স্পঞ্জ
রসগোল্লা
রসে ডুবানো মিষ্টি। বাংলার ঐতিহ্যবাহী
রসগোল্লার
একটি প্রকরণ।
স্পঞ্জ রসগোল্লা তৈরির প্রণালী
এই রসগোলা দুটি পৃথক অংশ একত্রে থাকে। একটি হলো প্রায় গোলাকার ছানাজাত গুলি। এই
অংশকে গোল্লা নামে অভিহিত করা হয়। এর দ্বিতীয় অংশ তরল সিরা। এই রসগোল্লা তৈরিতে এই
দুটি অংশ পৃথকভাবে তৈরি করে, একত্রিত করা হয়।
গোল্লা তৈরির প্রাথমিক পর্যায়ে দুধ জ্বাল দিয়ে বলগ আসার পর, ভিনিগার দেওয়া হয়। এরপর
কিছুক্ষণ ঢেকে রাখা হয়। এর ফলে দুধ ফেটে গিয়ে ছানা তৈরি হয়। এই ছানার পানি ঝরিয়ে
ফেলা হয়। তারপর ছানাতে যে অতিরিক্ত পানি থাকে সেটা ঝরানোর জন্য ১টা সুটি কাপড়ে
ছানাটুকু নিয়ে বেশ কিছুক্ষন ঝুলিয়ে রাখতে হয়। সাধারণত ১ কেজি দুধে চা-কাপের অর্ধেক
ভিনিগার এবং আধকাপ পানি মেশানো হয়। ছানা তৈরি হওয়ার পর, ছানার ছোটো ছোটো
টুকরো নিয়ে হাতের তালুর সাহায্যে গোল্লা তৈরি করা হয়।
এর সিরা তৈরি করা হয় চিনি দিয়ে। সিরা তৈরির জন্য ২ কাপ চিনি ও ৩ কাপ পানি একত্রে মিশিয়ে জ্বাল দিতে হবে। উল্লেখ্য, স্পঞ্জ রসগোল্লার জন্য পাতলা সিরা তৈরি করা হয়। সিরা ফুটে উঠলে, মিষ্টি সিরায় গোল্লা দিয়ে কড়া জ্বালে ১২ মিনিট ঢেকে রাখতে হবে। এরপর ঢাকনা তুলে ১-২ কাপ গরম পানি দিয়ে আবার ঢেকে ৫ মিনিট জ্বাল দিয়ে নামাতে হবে।
স্পঞ্জ রসগোল্লার
ইতিহাস
প্রণব রায়ের রচিত 'বাংলার খাবার' গ্রন্থ থেকে মতান্তর হিসেবে উল্লেখ আছে- '...কলকাতায় বেনেটোলার সীতারাম ঘোষ স্ট্রীটের দীনু ময়রার পূর্বপুরুষ ব্রজ ময়রা হাইকোর্টের কাছাকাছি দোকানে ১৮৬৬
খ্রীস্টাব্দে প্রথম রসগোল্লা আবিষ্কার করেন বলে জানা যায়।'
পরে রসগোল্লার আরও প্রকরণ তৈরি হয়েছে। যেমন- স্পঞ্জ রসগোল্লা। বাগবাজারের
স্পঞ্জ
রসগোল্লা আবিষ্কৃত হয়ে ১৮৬৮ খ্রিস্টাব্দে'।
উল্লেখ্য স্পঞ্জ রসগোল্লার আবিষ্কারক ছিলেন নবীন ময়রা।
পরে স্পঞ্জ রসগোল্লার আদলে নতুন ধরনের মিষ্টান্ন তৈরি করেছিলেন বর্ধমান জেলার ভাতার
গ্রামের গোপাল ময়রা। তাঁর নামানুসারে এর নামকরণ করা হয়েছিল 'গোপালগোল্লা'।
সূত্র: