ভৌগোলিক স্থানাঙ্ক :
২৫.৬° উত্তর ৮৫.১° পূর্ব ।
ভারত প্রজাতন্ত্রের
বিহার
নামক প্রদেশের রাজধানী। ধারণা করা হয়
বিম্বিসার খ্রিষ্টপূর্ব ৪৯০-৪৯৩ অব্দের দিকে মৃত্যুবরণ করেন। সেই হিসেবে তাঁর
রাজত্বের শুরু হিসেবে খ্রিষ্টপূর্ব ৪৯০-৪৯৩ অব্দ ধরা হয়। সিংহাসন লাভের পর,
অজাতশত্রু গঙ্গানদীর তীরস্থ পাটলিগ্রামে একটি ছোট দুর্গের মতো একটি বসতি তৈরি
করেন। অজাতশত্রুর পরে এই শহর ছিল হর্যঙ্ক, নন্দ, মৌর্য, শুঙ্গ, গুপ্ত ও পাল রাজবংশের অধীনে মগধ সাম্রাজ্যের রাজধানী
হিসেবে পাটালীপুত্র গুরুত্বপূর্ণ নগরে এবং শিক্ষা ও শিল্পকলার একটি প্রাচীন
কেন্দ্রে পরিণত হয়েছিল। কালক্রমে পাটালীপুত্র নামটি পাটনা হয়েছে।
অবশ্য পাটালীপুত্র বা পাটনা নাম নিয়ে নানারকম গল্প প্রচলিত আছে। যেমন-
- স্থানীয় হিন্দু দেবী পাতনের নামানুসারে এই শহরের নামকরণ করা হয়েছে
'পাটনা'। উল্লেখ্য, পাটনার গুলজারবাগ মান্ডির কাছে পাতন দেবী মন্দির অবস্থিত। পাতন দেবীর আরেকটি মন্দির আছে পাটনা সাহিবের তখত শ্রী পাটনা সাহিবের কাছে।
- কোনো কোনো মতে, এই শহরের প্রাচীন নাম
'পাটলীপুত্র' পাটলী নামে এক ধরনের গাছের নাম থেকে এসেছিল। প্রাচীন পাটলীপুত্রে এই গাছ প্রচুর দেখা যেত। এই গাছটি বিহার রাজ্য পর্যটন উন্নয়ন পর্ষদের লোগো
- চীনা পর্যটক ফা হিয়েন এই শহরকে
'পা-লিন-ফউ' নামে উল্লেখ করেন। বিগত ২০০০ বছরে এই শহরটি বিভিন্ন নামে পরিচিত হয়েছে। যথা: পাটলীগ্রাম, পাটলীপুত্র, কুসুমপুরা, কুসুমধ্বজা, পুষ্পপুরম, পদ্মাবতী, আজিমাবাদ এবং বর্তমান নাম পাটনা।
- একটি কিংবদন্তি অনুসারে, পৌরাণিক রাজা পুত্রক তার রানি পাটলীর জাদুবলে এই শহর নির্মাণ করেন। সেই থেকে এই শহরের নাম প্রথমে হয় পাটলীগ্রাম। কথিত আছে, রানির প্রথম সন্তানের সম্মানার্থে এই শহরের নাম রাখা হয় পাটলীপুত্র।
- অপর একটি কিংবদন্তি অনুসারে, খ্রিষ্টপূর্ব ৪৩ অব্দে নাগসেন পাটলীপুত্র শহরেই মরকত বুদ্ধ মূর্তিটি নির্মাণ করেন।
নগরটি পাটনা শহরটি গঙ্গা নদীর দক্ষিণ তীরে অবস্থিত। তবে সোন, গণ্ডক ও পুনপুন নদী এই শহরের পাশ দিয়ে প্রবাহিত
হয়েছে। বর্তামনে শহরটি দৈর্ঘ্যে প্রায় ৩৫ কিলোমিটার (২২ মা) এবং প্রস্থে প্রায় ১৬ থেকে ১৮ কিলোমিটার (৯.৯ থেকে ১১.২ মা)।
পাটনা শহরটি শিখদের কাছে একটি পবিত্র শহর। এই শহরেই ১০ম শিখ গুরু গোবিন্দ সিং
জন্মগ্রহণ করেছিলেন।
সূত্র :
http://www.wbgov.com/
http://www.mapsofindia.com/