বিষয়: 
রবীন্দ্রসঙ্গীত। 
গান সংখ্যা:
শিরোনাম: 
পুষ্প দিয়ে মারো যারে চিনল না সে মরণকে।
পাঠ ও পাঠভেদ:
পুষ্প দিয়ে মারো যারে চিনল না সে মরণকে।
বাণ খেয়ে যে পড়ে সে যে ধরে তোমার চরণকে ॥
সবার নীচে ধুলার প'রে ফেলো যারে মৃত্যুশরে
সে যে তোমার কোলে পড়ে, ভয় কি বা তার পড়নকে ?।
আরামে যার আঘাত ঢাকা, কলঙ্ক যার সুগন্ধ,
নয়ন মেলে দেখল না সে রুদ্র মুখের আনন্দ।
মজল না সে চোখের জলে, পৌঁছল নাচরণতলে,
তিলে তিলে পলে পলে ম'ল যেজন পালঙ্কে ॥
পাণ্ডুলিপির পাঠ: [RBVBMS 131] [নমুনা]
পাঠভেদ:
তথ্যানুসন্ধান
			ক. রচনাকাল ও স্থান: 
			রবীন্দ্রনাথের 
		পাণ্ডুলিপি 
			
	
	RBVBMS 
	131-তে 
		লিখিত এই গানের শেষে  সময় ও স্থান লেখা আছে-
		'১৯ আশ্বিন/শান্তিনিকেতন'। 
			
			
			তবে 
	
		
		গীতালি (প্রথম সংস্করণ ১৩২১)-তে  তে 
	গানটির 
		 সাথে স্থানকাল সম্পর্কে উল্লেখ আছে - '১৯ 
			আশ্বিন/প্রভাত/শান্তিনিকেতন'। 
			
			[নমুনা]   
	
	
			
		
		উল্লেখ্য, ১৩২১ বঙ্গাব্দের ভাদ্র মাসে 
			রবীন্দ্রনাথের বড় ছেলে রথীন্দ্রনাথ ঠাকুর সুরুলের কুঠি বাড়িতে কৃষি-গবেষণার 
		জন্য বসবাস শুরু করেছিলেন। এই সময় রবীন্দ্রনাথ প্রতিদিনই গরুর গাড়িতে সকাল 
		বেলায় শান্তিনিকেতন থেকে সুরুল যেতেন এবং বিকেলে ফিরে আসতেন। রবীন্দ্রনাথের 
		এই যাতায়াত শুরু হয়েছিল ৮ই ভাদ্র থেকে এবং শেষ হয়েছিল 
২২শে 
		আশ্বিন তারিখে রবীন্দ্রনাথ বুদ্ধগয়া যাওয়ার আগের দিন পর্যন্ত। 
		 রবীন্দ্রনাথের এই যাতায়াত 
		শুরু হয়েছিল ৮ই ভাদ্র থেকে এবং শেষ হয়েছিল 
২২শে 
আশ্বিন তারিখে রবীন্দ্রনাথ বুদ্ধগয়া যাওয়ার আগের দিন পর্যন্ত। 
 তাঁর এই আসা-যাওয়ার ভিতরে ২০শে 
আশ্বিন পর্যন্ত ৫৭টি গান রচনা করেছিলেন। 
এর ভিতরে এই গানটি তিনি
			
১৯ 
			আশ্বিন [প্রভাত। সোমবার, ৫ অক্টোবর] 
		
		তারিখে রচনা করেছিলেন। এই সময় রবীন্দ্রনাথের বয়স ছিল ৫৩ বৎসর ৫ মাস।
       
[৫৩  বৎসর 
	অতিক্রান্ত বয়সে রবীন্দ্রসঙ্গীতের তালিকা]
			
			খ. 
			
			প্রকাশ ও 
	গ্রন্থভুক্তি: 
			
			 
				গ্রন্থ: 
				
				  
অরূপরতন (মাঘ ১৩২৬  
বঙ্গাব্দ)। 
গানের দল'এর গান। পৃষ্ঠা ৪৬। অরূপরতনের পরবর্তী সংস্করণে গানটি বর্জিত হয়েছে। 
				গীতবিতানের 
				পূজা (উপ-বিভাগ 
: 
				শেষ-৯) পর্যায়ের ৫৯২ সংখ্যক গান। 
				 
				
				গীতালি 
				
			 
				
				
				প্রথম সংস্করণ [ ইন্ডিয়ান প্রেস, ১৩২১ বঙ্গাব্দ ১৯১৪ খ্রিষ্টাব্দ।
				
				( ১৩২১ বঙ্গাব্দ)। ৭৩ সংখ্যক গান।
				পৃষ্ঠা: ৮০।
				 [নমুনা]   
	 
				
রবীন্দ্ররচনাবলী 
একাদশ খণ্ড (বিশ্বভারতী)। পৃষ্ঠা ২৬৭-৬৮।  
	
				 
				
				স্বরবিতান দ্বিচত্বারিংশ (৪২, অরূপরতন) খণ্ডের ২৯ সংখ্যক গান। পৃষ্ঠা ৮৮-৯০।
				
				
				
প্রকাশ : ১৩২৬ বঙ্গাব্দে প্রকাশিত অরূপরতন'এর প্রথম সংস্করণে গানটি ছিল। ১৩৪২
বঙ্গাব্দ সংস্করণে গানটি বর্জিত হয়।
পত্রিকা:
স্বরলিপিকার: দিনেন্দ্রনাথ ঠাকুর।পাণ্ডুলিপি থকে স্বরবিতান-৪২'এ গৃহীত হয়েছে।
সুর ও তাল:
স্বরবিতান-৪২'এ গৃহীত গানটি স্বরলিপিতে রাগ-তালের উল্লেখ নেই। উক্ত স্বরলিপিতে ছন্দোবিভাজন দেখানো হয়েছে, ৪।৪ ছন্দ ; অর্থাৎ গানটি 'কাহারবা' তালে নিবদ্ধ।
রাগ: ছায়ানট। তাল: কাহারবা। [রবীন্দ্রসংগীত : রাগ-সুর নির্দেশিকা। সুধীর চন্দ। (প্যাপিরাস, ডিসেম্বর, ২০০৬)। পৃষ্ঠা: ৬৫]
রাগ: ছায়ানট, কেদারা। তাল: কাহারবা। [রাগরাগিণীর এলাকায় রবীন্দ্রসংগীত। প্রফুল্লকুমার চক্রবর্তী, পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সংগীত আকাদেমী, জুলাই ২০০১। পৃষ্ঠা: ১১২ ]
গ্রহস্বর-পা। লয়-মধ্য।