শাহবাগ
বাংলাদেশের
রাজধানী ঢাকার
একটি অন্যতম ব্যস্ত এলাকা। শাহাবাগ হলো ঢাকা নগরীর শিক্ষা-এলাকা এবং
পুলিশ প্রশাসনের কেন্দ্রস্থল এবং একটি থানা।
শাহবাগ থানা
শাহবাগ ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের রমনা বিভাগের
আওতাভুক্ত একটি থানা। এই থানার তদারকি কর্মকর্তা
হচ্ছেন ডিসি রমনা জোন। এখানেই পুলিশ কন্ট্রোল রুম অবস্থিত। শাহবাগ এবং
তৎসংলগ্ন এলাকা আকৃতিতে প্রায় আয়তাকার। পূর্বে রমনা পার্ক থেকে বাংলাদেশ
সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত, পশ্চিমে সোনারগাও রোড পর্যন্ত, দক্ষিণে ফুলার রোড এবং ঢাকা
বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সোহ্রাওয়ার্দী উদ্দ্যান (পূর্বে রমনা রেসকোর্স) এবং উত্তরে
মিন্টু রোড, হোটেল শেরাটন এবং ডায়াবেটিক হাসপাতাল পর্যন্ত বিস্তৃত। এই থানায় রয়েছে
ঢাকা মহানগরের ৫১, ৫২, ৫৩ ওয়ার্ড। এই থানটি সংসদীয় এলাকা ঢাকা-১০ (রমনা-তেজগাঁও)।
র্যাব এলাকা ৩ (RAB 3)।
শাহবাগ থানায় রয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) নিয়ন্ত্রণ কক্ষ, ঢাকা
ইলেক্ট্রিক সাপ্লাই অথোরিটি সাবস্টেশন। তিন নেতার সমাধিস্থল- বাঙালি রাজনীতিবিদ এ.
কে. ফজলুল হক (১৮৭৩-১৯৬২), পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী হোসেন শহীদ
সোহ্রাওয়ার্দী (১৮৯২-১৯৬৩) এবং পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী এবং গভর্নর
জেনারেল খাজা নাজিমুদ্দিন (১৮৯৪-১৯৬৪) সমাধী। এই থানায় রয়েছে বাংলাদেশের
উল্লেখযোগ্য কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। যেমন‒
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়,
বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস এডমিনিস্ট্রেশন একাডেমী, বাংলাদেশ শেখমুজিব মেডিক্যাল
বিশ্ববিদ্যালয়, চারুকলা ইনস্টিটিউট, আইবিএ, আধুনিক ভাষা ইন্সটিটিউট। এছাড়া রয়েছে
কিছু জাতীয় প্রতিষ্ঠান। যেমন‒
বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর, কেন্দ্রীয় পাবলিক লাইব্রেরি এবং শিশু একাডেমী।
শাহবাগ ও শাহবাগ মোড়
বর্তমানে ঢাকার শাহবাগ অঞ্চল বলতে শাহবাগ
চার পাথার মোড়কেই বুঝায়। এই মোড়ের রমনা প্রান্তে রয়েছে শাহবাগ পুলিশ কন্ট্রোল রুম
এবং শাহবাগ থানা। এর পাশ দিয়ে চলে যাওয়া রাস্তাটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসির
মোড়ে পৌঁছেছে। এই রাস্তার অপরে ধারে (পুলিশ কন্ট্রোল রুম-এর উল্টো দিকে) রয়েছে
বাংলাদেশের জাতীয় যাদুঘর। যাদুঘরের পাশ দিয়ে চলে যাওয়া রাস্তাটি কাঁটাবনের মোড়ে
পৌঁছেছে। এই রাস্তার অপরে ধারে (যাদুঘরের-এর উল্টো দিকে) রয়েছে বঙ্গবন্ধু শেখ
মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়। এই বিশ্ববিদ্যালয়টিকে সাধারণভাবে পিজি হাসপাতাল নামে
পরিচিত। এর পাশ দিয়ে চলে যাওয়া রাস্তাটি ফার্মগেট মোড়ে পৌঁছেছে। এই রাস্তার অপরে
ধারে (পিজি হাসপাতাল -এর উল্টো দিকে) রয়েছে বিএসএমএমইউ বা বার্ডেম হাসপাতাল।
এই মোড়ের কয়েকশত গজের ভিতরে রয়েছে পুলিশ কন্ট্রোল রুম, বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর,
কেন্দ্রীয় পাবলিক লাইব্রেরি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যলয়ের একটি প্রান্ত এবং এই
বিশ্ববিদ্যালয় মসজিদ ও কবরস্থান, ঢাকা ক্লাব, শিশু পার্ক, টেনিস ফেডারেশন,
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল
বিশ্ববিদ্যালয়।
শাহবাগের ইতিহাস
যদিও সেন রাজাদের সময়, ঢাকা শহর এবং এর আশপাশে জনসংখ্যা বৃদ্ধি পেয়ে একটি জনপদ
হিসাবে গড়ে উঠেছিল। কিন্তু কোনো গুরুত্বপূর্ণ এলাকা হিসাবে বিবেচিত হয়নি দীর্ঘ দিন।
সম্রাট আকবরের আমলে বাংলা-বিহার-উড়িষ্যার প্রাদেশিক রাজধানী ছিলো বিহারের রাজমহল।
সুবা বাংলায় তখন চলছিলো মোঘলবিরোধী স্বাধীন বারো ভূইঁয়াদের রাজত্ব। বারো ভূইয়ার
নিয়ন্ত্রণ থেকে বাংলাকে নিজেদের আয়ত্তে আনার জন্য ১৫৭৬ থেকে ১৬০৫ খ্রিষ্টাব্দ
পর্যন্ত বারবার চেষ্টা চালানো হয়। এরপর সম্রাট জাহাঙ্গীরের শাসনামলে ১৬০৮
খ্রিষ্টাব্দে ইসলাম খান চিশতীকে রাজমহলের সুবেদার নিযুক্ত করেন। তিনি ১৬১০
খ্রিষ্টাব্দে বাংলার ভৌগোলিক অবস্থান বিবেচনা করে রাজধানী রাজমহল থেকে সরিয়ে ঢাকায়
স্থানান্তর করেন। সুবাদার ইসলাম খান ঢাকার নাম পাল্টে রাখেন জাহাঙ্গীরনগর। তখন থেকে
ঢাকা ক্রমে ক্রমে উল্লেখযোগ্য নগরী হিসাবে গড়ে উঠতে থাকে। ১৬৩৯ খ্রিষ্টাব্দে শাহ
সুজা ঢাকা থেকে রাজমহলে রাজধানী স্থানান্তর করেন। শাহ সুজা'র পতনের পর ১৬৬০
খ্রিষ্টাব্দে সুবেদার মীর জুমলা আবার রাজধানী ঢাকায় স্থানান্তর করেন।
মূলত এই সময়ের ঢাকার বিস্তৃতি ছিল আজকের
পুরানো ঢাকা অংশে। সেকালের মূল ঢাকা নগরের প্রান্তদেশ সম্প্রসারিত হতে থাকে। ১৬৬০
খ্রিষ্টাব্দ থেকে ১৬৬৩ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত বাংলার সুবাদার হিসেবে দায়িত্ব পালন
করেছেন। এই সময় তিনি একটি স্তম্ভ নির্মাণ করেছিলেন। এই স্তম্ভটি ঢাকা গেট
নামে পরিচিত।
১৭১৭ খ্রিষ্টাব্দে মুর্শিদকুলি খাঁ বাংলার সুবেদার হন এবং সুবে বাংলার
রাজধানী ঢাকা থেকে মুর্শিদাবাদে স্থানান্তরিত করেন। এই সময়ে ঢাকার শাহবাগ অঞ্চলে
রাজ-পৃষ্ঠপোষকতায় বেশ কিছু মসজিদ ও মাজার তৈরি হয়। ১৬৭৯ খ্রিস্টাব্দে খাজা শাহবাজ
কতৃক নির্মিত হয়েছিল ঢাকা হাই কোর্টের পিছনে অবস্থিত খাজা শাহবাজের মসজিদ-মাজার।
উল্লেখ্য এটি তৈরি করেছিলেন খাজা শাহবাজ। ১৭০৬ খ্রিষ্টাব্দে
নীলক্ষেত-বাবুপুরা'র একটি তিন গম্বুজ মসজিদ।
১৭১৭ খ্রিষ্টাব্দে মুর্শিদকুলি খাঁ বাংলার সুবেদার হন এবং সুবে বাংলার
রাজধানী ঢাকা থেকে মুর্শিদাবাদে স্থানান্তরিত করেন। এরপর ঢাকায় মোঘল শাসনামলে চলতো
নায়েবে নাজিমদের শাসন। ১৭৫৭ খ্রিষ্টাব্দে নবাব সিরাজদ্দৌলার পরাজয়ের পর ইস্ট
ইন্ডিয়া কোম্পানির হাতে বাংলার শাসন ক্ষমতা স্থানান্তরিত হয়। কোম্পানির আমলে
ভারতবর্ষের রাজধানী হিসাবে কলকাতার সৃষ্টি এবং বিকাশের সূত্রে ঢাকা অনেকাংশে ম্লান
হয়ে যায়। এই সময়ে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির জেলা প্রশাসক গ্রিফিথ কুকের পৃষ্ঠপোষকতায়
শাহবাগের বাগানগুলো যত্নের সাথেই ছিল।
১৮২৯ খ্রিষ্টাব্দে ঢাকা বিভাগ নামে একটি বৃহৎ বিভাগের সদর দফতরে পরিণত হয়। ১৮৩০ খ্রিষ্টাব্দে জেলা কালেক্টর হেনরি ওয়াল্টারের ঢাকা শহর উন্নয়নের লক্ষ্যে গঠিত ঢাকা কমিটি গঠন করেন। এইসময় শাহবাগসহ রমনা এলাকাকে আনুষ্ঠাঁনিকভাবে ঢাকা শহরের অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
ঢাকার বিশিষ্ট ব্যবসায়ী খাজা আলিমুল্লাহ বিপুল পরিমাণ অর্থ-সম্পত্তি উপার্জন করে, ইংরেজদের কাছ থেকে শাহবাগের জমিদারী ক্রয় করেন। এই সময় তিনি ঢাকা শহরের উন্নয়ন ও কল্যাণের জন্য নানাবিধ কাজ করেন। ১৯৪০ খ্রিষ্টাব্দ ঢাকা মিউনিসিপ্যালিটি গঠিত হলে তিনি এই কমিটির সদস্য হন এবং লালবাগ ও শাহবাগের উন্নয়নে নজর দেন।
১৮৪৬ খ্রিষ্টাব্দে খাজা আলিমুল্লাহ'র পুত্র খাজা আব্দুল গণি সমুদয় সম্পত্তির অধিকারী হন। খাজা আব্দুল গণি এবং তাঁর পুত্র খাজা আহাসানউল্লাহকে জমিদারি তদারকের দায়িত্ব দেন ১৮৬৮ খ্রিষ্টাব্দে। ১৮৭০ থেকে ১৮৭৬ খ্রিষ্টাব্দের ভিতরে তিনি শাহাবাগের প্রায় ২০০ বিঘা জমি ক্রয় করেন। ১৮৭৩ খ্রিষ্টাব্দে আহসানউল্লাহ এখানে একটি বাগান তৈরির কাজে হাত দেন। বাগানটি তৈরি হওয়ার পর নবাব খাজা আব্দুল গণি এর নাম দেন 'শাহবাগ' (রাজার বাগান)'। কোনো কোনো মতে- এই বাগনাটির আদি নাম ছিল "বাগ-ই-বাদশাহী" (রাজার বাগান)। পরবর্তীতে এটি সংক্ষিপ্ত নাম শাহ (ফার্সি:شاه, রাজা) বাগ (ফার্সি: باغ, বাগান) নামে পরিচিতি লাভ করে।
আদি ইশরাত মঞ্জীল |
শাহবাগের ইশরাত মঞ্জীল
এই সময়ে ইশরাত মঞ্জীল নামক একটি দ্বিতল আকর্ষণীয় বাড়ি তৈরি করা হয়েছিল। এই
বাইজিদের নাচার জন্য নাচঘর হিসেবে ব্যবহৃত হতো। এই সময়ের বাইজিদের মধ্যে পিয়ারী
বাই, ওয়ামু বাই, আবেদী বাই খুবই জনপ্রিয় ছিল। ইশরাত মঞ্জিল পুনঃনির্মান করে
হোটেল শাহবাগ (ইংরেজ স্থপতি এডোয়ার্ড হাইক্স এবং রোনাল্ড ম্যাক্কোনেলের নকশায়)
করা হয়, যা ঢাকার প্রথম প্রধান আন্তর্জাতিক হোটেল। ১৯৬৫ খ্রিষ্টাব্দে ভবনটি
ইনন্সটিটিউট অফ পোষ্ট-গ্রাজুয়েটে মেডিসিন এন্ড রিসার্চ
(IPGMR)
অধিগ্রহণ করে এবং পরর্তীতে ১৯৯৮ খ্রিষ্টাব্দে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল
বিশ্ববিদ্যালয় (BSMMU)
দ্বারা অধিগৃহীত হয়।
শাহবাগ জলসাঘর |
শাহবাগের জলসাঘর
শাহবাগের জলসাঘরটি তৈরি করা হয়েছিল মজলিসের জন্য। এছাড়া এর চত্বরে নবাব
পরিবারের লোকেরা এখানে স্কেটিং করতেন। এই কারণে একে স্কেটিং প্যাভেলিয়নও বলা হতো।
পরে এই ঘরটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্ভুক্ত হয়। ১৯৬০ খ্রিষ্টাব্দের দিকে এইখানে
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর কেন্টিন নামে পরিচিত হয়ে উঠে।
শাহবাগ অঞ্চলে একটি যাদুঘর ছিল, এর নাম ছিল
নিশাত মঞ্জিল। এটি ছিল মূলত নবাবদের ক্লাবঘর। এখানে বিশিষ্ট ব্যক্তিদের আপ্যায়ন করা
হতো। বর্তমান কাঁটাবন অঞ্চলে ছিল নবাবদের ঘোড়া রাখার আস্তাবল।
এছাড়া নবাব খাজা সলিমুল্লাহর আমলে 'শাহবাগ'-এর পাশে 'পরীবাগ' তৈরি করা হয়েছিল। খাজা
সলিমুল্লাহর বোন পরীবানুর নামে এই বাগনটি তৈরি করা হয়েছিল। ১৯২১ খ্রিষ্টাব্দ থেকে
ঢাকার সম্ভ্রান্ত মহিলাদের ঘুরে বেড়ানোর জন্য পরীবাগ প্রতি শনিবার উন্মুক্ত রাখা
হতো।
১৮৮৮ খ্রিষ্টাব্দের ২১ আগষ্ট বাংলা ছোটো লাট
বেইলীকে এবং ২৬ নভেম্বর বড় লাট লর্ড ডাফরিনেকে শাহবাগে সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছিল।
১৮৯১ খ্রিষ্টাব্দের ২৪ ফেব্রুয়ারি বাংলা ছোটো লাট ইলিয়টকে এবং ১৯০২ খ্রিষ্টাব্দের
২১ জুলাই বাংলা ছোটো লাট উডবার্নকে সংবর্ধনা দেওয়া হয় এখানে।
১৯০১ খ্রিষ্টাব্দে নবাব আহসানুল্লাহর অর্থে ঢাকা শহরে বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু হয়। তার
আগে থেকে শুধু শাহবাগের কিছু নির্দিষ্ট অংশে জেনারেটরের মাধ্যমে বিদ্যুতের ব্যবস্থা
করা হতো।
১৯০৪ খ্রিষ্টাব্দের ১৯ ফেব্রুয়ারি লর্ড কার্জন এই বাগবাড়ি পরিদর্শন করেন।
১৯০৫ খ্রিষ্টব্দের দিকে শাহবাগে স্থাপিত হয়েছিল ঢাকার প্রথম চিড়িয়াখানা।
১৯০৬ খ্রিষ্টাব্দের ১৪ ও ১৫ এপ্রিল শাহবাগের ইশরাত মঞ্জিলে পূর্ববঙ্গ ও আসাম
প্রাদেশিক মুসলমান শিক্ষা সমিতি গঠিত হয়। উল্লেখ্য এই সভায় প্রায় পাঁচ হাজার
স্থানীয় মুসলমান অংশগ্রহণ করেছিল।
১৯১৪ খ্রিষ্টাব্দের ৩১ জানুয়ারি লর্ড কারমাইকেল এবং ১৯২২ খ্রিষ্টাব্দের ১৪
ফেব্রুয়ারি লর্ড রোনাল্ডসকে সংবর্ধনা দেওয়া হয় শাহবাগে।
১৯৬০ খ্রিষ্টাব্দে তৎকালীন পাকিস্তান রেডিও, জাতীয় বেতার কেন্দ্র স্থাপিত
হয়।
১৯৭১ খ্রিষ্টাব্দে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান শাহবাগের কাছে এই রমনা রেসকোর্সের
ময়দান থেকে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ডাক দেন। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময়,
এসোসিয়েটেড প্রেস (এপি) এর পাকিস্তান ব্যুরো প্রধান আর্নল্ড জেইটলিন ও ওয়াশিংটন
পোষ্ট এর রিপোর্টার ডেভিড গ্রীনওয়ে সহ অনেক বিদেশী সাংবাদিক শাহবাগ মোড়ের হোটেল
ইন্টারকন্টিনেন্টালে (বর্তমানে হোটেল শেরাটন) অবস্থান নেন। এই সময় হোটেলটিকে
নিরপেক্ষ এলাকা ঘোষণা করা হয়।
২০১৩ খ্রিষ্টাব্দের ফেব্রুয়ারি মাসের ৫ তারিখে, যুদ্ধাপরাধী কাদের মোল্লার ফাঁসির দাবীতে, 'শাহবাগের গণজাগরণ- হয়।
সূত্র :
http://www.online-dhaka.com/619_847_2388_0-shahbag-thana-dhaka.html
http://www.banglapedia.org/bangla/index.htm