আয়তন: ১৭,৩৬৪ বর্গকিলোমিটার।
জনসংখ্যা: ২০১৬ খ্রিষ্টাব্দের অনুমানিক হিসাব
১,৩৪৩,০৯৮ জন।
সোয়াজিল্যান্ডের পতাকা |
ভাষা: প্রশাসনিক ভাষা ইংরেজি ও সোয়াজি।
মুদ্রা: সোয়াজি লিলাঙ্গেনি ও দক্ষিণ আফ্রিকান র্যান্ড।
ইতিহাস: প্রায় দুই লক্ষ বৎসর আগে এই অঞ্চলে প্রস্তরযুগের সূচনা হয়েছিল।
এই সময় সোয়াজি রাজতন্ত্রেরও সূচনা হয়েছিল। এই অঞ্চলে পাওয়া গেছে ২৭ হাজার বৎসরের
পুরানো প্রাগৈতিহাসিক পাথরের গায়ে আঁকা চিত্রকর্ম। প্রাচীন জনগোষ্ঠী হিসেবে খোইসান
শিকারী মানবগোষ্ঠী। এরপর এই অঞ্চলে বসতি স্থাপন করেছিল বান্টু নৃগোষ্ঠীর মানুষ।
খ্রিষ্টীয় চতুর্থ শতাব্দীতে লৌহযুগের সূচনা হয় এবং কৃষিকাজের শুরু হয়।
এই অঞ্চলে সোয়াজি নৃগোষ্ঠীর সোয়াজিল্যান্ডে প্রবেশের আগে পোঙ্গোলা নদীর তীরে বসতি
স্থাপন করেছিলেন। এরপর টেম্বে নদীর তীরে নতুন বসতি স্থাপন করে। পরে এদের সাথে
ন্ডোয়ান্ডোয়ে জাতির সাথে সংঘর্ষ হয়। ফলে এরা আরো উত্তর দিকে চলে যায়। এরপর ১৭৭৫
খ্রিষ্টাব্দে রাজা ন্গোয়ানে (তৃতীয়) ম্হ্লোশেনি পর্বতের পাদদেশে রাজাধানী স্থাপন
করে রাজত্ব শুরু করে। ১৮১৫ খ্রিষ্টাব্দে সোভুজা (প্রথম) জোম্বোড্জে-তে
রাজধানী করে নতুন রাজত্ব শুরু করে।
১৯০৩ খ্রিষ্টাব্দে অনুষ্ঠিত ব্রিটিশ এ্যাঙ্গোলা-বোয়ের যুদ্ধের পর, সোয়াজিল্যান্ড
ব্রিটিশদের তত্ত্বাবধানে চেল যায়। ১৯৬৭ খ্রিষ্টাব্দের নির্বাচনের পর, সোয়াজিল্যান্ড
স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে।