বুড়িগঙ্গা
বাংলাদেশের একটি নদী। বাংলাদেশের
রাজধানী ঢাকা এই নদীর তীরে অবস্থিত।
বুড়ি গঙ্গার মূল উৎস হলো পুরাতন
ব্রহ্মপুত্র। এই
নদীর উৎস স্রোতধারা বংশী নামে প্রবাহিত হয়ে তুরাগ নামে গাজীপুরে প্রবেশ করেছে। এরপর
মির্জাপুর, কালিয়াকৈর, কড্ডা, কাশিমপুর আশুলিয়া, টঙ্গীতে প্রবেশ করেছে। এরপর
ঢাকার মিরপুরের সীমান্ত ঘেঁষে নদীটি বুড়িগঙ্গায় পতিত হয়েছে। ঢাকাকে বেষ্টন করে
বুড়িগঙ্গা শীতলক্ষ্যা নদীর সাথে মিলিত হয়ে, শীতলক্ষ্যা নামে মেঘনা নদীতে পতিত
হয়েছে।
নদী উৎপন্ন হয়ে জামালপুর জেলার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে।
মধুপুর পৌঁছে নদীটি বানার এবং ঝিনাই নদীর শাখার
সাথে মিলিত হয়ে দক্ষিণ-পূর্ব দিকে অগ্রসর হয়েছে। এরপর এটি বাসাইল ও সখিপুরকে পৃথক
করে মির্জাপুর হয়ে কালিয়াকৈরে এসে দুইভাগে বিভক্ত হয়েছে। এর মূল ধারা তুরাগ নদী
নামে আরো দক্ষিণ পূর্বে গিয়ে ঢাকা-মিরপুর হয়ে
বুড়িগঙ্গায়
পতিত হয়েছে।
ধারণা করা হয়, কোনো এক সময়ে পদ্মার মূল ধারাটি
রামপুর-বোয়ালিয়া এলাকা ও চলন বিল এর মধ্য দিয়ে প্রবাহিত একটি নদী ধলেশ্বরী
ও বুড়িগঙ্গা নদীর মাধ্যমে মেঘনায় গিয়ে পড়তো। ১৮শ শতকে পদ্মার নিম্ন প্রবাহটি
ছিলো আরো দক্ষিণে। ১৯ শতকের মাঝামাঝি সময়ে মূল প্রবাহ ধলেশ্বরী হতে দক্ষিণের
প্রবাহে, তথা কীর্তিনাশা নদীতে সরে যায়, যা বর্তমানে পদ্মার মূল গতিপথ। এই
সূত্রে এই নদীটির নাম হয়েছিল বুড়িগঙ্গা।