উপসাগর
bay, gulf

বিপুল লবণাক্ত জলরাশি'র একটি সাধারণ নাম। উপসাগর কোনো সাগর বা মহাসাগরের সাথে যুক্ত থাকে। কিন্তু বিশাল স্থলভাগ এই জলরাশিকে ঘিরে থাকে। এর ফলে মহাসাগরের অবারিত তরঙ্গ এবং সামুদ্রিক বাতাসের অবাধ প্রবাহকে স্তিমিত করে দেয়। এই কারণে অনেক সময় বিশাল স্থলভাগের ভিতর একমুখ খোলা হ্রদ বা পুকুর বলা হয়।

ছোটো আকারের উপসাগরকে ইংরেজিতে বলা হয়
bay । যেমন বঙ্গোপসাগর। আর অপেক্ষাকৃত বড় উপসাগরকে ইংরেজিতে বলা হয় gulf । যেমন পারশ্য উপসাগর (Persian Gulf )। বাংলাতে bay এবং Gulf উভয়কেই উপসাগর বলা হয়।

মানব ইতিহাসে মহাসাগর বা সাগরের চেয়ে, উপসাগর বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ স্থানদখল করে আছে। বহু আগে থেকে উপসাগরের অপেক্ষাকৃত শিথিল সাগর তরঙ্গ এবং বায়ু প্রবাহের জন্য মানুষ মহাসাগর বা সাগরের চেয়ে উপসাগরকে অধিকতর নিরাপদ মনে করেছিল এবং উপসাগরের তীরে বসতি স্থাপন করেছিল। মৎস্য শিকারের জন্য উপসাগর বিশেষ উপযোগী। উপসাগর অপেক্ষাকৃত শান্ত এবং জলজ প্রাণী বিশেষ করে মাছ, শামুক, ঝিনুক ইত্যাদি অল্প জায়গার ভিতর সবচেয়ে বেশি পরিমাণ পাওয়া যায়। আন্তঃবাণিজ্য সুবিধার জন্যও নিরাপদ সমুদ্রবন্দর স্থাপন উপসাগরের তীর অনেক বেশ নিরাপদ।

সাধারণত উপসাগর তৈরিতে দুটি প্রধান ভৌগোলিক গুরুত্ব ঘটনা দায়ী।  পৃথিবীর মহাদেশ সমূহের ক্রমপরিবর্তনের উপসাগরের সৃষ্টি হয়েছিল। দ্বিতীয় কারণটি হলো
দীর্ঘদিন ধরে কোনো বড় নদী সাগরে পতিত হওয়ার প্রক্রিয়া স্থলভাগ ভেঙে ভেঙে স্থলবেষ্টিত সাগরের জন্ম দিয়েছে।

উপসাগরের তালিকা
বঙ্গোপসাগর