ইতিহাস: ধারণা করা হয় প্রায় নেপালের আদি বাসিন্দারা ছিল তিব্বতী-বার্মীয়
জনগোষ্ঠী। আনুমানিক ১৫০০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দের দিলে ইন্দো ইরানীয় বা আর্য জাতিগোষ্ঠী
এই অঞ্চলে প্রবেশ করেছিল। সে সময় এই অঞ্চলে ছোটো রাজ্যে বিভক্ত ছিল। ২৫০
খ্রিষ্টপূর্বাব্দে এই অঞ্চলটি উত্তর ভারতের মৌর্য সম্রাজ্যের অধীনে চলে যায়। এরপর
খ্রিষ্টীয় ৪র্থ শতাব্দীতে এটি গুপ্ত সম্রাজ্যের একটি পুতুল রাষ্ট্রে পরিণত হয়।
পঞ্চম শতাব্দীর শেষ হতে শুরু করে পরবর্তী বেশ কিছুটা লিচ্ছবি শাসকের অধীনে ছিল।
লিচ্ছবি সাম্রাজ্যের পতনের পর, ৮৭৯ খ্রিষ্টাবব্দে নেওয়ারিদের রাজত্ব শুরু হয় ।
একাদশ শতাব্দীর শেষ ভাগে নেপালের দক্ষিণাংশ দক্ষিণ ভারতের চালুক্য সাম্রাজ্যের
অধীনে আসে। চালুক্যদের রাজত্বকালে নেপালের ধর্মে ব্যাপক পরিবর্তন আসে কারণ সব রাজাই
হিন্দু ধর্মের পৃ্ষ্ঠপোষকতা করতেন।
গোর্খারাজ পৃথ্বীনারায়ণ শাহ কয়েক দশক ধরে যুদ্ধের পর কাঠমান্ডু উপত্যকা দখল করে
ছোটবড় রাজ্যে বিভক্ত নেপালকে একটি রাষ্ট্রীয় সংহতি দান করেন। নেপালের ইতিহাসে এই
সময় থেকে একটি শক্তিশালী রাষ্ট্রে পরিণত হয়। এই কারণে পৃথ্বীনারায়ণ শাহকে আজকের
নেপালের প্রতিষ্ঠাতা বলা হয়। [অসমাপ্ত]