাও মোরে সেই কান ॥
আমি ভুলব না আর সহজেতে, সেই প্রাণে মন উঠবে মেতে
মৃত্যু-মাঝে ঢাকা আছে যে অন্তহীন-প্রাণ ॥
সে ঝড় যেন সই আনন্দে চিত্তবীণার তারে
সপ্তসিন্ধু দশদিগন্ত নাচাও যে ঝঙ্কারে।
আরাম হতে ছিন্ন ক'রে সেই গভীরে লও গো মোরে
অশান্তির অন্তরে যেথায় শান্তি সুমহান ॥
পাণ্ডুলিপির পাঠ:
[RBVBMS 357] [নমুনা]
[RBVBMS 478] [নমুনা]
পাণ্ডুলিপির পাঠ:
পাঠভেদ:
ক. রচনাকাল ও স্থান:
রবীন্দ্রনাথের
RBVBMS 357
ও
RBVBMS 478
থেকে গানটির রচনাকাল হিসেবে পাওয়া যায়-২১
জ্যৈষ্ঠ ১৩১৭ বঙ্গাব্দ।
তিনধরিয়া। উল্লেখ্য, ১৩১৭ বঙ্গাব্দ ৪ জ্যৈষ্ঠ তারিখে রবীন্দ্রনাথ
দার্জিলিং জেলার তিনধরিয়া যাত্রা করেন। তিনধরিয়া থাকাকালীন রবীন্দ্রনাথ এই
গানটিসহ মোট
১২টি গান ও কবিতা রচনা করেন। এর ভিতরে ২১ জ্যৈষ্ঠ তিনি এই
গানটি রচনা করেছিলেন।
এই সময় রবীন্দ্রনাথের বয়স ছিল ৪৯ বৎসর ১ মাস।
[৪৯ বৎসর
অতিক্রান্ত বয়সে রবীন্দ্রসঙ্গীতের তালিকা]
খ;. প্রকাশ ও গ্রন্থভুক্তি:
গ্রন্থ:
আত্মপরিচয় (১ বৈশাখ ১৩৫০ বঙ্গাব্দ)। তৃতীয় অধ্যায়। রবীন্দ্ররচনাবলী সপ্তবিংশ খণ্ড (বিশ্বভারতী)। পৃষ্ঠা ২৩০।
অখণ্ড সংস্করণ,তৃতীয় সংস্করণ (বিশ্বভারতী ১৩৮০)। পূজা ২২২, উপ-বিভাগ: দুঃখ-৩০।
রবীন্দ্ররচনাবলী একাদশ খণ্ড (বিশ্বভারতী)। ৭৪ সংখ্যক গান। পৃষ্ঠা ৬০।
স্বরবিতান ত্রয়োদশ (১৩) খণ্ডের ৮ম গান। পৃষ্ঠা ২২-২৩। [নমুনা]
পত্রিকা:
প্রবাসী [ভাদ্র ১৩৩৬]। ১৩৩৬ বঙ্গাব্দের ২৬শে শ্রাবণ শান্তনিকেতনে বর্ষামঙ্গল অভিনীত হয়েছিল। ওই অভিনয়ের লিখিতরূপ প্রকাশিত হয়েছিল। গান সংখ্যা ৯। পৃষ্ঠা ৭৬৬-৭৬৭। [নমুনা]
বিচিত্রা (অগ্রহায়ণ ১৩১৭ বঙ্গাব্দ)। দিনেন্দ্রনাথ ঠাকুর-কৃত স্বরলিপি-সহ মুদ্রিত হয়েছিল।
সবুজপত্র [আশ্বিন-কার্তিক ১৩২৪]। আমার ধর্ম-নামক প্রবন্ধের সাথে মুদ্রিত হয়েছিল। পৃষ্ঠা ৩৯৩] [নমুনা]
রেকর্ডসূত্র:
১৯২৬ থেকে ১৯৩৫ খ্রিষ্টাব্দের ভিতরে হিন্দুস্থান রেকর্ড কোম্পানি এই গানটির একটি রেকর্ড প্রকাশ করেছিল। দ্বৈতকণ্ঠে গানটি ধারণ করা হয়েছিল। শিল্পীদ্বয় ছিলেন অঞ্জনা দাস ও হরিপদ চট্টোপাধ্যায়। রেকর্ড নম্বর
১৯৪০
খ্রিষ্টাব্দে মুক্তিপ্রাপ্ত 'পরাজয়' ছায়াছবিতে গানটি সমবেত কণ্ঠে গীত
হয়েছিল। হিন্দুস্থান রেকর্ড কোম্পানি গানটির রেকর্ড প্রকাশ করেছিল। রেকর্ড
নম্বর
H 802।
প্রকাশের
কালানুক্রম:
১৩১৭ বঙ্গাব্দে
গানটি প্রথম
প্রকাশিত হয়েছিল
গীতাঞ্জলি
র প্রথম
সংস্করণের সাথে।
এরপর যে সকল গ্রন্থাদিতে
গানটি স্থান পেয়েছিল, সেগুলো হলো- বিচিত্রা (অগ্রহায়ণ ১৩১৭ সংখ্যা),
কাব্যগ্রন্থ অষ্টম খণ্ড (১৩২৩
বঙ্গাব্দ)
সবুজপত্র (আশ্বিন-কার্তিক ১৩২৪ সংখ্যা), প্রবাসী (ভাদ্র ১৩৩৬ সংখ্যা)।
এরপর ১৩৩৮ বঙ্গাব্দে গানটি
গীতবিতান
-এর
প্রথম খণ্ড, প্রথম সংস্করণে
অন্তর্ভুক্ত হয়ে প্রকাশিত হয়েছিল। এরপর ১৩৪৮
বঙ্গাব্দের মাঘ মাসে প্রকাশিত
গীতবিতান
-এর
প্রথম খণ্ড, দ্বিতীয় সংস্করণে গানটি অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল পূজা পর্যায়ের
উপবিভাগ দুঃখ
-এর ৩১
সংখ্যক গান হিসেবে। ১৩৭১ বঙ্গাব্দের আশ্বিন
মাসে প্রকাশিত অখণ্ড গীতবিতানের
পূজা
পর্যায়ের ২২২ সংখ্যক গান হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল। গানটি একইভাবে অখণ্ড
গীতাবিতানের তৃতীয় সংস্করণ প্রকাশিত হয়েছিল পৌষ ১৩৮০ বঙ্গাব্দের পৌষ মাসে।
গ. সঙ্গীত বিষয়ক তথ্যাবলী:
স্বরলিপিকার: দিনেন্দ্রনাথ ঠাকুর। [স্বরলিপিটি বিচিত্রা ৮।১৩১৭ থেকে স্বরবিতান-১৩-এ গৃহীত হয়েছে]
সুর ও তাল:
স্বরবিতান-১৩-এ গৃহীত স্বরলিপিতে রাগ-তালের উল্লেখ নেই। উক্ত স্বরলিপিতে ছন্দোবিভাজনে দেখানো হয়েছে, ৪।৪ মাত্রা ছন্দে কাহারবা তালে নিবদ্ধ।
অঙ্গ: বাউল। তাল: কাহারবা। [রবীন্দ্রসংগীত : রাগ-সুর নির্দেশিকা। সুধীর চন্দ। (প্যাপিরাস, ডিসেম্বর, ২০০৬)। পৃষ্ঠা: ৬৭
গ্রহস্বর-ধা।
লয়-দ্রুত।
এক
হাতে ওর কৃপাণ আছে [পূজা-২১১] [তথ্য]