রংপুর
ইংরেজি:
Rangpur

বাংলাদেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের রংপুর বিভাগের একটি জেলা।  এই জেলাটি ২৫৹০৩˝থেকে ২৯৹৩২˝ পূর্ব দ্রাঘিমাংশ পর্যন্ত বিস্তৃত। এর উত্তর-পশ্চিমে নীলফামারী, উত্তর-পূর্বে লালমনিরহাট, পূর্বে কুড়িগ্রাম, দক্ষিণ-পূর্বে গাইবান্ধা এবং দক্ষিণ-পশ্চিমে দিনাজপুর জেলা অবস্থিত।


আটটি উপজেলা, ৮৩টি ইউনিয়ন, ১২১৪টি মৌজা এবং ৩টি পৌরসভা (রংপুর, হারাগাছ এবং বদরগঞ্জ) নিয়ে রংপুর জেলা গঠিত । এর মোট আয়তন  বর্তমান রংপুর জেলার মোট আয়তন ২৩৬৭.৮৪ বর্গ কিলোমিটার।

 ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির শাসনের আগে এই অঞ্চলটি অন্যান্য সাধারণ গ্রামের মতোই ছিল। প্রশাসনিক সুবিধার জন্য, ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির ১৭৬৯ খ্রিষ্টাব্দে রংপুর কালেক্টরেট প্রতিষ্ঠা করা হয়।

১৭৭২ খ্রিষ্টাব্দে আনুমানিক ২৫০০ বর্গ মাইল এলাকা নিয়ে রংপুর জেলা প্রতিষ্ঠিত হয়। এই জেলার সাথে অন্যান্য অঞ্চল যুক্ত হয়ে হয়ে বেশ বড় একটা জেলায় পরিণত হয়েছিল। ১৮১৬ খ্রিষ্টাব্দে এই জেলা আয়তন দাঁড়ায় প্রায় ৭৪০০ বর্গ মাইল।
প্রশাসনিক সুবিধার জন্য ১৮২১ খ্রিষ্টাব্দে রাজশাহী জেলা থেকে আদমদিঘি শেরপুর নৌখিলা ও বগুড়া থানা, রংপুর জেলা থেকে দেওয়ানগঞ্জও গোবিন্দগঞ্জ থানা দিনাজপুর জেলা থেকে লালবাজার, ক্ষেতলাল ও বদলগাছি থানা নিয়ে বগুড়া জেলা গঠিত। ১৮৬৯ খ্রিষ্টাব্দে পাটগ্রাম, বোদা, ফকিরগঞ্জ, সন্ন্যাসীকাটা রংপুর থেকে বিচ্ছিন্ন করে নতুন জেলা জলপাইগুড়ির সৃষ্টি হয়। এই সময় দেওয়ানগঞ্জ ময়মনসিংহ এবং ধুবড়ী ও রাঙ্গামাটি বৃহত্তর আসামের অন্তর্ভূক্ত হয়। ফলে ১৮৬৯ খ্রিষ্টাব্দে রংপুর জেলার আয়তন ৩৭৮৮ বর্গমাইলে নেমে আসে। ১৯৪৭ খ্রিষ্টাব্দে পাটগ্রাম রংপুরে অন্তর্ভুক্ত হয়। ১৯৮৪ খ্রিষ্টাব্দের ১ ফেব্রুয়ারি রংপুর জেলার চারটি মহকুমা কুড়িগ্রাম, নীলফামারী, লালমনিরহাট, গাইবান্ধা পৃথক পৃথক জেলা হিসেবে স্বীকৃতি পায় ।
 

কথিত আছে রংপুরের উর্বর মাটিতে নীলের চাষ শুরু করেছিল ইংরেজরা। নীল রঙের 'রঙ' শব্দ থেকে এই অঞ্চলের নাম রংপুর হয়। অনেকে মনে করেন, উত্তর বঙ্গে রঙ্গপুর একটি অঞ্চল ছিল। প্রাগ জ্যোতিস্বর নরের পুত্র ভগদত্তের রঙ্গমহল এর নামকরণ থেকে এই রঙ্গপুর নামটি আসে। কালক্রমে তা রংপুর নামে পরিণত হব। একসময় এই অঞ্চল জঙ্গপুর নামেও পরিচিত ছিল। এই অঞ্চলে ম্যালেরিয়া রোগে প্রতি বৎসর বহু মানুষ মারা যেতো। এই কারণে একে অনেকে যমপুর বলেও ডাকত।

বহু আগে থেকেই রংপুর তামাক চাষের জন্য বিখ্যাত। এছাড়া রংপুরে প্রচুর পরিমাণ ধান-পাট-আলু ও আম (হাড়ি ভাঙ্গা) উৎপাদিত হয়।

 


সূত্র :
http://www.rajshahidiv.gov.bd/