ভঙ্গিল পর্বত
ইংরেজি:
Fold Mountain
সমনাম : ভাঁজ পর্বত

পর্বতের শ্রেণিগত নাম। ভূ-ত্বকের শিলা স্তরে স্তরে সজ্জিত থাকে। এই শিলাস্তরে ভাঁজ পড়ে যে পর্বত গঠিত হয় তাকে ভঙ্গিল বা ভাঁজ পর্বত বলে। এই জাতীয় পর্বতের উৎপত্তি নিয়ে কয়েকটি মতবাদ আছে। এর ভিতরে দুটি মতবাদকে বিশেষভাবে উল্লেখ করা হয়। যেমন

ভঙ্গিল পর্বতের বৈশিষ্ট্যসমূহ
১. বিস্তীর্ণ অঞ্চল জুড়ে কোমল পাললিক শিলায় ঢেউয়ের মতো ভাঁজ পড়ে ভঙ্গিল পর্বতের সৃষ্টি হয়। ভঙ্গিল পর্বতের উপরের দিকের ভাঁজকে ঊর্ধ্বভঙ্গ
(Anticline) ও নিচের দিকের ভাঁজকে অধোভঙ্গ (Syncline) বলে। এই ভাঁজগুলো বিভিন্ন রকমের হতে পারে, যেমন প্রতিসম ভাঁজ, অপ্রতিসম ভাঁজ, উপরিপাত ভাঁজ ইত্যাদি।

২. ভঙ্গিল পর্বতগুলি সাধারণত পাললিক শিলায় গঠিত হলেও অনেক সময় ভঙ্গিল পর্বতে আগ্নেয় এবং রূপান্তরিত শিলার সহাবস্থান পরিলক্ষিত হয়। কারণ, ভঙ্গিল পর্বত সৃষ্টির সময় শিলাস্তরে ফাটল সৃষ্টি হলে, সেই ফাটল দিয়ে ভূগর্ভের ম্যাগমা লাভারূপে ভূপৃষ্ঠে বেরিয়ে আসে যা ধীরে ধীরে জমাট বেঁধে আগ্নেয় শিলার সৃষ্টি করে । এর পর কালক্রমে প্রচন্ড চাপ ও তাপের ফলে আগ্নেয় শিলা ও পাললিক শিলা রূপান্তরিত শিলায় পরিণত হয়।

৩. প্রবল ভূ-আলোড়নের জন্য ভঙ্গিল পর্বতে ভাঁজ ছাড়াও অনেক চ্যুতি বা ফল্ট দেখা যায়।
৪. প্রধানত সমুদ্র গর্ভ থেকে সৃষ্টি হয়েছিল বলে ভঙ্গিল পর্বতে জীবাশ্ম দেখা যায়।
৫.  ভঙ্গিল পর্বতগুলো সাধারণত প্রস্থের তুলনায় দৈর্ঘে অনেক বেশি বিস্তৃত হয়।
৬. ভঙ্গিল পর্বতগুলো সাধারণত বহু শৃঙ্গবিশিষ্ট ও ছুঁচালো হয়।
৯. ভঙ্গিল পর্বতের গঠন স্থায়ী নয়।

ভঙ্গিল পর্বতের উদাহরণ: