|
|
---|---|
স্ত্রীবৃন্দ | আয়েশাহ সুলতান বেগম বিবি মুবারিকা ইউসুফযায় দিলদার বেগম গুলনার আগাচেহ গুলরুখ বেগম মহিম বেগম মাসুমাহ বেগম নারগুল আগাচেহ সাদিয়া আফাক |
সন্তানাদি | হুমায়ুন, পুত্র কামরান মির্জা, পুত্র আসকারি মির্জা, পুত্র হিন্দাল মির্জা, পুত্র বারবুল মির্জা, পুত্র ফারুক মির্জা, পুত্র শাহরুখ মির্জা, পুত্র সুলতান আহমদ মির্জা, পুত্র আলোয়ার মির্জা, পুত্র গুলবদন বেগম, কন্যা মেহেরজান বেগম, কন্যা ঈশান বেগম, কন্যা মাসুমা বেগম, কন্যা গুলগাদার বেগম, কন্যা গুলরঙ বেগম, কন্যা গুলচেহারা বেগম, কন্যা |
বাবর, মোগল সম্রাট
১৫২৬-১৫৩১ খ্রিষ্টাব্দ
এর ভিতর সাহেবানীর সাথে পারশ্যের অধিপতি ইসমাইল সাহাবীর যুদ্ধ হয়। যুদ্ধে সাহেবানী পরাজিত ও নিহত হন। এই সম কৌশলী বাবর ইসমাইল সাহাবীর সাথে মিত্রতা গড়ে তোলেন এবং তাঁর সহায়তায় তিনি আবার সমরকন্দ দখল করেন। কিন্তু কিছুদিনের মধ্যে উজবেগ সৈন্যরা তাঁকে সমরকন্দ থেকে বিতারিত করেন। সেই সাথে তাঁর পৈত্রিক রাজ্য ফারগানা দখলের ইচ্ছাও বাতিল হয়ে যায়। এরপর তিনি ভারত জয়ের জন্য নতুন করে সেনাবাহিনী তৈরি করেন। ১৫১৯ খ্রিষ্টাব্দে তিনি বাঙ্গুর ও সোয়ার্নের পথ ধরে ঝিলম নদীর পশ্চিম পারের ভেরাতে উপস্থিত হন। এখানে তিনি নিজেকে কিছুটা গুঁছিয়ে নিয়ে ১৫২২ খ্রিষ্টাব্দে তিনি কান্দাহার জয় করেন। ১৫২৪ খ্রিষ্টাব্দে ঝিলম ও চেনাব নদী অতিক্রম করে, পাঞ্জাবের দিলালপুর দখল করেন। এই সময় দিল্লীর শাসক ছিলেন ইব্রাহিম লোদী। তিনি দূত মারফত ইব্রাহিম লোদীর কাছে তুর্কিদের অধিকৃত অঞ্চলগুলোর দাবি করেন। ইব্রাহিম লোদী এই দাবি অস্বীকার করলে, তিনি পাঞ্জাবের ভেরা, খুসাব ও চেনাব নদীর অববাহিকা দখল করেন এবং কাবুল ফিরে যান।
১৫২৫ খ্রিষ্টাব্দে তিনি দ্বিতীয় বার ভারত আক্রমণের জন্য কাবুল থেকে রওনা দেন। ১৯২৬ খ্রিষ্টাব্দে তাঁকে প্রথম বাধা দেন দৌলত খাঁ লোদী। এই যুদ্ধে দৌলত খাঁ পরাজিত হয়। এরপর পাণিপথ নামক স্থানে ইব্রাহিম লোদির সাথে যুদ্ধ হয়। যুদ্ধে ইব্রাহিম লোদি পরাজিত হন। এই জয়ের ফলে, দিল্লী ও আগ্রা বাবরের অধিকারে আসে।
এই যুদ্ধ জয়ের পর বাবর ১৫২৭ খ্রিষ্টাব্দের দিকে মেবারের রাণা সংগ্রাম সিংহ এবং পূর্ব-ভারতে আফগানদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে লিপ্ত হয়। এই সময় বাবরের সহযোদ্ধারা আফগানিস্তানে ফিরে যাওয়ার সংকল্প করে। বাবর তাদেরকে বুঝিয়ে সিংহ এবং পূর্ব-ভারতে আফগানদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে রাজি করান। হুমায়ুন দ্রুততার সাথে কাল্পি, বায়না এবং জৌনপুর দখল করেন। বিহারের আফগানরা বাবরের কাছে সাময়িকভাবে নতি স্বীকার করেন। এই সময় বাবর অনধিকৃত অঞ্চলে তাঁর কতিপয় আমির পাঠিয়ে আফগানদের দমন করেন। ১৫২৭ খ্রিষ্টাব্দে মেবারের রাণার বিরুদ্ধে বাবর যুদ্ধাভিযান চালান। ইব্রাহিম লোদির বিরুদ্ধে বাবরের যুদ্ধের সময়, রাণা সংগ্রাম সিংহ তাঁকে সাহায্য করবেন এমন কথা ছিল। কিন্তু সংগ্রাম সিংহের অভিযোগ ছিল, বাবর তাঁকে না জানিয়ে কাল্পি, বায়না দখল করেছেন। এই দ্বন্দ্বের সূত্রে খানুয়ার প্রান্তরে উভয় বাহিনী যুদ্ধে লিপ্ত হয়। যুদ্ধে রাণা সংগ্রাম সিংহ পরাজিত হয়ে পলায়ন করেন এবং ১৫২৮ খ্রিষ্টাব্দে সংগ্রাম সিংহ মৃত্যুবরণ করেন। এরপর মেদেনী রাও এর নেতৃত্বে রাজপুতরা পুনরায় সংঘবদ্ধ হয়। এরই ফলশ্রুতিতে বাবর
চান্দেরি দুর্গ অবরোধ করেন। এই যুদ্ধেও রাজপুতরা পরাজিত হন।১৫৩১ খ্রিষ্টাব্দের ৫ই জানুয়ারি তিনি মৃত্যুবরণ করেন। এরপর সিংহাসনে বসেন তাঁর জ্যেষ্ঠপুত্র হুমায়ুন।
সূত্র :
বাবর/ পিরিমকুল কাদিরভ
ভারতের ইতিহাস । অতুলচন্দ্র রায়, প্রণবকুমার চট্টোপাধ্যায়।