টাঙ্গাইল জেলার উত্তর পশ্চিম প্রান্ত থেকে যমুনা নদী থেকে ধলেশ্বরী নদী সৃষ্টি
হয়েছে। এই নদী উত্তর ও দক্ষিণ বরাবর দুটি ভাগে বিভক্ত হয়েছে। এর উত্তরের অংশটি
ধলেশ্বরী নামেই প্রবাহিত হয়েছে। কিন্তু দক্ষিণের অংশ কালীগঙ্গা নাম প্রবাহিত হয়েছে।
মানিকগঞ্জের ভিতর দিয়ে কালীগঙ্গা প্রবাহিত হয়ে ধলেশ্বরীর সাথে পুনরায় মিলিত হয়ে ধলেশ্বরী নামে
প্রবাহিত হয়েছে। এরপর নারায়ণগঞ্জ জেলার
মদনগঞ্জের দক্ষিণে
শীতলক্ষ্যার
সাথে মিলিত হয়েছে। পরে এই নদী শীতলক্ষ্যা নামে মেঘনা
নদীতে পতিত হয়েছে।
ধলেশ্বরী বর্তমানে যমুনার শাখা, কিন্তু
প্রাচীন কালে এটি সম্ভবত পদ্মা নদীর মূল ধারা ছিলো। ১৬০০ হতে ২০০০ সালের মধ্যে
পদ্মার গতিপথ ব্যাপকভাবে পাল্টে গেছে। ধারণা করা হয়, কোনো সময়ে পদ্মার মূল ধারাটি
রামপুর-বোয়ালিয়া এলাকা ও চলন বিল এর মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়ে, পরে ধলেশ্বরী
ও বুড়িগঙ্গা নদীর মাধ্যমে মেঘনায় গিয়ে পড়তো। ১৮শ শতকে পদ্মার নিম্ন প্রবাহটি
ছিলো আরো দক্ষিণে। ১৯ শতকের মাঝামাঝি সময়ে মূল প্রবাহ ধলেশ্বরী হতে দক্ষিণের
প্রবাহে, তথা কীর্তিনাশা নদীতে সরে যায়, যা বর্তমানে পদ্মার মূল গতিপথ।