বিষয়:
রবীন্দ্রসঙ্গীত।
গান সংখ্যা:
শিরোনাম:
আলো যে আজ গান করে মোর প্রাণে গো
পাঠ ও পাঠভেদ:
আলো যে আজ গান করে মোর প্রাণে গো।
কে এল মোর অঙ্গনে কে জানে গো ॥
হৃদয় আমার উদাস ক’রে কেড়ে নিল আকাশ মোরে,
বাতাস আমায় আনন্দবাণ হানে গো ॥
দিগন্তের ওই নীল নয়নের ছায়াতে
কুসুম যেন বিকাশে মোর কায়াতে।
মোর হৃদয়ের সুগন্ধ যে বাহির হল কাহার খোঁজে,
সকল জীবন চাহে কাহার পানে গো ॥
পাণ্ডুলিপির পাঠ:
Ms. 357 [পাণ্ডুলিপি]
Ms. 478
পাঠভেদ:
ভাবসন্ধান: যুক্ত হবে।
তথ্যানুসন্ধান
ক. রচনাকাল ও স্থান:
রবীন্দ্রনাথের
পাণ্ডুলিপি
RBVBMS 229-তে
লিখিত এই গানের শেষে সময় ও স্থান লেখা আছে-
'১৪ই আশ্বিন/শান্তিনিকেতন'।
উল্লেখ্য, ১৩২১ বঙ্গাব্দের ভাদ্র মাসে
রবীন্দ্রনাথের বড় ছেলে রথীন্দ্রনাথ ঠাকুর সুরুলের কুঠি বাড়িতে কৃষি-গবেষণার
জন্য বসবাস শুরু করেছিলেন। এই সময় রবীন্দ্রনাথ প্রতিদিনই গরুর গাড়িতে সকাল
বেলায় শান্তিনিকেতন থেকে সুরুল যেতেন এবং বিকেলে ফিরে আসতেন। রবীন্দ্রনাথের
এই যাতায়াত শুরু হয়েছিল ৮ই ভাদ্র থেকে এবং শেষ হয়েছিল
২২শে
আশ্বিন তারিখে রবীন্দ্রনাথ বুদ্ধগয়া যাওয়ার আগের দিন পর্যন্ত।
রবীন্দ্রনাথের এই যাতায়াত
শুরু হয়েছিল ৮ই ভাদ্র থেকে এবং শেষ হয়েছিল
২২শে
আশ্বিন তারিখে রবীন্দ্রনাথ বুদ্ধগয়া যাওয়ার আগের দিন পর্যন্ত।
তাঁর এই আসা-যাওয়ার ভিতরে ২০শে
আশ্বিন পর্যন্ত ৫৭টি গান রচনা করেছিলেন।
এর ভিতরে এই গানটি তিনি
১৪ আশ্বিন [বৃহস্পতিবার, ১ অক্টোবর]
শান্তিনিকেতন-এ রচনা করেছিলেন। এই সময় রবীন্দ্রনাথের বয়স ছিল ৫৩ বৎসর ৫ মাস।
[৫৩ বৎসর
অতিক্রান্ত বয়সে রবীন্দ্রসঙ্গীতের তালিকা]
খ. প্রকাশ ও গ্রন্থভুক্তি:
গ্রন্থ
কাব্যগ্রন্থ নবম খণ্ড [ইন্ডিয়ান প্রেস, ১৩২৩ বঙ্গাব্দ। গীতালি ৫৬। পৃষ্ঠা ৪৮১] [নমুনা]
দ্বিতীয় খণ্ড, প্রথম সংস্করণ (বিশ্বভারতী ১৩৩৮)।
প্রথম খণ্ড, দ্বিতীয় সংস্করণ (বিশ্বভারতী ১৩৪৮)।
অখণ্ড সংস্করণ, তৃতীয় সংস্করণ (বিশ্বভারতী ১৩৮০)। পূজা (উপ-বিভাগ : সুন্দর-৩) পর্যায়ের ৫১৮ সংখ্যক গান।
গীতালি
ইন্ডিয়ান প্রেস ১৩২১ বঙ্গাব্দ।
বিশ্বভারতী ১৩৩
৫৬ সংখ্যক গান। রবীন্দ্ররচনাবলী একাদশ খণ্ড (বিশ্বভারতী)। পৃষ্ঠা ২৫৬-৫৭।
স্বরবিতান চতুশ্চত্বারিংশ (৪৪) খণ্ডের (চৈত্র ১৪১৩) ষষ্ঠ গান। পৃষ্ঠা ১৫-১৬।
গ. সঙ্গীত বিষয়ক তথ্যাবলী:
স্বরলিপিকার: সুধীরচন্দ্র কর। পাণ্ডুলিপি থেকে স্বরবিতান-৪৪’এ গৃহীত হয়েছি।
সুর ও তাল:
স্বরবিতান-৪৪’এ গৃহীত গানটিতে স্বরলিপিতে রাগ-তালের উল্লেখ নেই। উক্ত স্বরলিপিটি ৪।৪ মাত্রাছন্দে কাহারবা তালে নিবদ্ধ।
রাগ: ভৈরব। তাল: কাহারবা। [রবীন্দ্রসংগীত : রাগ-সুর নির্দেশিকা। সুধীর চন্দ। প্যাপিরাস, ডিসেম্বর ২০০৬)। পৃষ্ঠা: ৩৪।]
রাগ: ভৈরব, ভৈরবী। তাল: কাহারবা [রাগরাগিণীর এলাকায় রবীন্দ্রসংগীত, প্রফুল্লকুমার চক্রবর্তী, পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সংগীত আকাদেমী, জুলাই ২০০১। পৃষ্ঠা: ৬৪।]
গ্রহস্বর: সা।
লয়: মধ্য।