নীল নদ
আরবি: النيل আন-নীল। ইংরেজি:
Nile

আফ্রিকা মহাদেশের একটি নদী। তবে এই নদীর সাথে মূলত জড়িয়ে আছে মিশর

নীল নদের দুইটি উপনদী রয়েছে। এই উপনদীটি বলা হয় শ্বেত নীল নদ ও নীলাভ নীল নদ। এর মধ্যে শ্বেত নীল নদ নদকেই নীলনদের প্রধান স্রোতধারা হিসেবে বিবেচনা করা হয়। শ্বেত নীলের উৎপত্তি নিয়ে বিতর্ক আছে। অনেকে মনে করেন, আফ্রিকার বৃহত্তম হ্রদ ভিক্টোরিয়া থেকে এর উৎপত্তি। এই হ্রদের উত্তর প্রান্তে রয়েছে রিপন জলপ্রপাত। এই জলপ্রপাত থেকে উৎপন্ন একটি ক্ষীণ জলধারা থেকে শ্বেত নীলের জন্ম। মূলত বহু ঝর্ণার জল এসে ভিক্টোরিয়া হ্রদে মিশেছে। ফলে রিপন জলপ্রপাত থেকেই যে শ্বেত নীলের উৎপত্তি এটা দাবি করা যায় না।

ভিক্টোরিয়া হ্রদকে ঘিরে রয়েছে বহু পাহাড়। এসকল পাহাড় থেকে নেমে আসা ঝরনার জলে ভিক্টোরিয়া হ্রদের উৎপত্তি হয়েছে। এর ভিতরে কাগেরিয়া নদীর জলধারাকে ভিক্টোরিয়া হর্দের প্রধান উৎস হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এই নদীকে নীলের উৎস বিবেচনা করে নীল নদকে পৃথিবীর দীর্ঘতম নদ হিসেবে বিবেচনা করা হয়।

কাগেরিয়া নদী শ্বেত নীল নদ নাম নিয়ে মধ্য আফ্রিকার দক্ষিণ সুদান অঞ্চলে প্রবেশ করেছে। এরপর এই নদ সুদানের রাজধানী খার্তুমে নীলাভ নীল নদের সাথে মিলিত হয়েছে।
উল্লেখ্য, নীলাভ নীল নদ ইথিওপিয়ার তানা হ্রদ হতে উৎপন্ন হয়ে পূর্ব দিকে প্রবাহিত হয়ে সুদানে প্রবেশ করেছে এবং শ্বেত নীলের সাথে মিলিত হয়েছে। এরপর এই দুই নদের মিলিত স্রোত উত্তর দিকে প্রবাহিত হয়ে সুদানের আতবারাহ নগরের কাছে আতবারাহ নদের সাথে মিলিত হয়েছে। এরপর নীলনদ সুদান সীমান্ত অতিক্রম করে মিশরের নাসের হ্রদের সাথে মিলিত হয়েছে। এই হ্রদের উত্তরাংশ থেকে নীল নদ প্রবাহিত হয়ে ভূমধ্যসাগরে কাছে বিশাল ব-দ্বীপ সৃষ্টি করে ভূমধ্যসাগরে পতিত হয়েছে।

নীল নদের দৈর্ঘ প্রায় ৪,‌১৬০ মাইল (৬,৬৭০ কিলোমিটার)। এর সর্বোচ্চ প্রশস্ততা ১.৭ মাইল (২.৮ কিলোমিটার)। গড় গভীরতা ২৬-৩৬ ফুট (৮-১১ মিটার)

প্রাচীন মিশরের সভ্যতা নীলনদকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছিল। মূলত মিশরের জনসংখ্যার অধিকাংশ নীলনদের উপত্যকায় বসবাস করে। এবং এর বেশিরভাগ শহরের অবস্থান এই নদের তীরে।


সূত্র :