মুদ্রা
বানান বিশ্লেষণ :
ম্+উ+দ্ +দ্+র্ +আ
উচ্চারণ : mud̪.d̪ra
(মুদ্.দ্রা)।
ঊর্ধ্বক্রমবাচকতা
{|
বিনিময়-মাধ্যম
|
মানদণ্ড
|
অভিসম্বন্ধ
|
নির্দেশক
|
সঙ্কেতচিহ্ন
|
যোগাযোগ |
বিমূর্তন
|
বিমূর্ত
সত্তা
|
সত্তা
|}
এমন কোনো মাধ্যম, যার দ্বারা সকল দ্রব্যের বিনিময় মান নির্ধিরত
হয় এবং ওই মাধ্যমের মান সবার কাছে গ্রহণযোগ্যতা পায়। ফলে ওই বিনিময় মাধ্যম
সঞ্চয়ের বাহন হিসেবে কাজ করে। সুনির্দিষ্ট একটি দেশের বিচারে এই মাধ্যমের মান
রাষ্ট্রীয়ভাবে নির্ধারিত থাকে।
বিভিন্ন দেশে মুদ্রার নাম বিভিন্ন হয়ে থাকে। এর একটি বিশেষ এককের নাম দ্বারা ওইদেশের মুদ্রার নাম নির্ধিরিত হয়। যেমন বাংলাদেশে ১০০ পয়সায় হয় ১ টাকা। এই টাকা শব্দই বাংলাদেশের মুদ্রার নাম। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ১০০ সেন্টে হয় ১ ডলার। ওই দেশের মুদ্রার নামও ডলার। এই বিচারে মুদ্রার নাম আর বিনিময়যোগ্য মাধ্যমের সাধারণ পরিচিতি প্রায় সমার্থক হয়ে উঠে।
বিভিন্ন সময় বিভিন্ন দেশের শাসকবৃন্দ নানা ধরনের মুদ্রার প্রচলন করেছেন। তার অনেক মুদ্রাই বর্তমানে প্রচলিত নেই। এগুলোর ঐতিহাসিক মূল্য আছে। এই বিচারে মুদ্রাকে দুটি ভাগে ভাগ করা হয়ে থাকে।
প্রচলিত মুদ্রা: যে মুদ্রা কোনো না
কোনো দেশে পণ্যের বিনিময় মাধ্যম হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে থাকে।
[দেখুন:
প্রচলিত মুদ্রা]
অপ্রচলিত মুদ্রা: সে সকল মুদ্রা এক
সময় পণ্যের বিনিময় মাধ্যম হিসেবে ব্যবহৃত হতো।
[দেখুন:
অপ্রচলিত মুদ্রা
]
এই বিনিময় মাধ্যমের
উপাদানগত বৈশিষ্ট্যের বিচারে নানারকম হতে পারে। যেমন–
ধাতব মুদ্রা: এক বা একাধিক ধাতু দ্বারা নির্মিত মুদ্রা।
কাগজি মুদ্রা: বিশেষ ধরনের কাগজ দ্বারা মুদ্রা।
প্রতীকী মুদ্রা : সরাসরি প্রচলিত মুদ্রার পরিবর্তে ব্যবহৃত কোনো প্রতীকী মাধ্যম। যেমন ব্যাঙ্ক চেক, হুণ্ডি ইত্যাদি।
প্রতীকী মুদ্রা : কোনো বস্তুর পরিবর্তে কম্পিউটার নিয়ন্ত্রিত ব্যবস্থায় ডিজিটাল পদ্ধতিতে ব্যবহৃত বিনিময় মাধ্যম।
কাগজি মুদ্রা প্রচলনের আগে
সারা পৃথিবীতেই ধাতব মুদ্র প্রচলিত ছিল।