গান সংখ্যা:
আমি যখন তাঁর দুয়ারে ভিক্ষা নিতে
যাই তখন যাহা পাই
সে যে আমি হারাই বারে বারে
॥
তিনি যখন ভিক্ষা নিতে আসেন
আমার দ্বারে
বন্ধ তালা ভেঙে দেখি
আপন-মাঝে গোপন রতনভার,
হারায় না সে আর
॥
প্রভাত আসে তাঁহার কাছে
আলোক ভিক্ষা নিতে,
সে আলো তার লুটায় ধরণীতে।
তিনি যখন সন্ধ্যা-কাছে
দাঁড়ান উর্ধ্বকরে, তখন স্তরে স্তরে
ফুটে ওঠে অন্ধকারের আপন
প্রাণের ধন-
মুকুটে তাঁর পরেন সে রতন ॥
পাণ্ডুলিপির
পাঠ:
খ.
প্রকাশ ও গ্রন্থভুক্তি:
গ্রন্থ
শিরোনাম:
আমি যখন তাঁর দুয়ারে ভিক্ষা নিতে যাই
পাঠ ও পাঠভেদ:
RBVBMS 111 পাণ্ডুলিপিতে এই গানের
তারিখ পাওয়া যায়, '১লা জানুয়ারি ১৯১৮'। এই হিসেবে বাংলা তারিখ হয় ১৭
পৌষ ১৩২৪ বঙ্গাব্দ। এই সময় রবীন্দ্রনাথের
বয়স ছিল ৫৬ বৎসর ৮ মাস।
[৫৬ বৎসর
অতিক্রান্ত বয়সে রবীন্দ্রসঙ্গীতের তালিকা
]
গীতি-বীথিকা (১৩২৬
বঙ্গাব্দ) থেকে গৃহীত হয়েছিল। পৃষ্ঠা ৫৮৩] [নমুনা]
মানসী ও মর্মবাণী পত্রিকা [মাঘ ১৩২৪ বঙ্গাব্দ। শিরোনাম 'ভিক্ষা' প্রথম পৃষ্ঠা। [নমুনা]
গ. সঙ্গীত বিষয়ক তথ্যাবলী:
স্বরলিপিকার:
দিনেন্দ্রনাথ ঠাকুর।
সুর ও তাল:
স্বরবিতান চতুস্ত্রিংশ খণ্ডে (সংস্করণ বৈশাখ ১৩৭৭) গৃহীত গানটির স্বরলিপিতে রাগ-তালের উল্লেখ নেই।
রাগ-বারোয়াঁ। তাল-ঠুংরী। তত্ত্ববোধিনী ১১।১৮৪১ শকাব্দ। উক্ত স্বরলিপিটি ৪।৪ মাত্রা ছন্দে 'কাহারবা' তালে নিবদ্ধ।
রাগ: পিলু। তাল: কাহারবা। [রবীন্দ্রসংগীত: রাগ-সুর নির্দেশিকা। সুধীর চন্দ। প্যাপিরাস, ডিসেম্বর ২০০৬। পৃষ্ঠা: ৩৩]
রাগ: কাফি, খাম্বাজ। তাল: কাহারবা। [রাগরাগিণীর এলাকায় রবীন্দ্রসংগীত, প্রফুল্লকুমার চক্রবর্তী, জুলাই ২০০১। পৃষ্ঠা: ৬২]
গ্রহস্বর: রা।
লয়: মধ্য।