হোরি/হোলি
ভারতের ধর্মোৎসব এবং ভারতীয় আধা-শাস্ত্রীয় গান। ভারতের অঞ্চলভেদে এই হোরি বা হোলি বলা হয়। বঙ্গদেশে দুই নামেই অভিহিত হয়ে থাকে।
সনাতন হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের বৈষ্ণব-পন্থীরা
হোরি বা হোলি উৎসব
উপলক্ষে এই গান পরিবেশন করে থাকেন।
মূলত ফাল্গুন মাসের পূর্ণিমা তিথিতে
হোরি বা হোলি উৎসব অনুষ্ঠিত হয়। এই উৎসবে রাধা-কৃষ্ণের বিগ্রহকে
শুকনো আবির এবং রঙিন জলে স্নান করিয়ে দোলায় বসানো হয়। এই আনুষ্ঠানিকতার সাথে
ভক্তদের রং ছিটানো বা রং মাখার খেলা চলে। এর সাথে থাকে রাধাকৃষ্ণের লীলা-বিষয়ক সঙ্গীত।
হোরি উৎসবের গান হিসেবে এই গানকেও হোরি গান বলা হয়।
হোলি উৎসব বঙ্গদেশের বাইরে থেকে আগত উৎসব। প্রাচীনকাল থেকে বারানসী, মির্জাপুর,
মথুরা, এলাহাবাদ, বিহারের
ভোজপুর অঞ্চলে
হোরি বা হোলি উৎসব প্রচলিত ছিল। পরে ধীরে ধীরে ভারতের অন্যান্য প্রদেশে ছড়িয়ে পড়েছিল। বঙ্গদেশে নগরকেন্দ্রিক বৈষ্ণবরা এই উৎসব পালন
করলেও, গ্রামাঞ্চলে বৈষ্ণবরা দোল-উৎসবকে যথার্থ রঙের খেলায় মেতে উঠেন না। এই কারণে
হোরি বা হোলি গান বঙ্গদেশের লোকজ গানের অংশ হয়ে ওঠে নি।
বাংলাতে বিভিন্ন গীতিকাররা হোলি গান রচনা করেছেন। এর ভিতরে
কাজী নজরুল ইসলাম বাংলা
হোলি গান রচনায় বিশেষ অবদান রেখেছেন।