বাংলায় মোগল শাসন

বাংলায় মোগল শাসনের প্রথম ধাপ:
উত্তর-পশ্চিম ভারতে মোগলদের ক্ষমতা ক্রমন্বয়ে বৃদ্ধির কারণে বাংলা সুলতান নসরৎ শাহ শঙ্কিত ছিলেন। এই সময় তিনি মোগলদের দ্বারা বিতারিত আফগানদের নিয়ে তিনি একটি মোগলবিরোধী সংঘ গড়ে তোলেন। তিনি জৌনপুরের লোহানী বংশীয় সুলতান বাহার খাঁ লোহানী, বিহারের শের শাহ ও লোদী বংশের মাহমুদ খাঁর সাথে যুক্তি করে এই সংঘকে জোরদার করেন। এই সংঘ মোগলদের বাধা দেওয়ার চেষ্টা করে। বাবরের সেনাবাহিনী প্রথমে এলাহাবাদ, বারাণসী ও গাজীপুর দখল করেন। এরপর ১৫২৯ খ্রিষ্টাব্দে ঘর্ঘরা নদীর তীরে আফগান নেতা শের শাহের ও মাহমুদ শাহ্ -এর সাথে বাবরের বাহিনীর যুদ্ধ হয়। এই যুদ্ধে উভয় নেতা পরাজিত হন। এরপর নসরৎ শাহকে তাঁর আনুগত্যের দাবি করেন। নসরৎ শাহ এই দাবি না মেনে নানাভাবে বাবারকে সন্তুষ্ট করার চেষ্টা করেন। কিন্তু বাবর তাতে সন্তুষ্ট না হয়ে- বাংলার দিকে অগ্রসর হন। উভয় রাজশক্তির মধ্যে যুদ্ধ হয়। যুদ্ধে নসরৎ শাহ পরাজিত হন। এরপর মৌখিকভাবে তিনি বাবর আনুগত্য স্বীকার করেন। এইটাই ছিল বাংলা প্রথম মোগলদের আধিপত্যের প্রথম ধাপ। কিন্তু বাংলার উপরে মোগলদের পূর্ণ অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয় নি।

বাংলায় শের শাহ-এর রাজত্ব কাল-এর প্রথম ধাপ:
হুসেন শাহী রাজবংশের সুলতান নসরৎ শাহ ১৫৩২ খ্রিষ্টাব্দে আততায়ীর হাতে নিহত হন। এরপর সিংহাসনে বসেন তাঁর পুত্র আলাউদ্দিন ফিরোজ। ফিরোজ শাসনকার্যে অনুপযুক্ত ছিলেন। তাঁর কুশাসনের বিরুদ্ধে আমিররা বিদ্রোহ করেন। এই সময় বিহারের লোহানী আমিররা শের শাহ-এর ক্ষমতা বৃদ্ধিতে শঙ্কিত হয়ে, শের শাহকে আক্রমণ করার জন্য সুলতান মাহমুদ শাহকে উদ্বুদ্ধ করেন। ফলে ১৫৩৪ খ্রিষ্টাব্দে শের শাহ সম্মিলিত বাহিনীর আক্রমণের মুখে পড়েন। সুরজগড়ের যুদ্ধে শের খাঁ সম্মিলিত বাহিনীকে পরাজিত করেন। এই যুদ্ধ জয়ের পর শের শাহ সমগ্র বিহারের সুলতান হয়ে উঠেন। ১৫৩৬ খ্রিষ্টাব্দে শের শাহ পুনরায় বাংলা আক্রমণ করেন। প্রথমে তিনি বাংলার কিছু অংশ দখল করেন। এই সময় মাহমুদ শাহ শেরখাঁকে ১৩ লক্ষ স্বর্ণমুদ্রা প্রদান করে সন্ধি করেন। ১৫৩৭ খ্রিষ্টাব্দে শের শাহ পুনরায় বাংলা আক্রমণ করে গৌড় অধিকার করেন। এবং শেষ পর্যন্ত মাহমুদকে সম্পূর্ণ পরাজিত করে বাংলা থেকে বিতারিত করেন। এর ফলে বাংলাদেশে হুসেনশাহী রাজবংশের শাসনের অবসান হয়। এরপর শুরু হয় শের শাহ-এর রাজত্ব কাল।

বাংলায় মোগল শাসনের দ্বিতীয় ধাপ:
শেরশাহ এই শক্তি বৃদ্ধিতে শঙ্কিত হয়ে, হুমায়ুন ১৫৩৭
খ্রিষ্টাব্দে চুনার আক্রমণ করে দখল করে নেন। শেরশাহ  বিপদ বুঝে গৌড় ত্যাগ করে চলে যান। এই সময় হুমায়ুন গৌড়ে প্রায় নয় মাস অবস্থান করেন। এই সময়ের ভিতর শেরখাঁ বারাণসী, জৌনপুর ও কনৌজ দখল করে নেন। ফলে হুমায়ুন দ্রুত আগ্রা ফিরে যাওয়ার জন্য অগ্রসর হন। ১৫৩৯ খ্রিষ্টাব্দে পথিমধ্যে বক্সারে কাছাকাছি চৌসাতে শের শাহ মোগল বাহিনীর মুখোমুখী হন। প্রথমে শের শাহ হুমায়ুনের কাছে সন্ধির প্রস্তাব পাঠান। হুমায়ুন তাতে সম্মতি জানিয়ে সন্ধির জন্য প্রস্তুত হন। মোগল শিবিরে অসতর্কতা লক্ষ্য করে, শেরশাহ  আকস্মাৎ আক্রমণ করে, মোগল শিবির তছনছ করেন।  হুমায়ুন অতি কষ্টে আগ্রায় ফিরে যেতে সক্ষম হন। ফলে বাংলা ও বিহারের উপর পুনরায় শেরশাহ -এর পূর্ণ অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়। এই ধাপে মূলত বাংলা ৯ মাস মোগল শাসনে ছিল।

বাংলায় শের শাহ-এর রাজত্ব কাল-এর দ্বিতীয় ধাপ:
১৫৪০ খ্রিষ্টাব্দে
শের শাহ কনৌজের যুদ্ধে হুমায়ুনকে পরাজিত করে, দিল্লীর সিংহাসন দখল করেন। এই যুদ্ধে জয়ের পর, শেরশাহ একে একে দিল্লী. আগ্রা, জৌনপুর, বিহার ও বাংলাদেশের সম্রাট হন। কিন্তু ১৫৪১ খ্রিষ্টাব্দে মাহমুদ শাহ'র জামাতা খিজির খাঁ বাংলাদেশে নিজেকে স্বাধীন সুলতান বলে ঘোষণা দেন। শের শাহ বাংলা আক্রমণ করে  খিজির খাঁকে বন্দী করেন। এই সময় তিনি বাংলাকে দুর্বল করার জন্য, বাংলাকে ১৯টি সরকারে বিভাজিত করেন। এই সরকারগুলোর শাসনভার অর্পণ করেন 'কাজী-ফজল' নামক জনৈক কর্মচারির উপর।

১৫৪৫ খ্রিষ্টাব্দে শের শাহ-এর মৃত্যুর পর, তাঁর কনিষ্ঠ পুত্র জালাল খাঁ সিংহাসন লাভ করেন। সিংহাসন লাভের পর তিনি নামগ্রহণ করেন ইসলাম খাঁ। ১৫৫৩ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত বাংলাতে আর কোনো বিদ্রোহ হয় নি। ১৫৫৩ খ্রিষ্টাব্দ ইসলাম খাঁ'র মৃত্যুর পর, বাংলার সুর-শাসক মহম্মদ খাঁ স্বাধীনতা ঘোষণা করেন এবং জৌনপুর দখল করেন। এরপর আগ্রা অভিমুখে যাত্রা করলে, ১৫৫৫ খ্রিষ্টাব্দে মহম্মদ শাহ আদিলের সেনাপতি হিমু তাঁকে বাধা দেন। যুদ্ধে মহম্মদ শাহ পরাজিত হলে, মহম্মদ শাহ আদিল নিজ অনুচর শাহবাজ খাঁকে বাংলার শাসনকর্তা নিয়োগ করেন। কিন্তু অচিরেই মহম্মদ খাঁর পুত্র খিজির খাঁ পরাস্ত করেন এবং গিয়াসউদ্দিন বাহাদুর শাহ উপাধি ধারণ করে বাংলার সিংহাসন দখল করেন।

বাংলায় মোগল শাসনের দ্বিতীয় ধাপ:
১৫৫৬ খ্রিষ্টাব্দে হিমুকে পরাজিত করে আগ্রার সিংহাসন অধিকার করেন। এই সময় বাংলার শাসনকর্তা গিয়াসউদ্দিন বাহাদুর পলায়মান আদিল শাহকে সুরকগড়ের কাছে পরাজিত ও হত্যা করেন। ফলে বাংলার শাসন ক্ষমতা সম্পূর্ণরূপই গিয়াসউদ্দিন বাহাদুর অধিকার করেন। ১৫৬০ খ্রিষ্টাব্দে এই প্রথম গিয়াসউদ্দিন মৃত্যুবরণ করলে, তাঁর পুত্র দ্বিতীয় গিয়াসউদ্দিন বাহাদুর শাহ ১৫৬৩ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত রাজত্ব করেন। তাঁর মৃ্ত্যুর পর, তাঁর এক আমির তৃতীয় গিয়াসউদ্দিন নাম ধারণ করে ১ বৎসর রাজত্ব করেন। ১৫৬৩ খ্রিষ্টাব্দে কর্‌রানী এই গিয়াজউদ্দিনকে পরাজিত করে বাংলায় কররানী রাজ বংশের প্রতিষ্ঠা করে।

১৫৬৪ খ্রিষ্টাব্দে মোগল শাসনাধীনে থাকা অবস্থায় বাংলাদেশে কর্‌রানী রাজবংশের প্রতিষ্ঠা হয়। এই রাজবংশের সুলতান সুলেমান আকবরের সার্বভৌমত্ব স্বীকার করে নিয়েছিলেন। ফলে বাংলা তখন ছিল মোগলদের করদ রাজ্য। সুলেমানের মৃত্যুর পর তাঁর পুত্র দাউদ বাংলার স্বাধীন সুলতান হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেন। আকবর দাউদকে দমন করার জন্য, সেনাপতি টোডরমল এবং মুনিম খাঁকে পাঠান। এদের মধ্যে প্রথম যুদ্ধ হয় ১৫৭৫ খ্রিষ্টাব্দের তুকারই সমরক্ষেত্রে। এই যুদ্ধে উভয় বাহিনীই চূড়ান্ত জয়লাভে ব্যর্থ হয়। ১৫৭৬ খ্রিষ্টাব্দে রাজমহলে দ্বিতীয়বার যুদ্ধ হয়। এই যুদ্ধে দাউদ পরাজিত ও নিহত হন। এরপর বাংলাতে মোগল শাসনের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়। কিন্তু বাংলার বিভিন্ন প্রান্তে তখনও আফগান শাসকরাই স্বাধীনভাবে রাজত্ব করতেন। সে সময় বাংলার শাসনকর্তা হন মুনিম খাঁ।

বাংলার বিদ্রোহ
মুনিম খাঁ-এর মৃত্যুর পর মোগল শিবিরে ভাঙন ধরে। এই সময় অনেকেই মোগল শিবির ত্যাগ করে দিল্লীতে চলে যায়। এই অবসরে মীর্জা হাকিম নিজেকে স্বাধীন সুলতান হিসেবে ঘোষণা দেন। ক্রমে ক্রমে বাংলা ও বিহার মোগল সাম্রাজ্য থেকে বিচ্যুত হয়।

বাংলায় মোগল শাসনের তৃতীয় ধাপ:
আকবর
মীর্জা হাকিম ও অন্যান্য বিদ্রোহীদের দমন করার জন্য টোডরমল এবং মানসিংহকে পাঠান। মূল দমনের কাজটি করেন টোডরমল। আর মীর্জা হাকিম-এর সাম্ভাব্য পাল্টা আক্রমণ ঠেকানোর জন্য সাথে থাকেন মানিসিংহ। উভয়ের প্রচেষ্টায় বাংলা আবার মোগল সাম্রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত হয়। ১৫৮১ খ্রিষ্টাব্দে টোডরমলকে বাংলার ওয়াজির পদ দেওয়া হয়।

বঙ্গাব্দ ও ইলাহী সন
মোগল সম্রাট আকবর ১৫৮৪ খ্রিষ্টাব্দে একটি সমন্বিত নতুন ধর্ম প্রচারের উদ্যোগ নেন। এই ধর্মের নাম দেওয়া হয়েছিল দীন-ই-ইলাহি বা তৌহিদ-ই-ইলাহি। এই ধর্মের আদর্শে তিনি মুদ্রা থেকে কালিমা তুলে দেন। মুদ্রা ও শিলালিপি থেকে আরবি ভাষা তুলে দিয়ে ফারসি ভাষার প্রবর্তন করেন। একই সাথে তিনি আরব দেশীয় চান্দ্র মাসের পরিবর্তে পারস্যের সৌর বৎসরে প্রচলন করেন। প্রাথমিকভাবে এই বৎসর-গণন পদ্ধতির নাম দেন তারিখ-ই-ইলাহি বা সন ই ইলাহি। এই ইলাহি সনকে ভারতবর্ষের আদর্শে নতুন করে সাজানোর জন্য আকবর ৯৯২ হিজরি সনে, তাঁর রাজসভার রাজ জ্যোতিষী আমির ফতেউল্লাহ শিরাজীর উপর দায়িত্ব অর্পণ করেন। আকবর ৯৬৩ হিজরি সনের রবিউল আখির মাসের ২ তারিখে [১৪ ফেব্রুয়ারি, ১৫৫৬ খ্রিষ্টাব্দ] সিংহাসনে আরোহণ করেন। হিজরি সনের মর্যাদা দেখিয়ে, ৯৬৩ সংখ্যাকে ইলাহি সনের প্রথম বৎসরের মর্যাদা দেন। এর পরবর্তী বৎসর থেকে সৌরবৎসর হিসাবে গণনা শুরু করেন। এই সূত্রে হিজরি চান্দ্র-মাস তুলে দিয়ে সৌরমাস গণনা শুরু করেন। আকবর এই নতুন বর্ষ-গণন পদ্ধতি প্রচলনের আদেশ জারি করেন ৯৯২ সালের ৮ই রবিউল তারিখ। খ্রিষ্টাব্দের বিচারে এই তারিখ ছিল ১০ মার্চ ১৫৮৫। যদিও আকবরের সিংহাসন আরোহণের দিন থেকে ইলাহি বর্ষের শুরু হওয়ার আদেশ জারি হয়েছিল, কিন্তু কার্যত দেখা গেল, পারস্যের পঞ্জিকা অনুসারে বৎসর শেষ হতে ২৫ দিন বাকি রয়ে যায়। তাই ইলাহি সন চালু হলো– আকবরের সিংহাসন আরোহণের ২৫ দিন পর। এই নির্দেশানুসরে বিষয়টি কার্যকরী হয়– ২৮ রবিউল আখের ৯৬৩ হিজরী, ১১ মার্চ, ১৫৫৬ খ্রিষ্টাব্দ।

ইলাহি সনের প্রথম দিনটিকে প্রাচীন পারস্যের রীতি অনুসারে নওরোজ (নতুন দিন) হিসাবে গৃহীত হয়েছিল। এছাড়া ইলাহি সনের মাসগুলোর নাম গ্রহণ করা হয়েছিল প্রাচীন পারস্যের পঞ্জিকায় প্রাপ্ত নামগুলো থেকে। পারস্যের এই মাসগুলোর নাম ছিল- ফারওয়ারদীন (فروردین), আর্দিবিহশ্‌ত (اردیبهشت), খুরদাদ (خرداد), তীর (تیر), মুরদাদ (مرداد), শাহরীয়ার (شهریور), মেহ্‌র (مهر), আবান (آبان), আজার (آذر), দে (دی), বাহমান (بهمن) এবং ইসপন্দর (اسفند)।  এই নামগুলো বঙ্গাব্দ কেন কোনো ভারতীয় সংবৎ-এর সাথে যুক্ত হয় নি।

 

সম্রাট আকবর পারস্যের সৌরবৎসরের অনুকরণে যে ইলাহি সন প্রবর্তন করেছিলেন, তা ছিল সর্বভারতীয় রাষ্ট্রীয় সন। কিন্তু এই সন ধরে একই সময়ে ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলে রাজস্ব আদায় করাটা সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছিল। কারণ রাজস্ব আদায়ের জন্য, সম্রাটকে কৃষকের ফসল ঘরে উঠার সময় পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হতো। ভারতবর্ষের মতো বিশাল দেশে একই সময় সকল স্থানের কৃষকরা ফসল কাটতো না। সেই কারণে ফসল কাটার সময়কে প্রাধান্য দিয়ে বিভিন্ন অঞ্চলে পৃথক পৃথক সনের প্রচলন করা হয়েছিল। এই বিচারে ফসলি সন হয়ে দাঁড়িয়েছিল, ফসল-নির্ভর আঞ্চলিক বর্ষ গণন পদ্ধতি। এই কারণে তৎকালীন বঙ্গদেশে ফসলি সনের শুরু হতে অগ্রহায়ণ মাস থেকে। পক্ষান্তরে ভারতের দক্ষিণাঞ্চলে ফসলি সন শুরু হতো আষাঢ় মাস থেকে। তবে এই সকল ফসলি সনগুলো ছিল সৌর-বৎসর ভিত্তিক ইলাহি সন।

 

বাংলাদেশে মোগল শাসন প্রতিষ্ঠিত হলেও বাঙালি সংস্কৃতিতে মোগলদের দিল্লীর প্রভাব প্রবলভাবে পড়ে নি। গ্রাম-বাংলায় সনাতন রীতির পঞ্জিকাই অনুসরণ করা হতো। ফলে ইলাহী সন বাংলাতে তেমন কোনো ভূমিকাই রাখতে পারে নি।

মূলত ১৫৭৬ খ্রিষ্টাব্দ থেকে ১৫৯৪ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত বাংলায় মোগল-আফগান সংঘাত অব্যাহত ছিল। ১৫৯৪ খ্রিষ্টাব্দে বাংলার শাসনকর্তা হিসেবে আসেন রাজা মানসিংহ। এই সময় মোগল-আফগান সংঘাতের নতুন পর্ব শুরু হয়। এই পর্বের প্রধান প্রতিপক্ষের এক দিকে ছিলে বাংলার মোগল শাসক রাজা মানসিংহ, অন্যদিকে ছিল বাংলার বার ভূঁইয়ারা। ১৬১৩ খ্রিষ্টাব্দের ভিতরে বাংলার সকল ভুঁইয়াদের পরাজিত হয় এবং মোগল।


সূত্র :
ভারতের ইতিহাস । অতুলচন্দ্র রায়, প্রণবকুমার চট্টোপাধ্যায়।