বিষয়:
নজরুল সঙ্গীত।
গান সংখ্যা : ৯১৬
শিরোনাম:
সজল-কাজল-শ্যামল এসো তমাল-কানন-ঘেরি
১. পাঠ ও পাঠভেদ:
৯১৬
রাগ: দেশ। তাল-দাদ্রা
সজল-কাজল-শ্যামল এসো তমাল-কানন-ঘেরি,
কদম-তমাল-কানন ঘেরি।
মনের ময়ূর কলাপ মেলিয়া নাচুক তোমারে হেরি'॥
ফোঁটাও নীরস চিত্তে সরস মেঘমায়া,
আনো তৃষিত নয়নে মেঘল ছায়া,
বাজাও কিশোর বাঁশের বাঁশরি ব্যাকুল বিরহেরই॥
দাও পদরজঃ হে ব্রজবিহারী, মনের ব্রজধামে—
রুমু-ঝুমু ঝুমু বাজুক নূপুর চরণ ঘেরি,
কদম-তমাল-কানন ঘেরি॥
ভাবসন্ধান:
এটি একটি ভক্তিমূলক গান। এই গানে কৃষ্ণকে আহ্বান করা হয়েছে বর্ষার রূপকতায়।
কদম-তমাল বনকে আচ্ছন্ন করে, বর্ষা যেমন সজল-কাজল-শ্যামল রূপে আসে, কৃষ্ণকে কবি
সেরূপে কল্পলোকে ধরতে চেয়েছেন। বর্ষণমুখর বনভূমির রূপ দেখে যেমন করে ময়ূর
পেখম মেলে, তেমনি শ্রীকৃষ্ণ দর্শনে কবির চিত্ত নেচে উঠুক- এমনটাই তার আকাঙ্ক্ষা।
শ্রীকৃষ্ণের দর্শনে তাঁর নিরস হৃদয়নন্দনবনে সরস মেঘমায়ার মতো করুণার সঞ্চার ঘটুক,
এমনটাই কবি কামনা করেন। কৃষ্ণকে দেখার জন্য তাঁর চিত্ত উদ্বেলিত। কৃ্ষ্ণের বাঁশির
ধ্বনি যেমন করে বিরহিণী রাধাকে ব্যাকুল করে দিতো, তেমনি কবি চিত্তও ব্যাকুলিত। ব্রজধামে শ্রীকৃষ্ণের পদরেণু যেমন করে পবিত্র করে তুলতো, যেমন করে
কৃষ্ণের পদসঞ্চারে ব্রজাধমে মধুর নূপুর ধ্বনি নৃত্যানন্দে নেচে উঠতো, তেমনি পবিত্র
ও মধুর অনুভূতির সঞ্চার ঘটুক তাঁর হৃদয়ে। তাঁর হৃদয়বন ব্রজধামের পবিত্রতায় পূর্ণ
হোক।
২. তথ্যানুসন্ধান
ক. রচনাকাল ও স্থান: গানটির রচনাকাল সম্পর্কে সুনির্দিষ্টভাবে কিছু জানা যায় না। ১৯৩৫ খ্রিষ্টাব্দে গানটি প্রথম প্রকাশ করে এইচ.এম.ভি.। এই সময় নজরুল ইসলামের বয়স ছিল ৩৬ বৎসর।
গ্রন্থভুক্তি ও প্রকাশ
গ্রন্থ:
সঙ্গীত বিষয়ক তথ্যাবলী: