গান্ধারপঞ্চমী জাতি
এই জাতির গ্রামরাগ
ছিল গান্ধারপঞ্চমী। এই গ্রামরাগের
নামানুসারে এর নামকরণ করা হয়েছিল- গান্ধারপঞ্চমী জাতি। খ্রিষ্টীয় দ্বিতীয় শতাব্দীতে ভরতে
রচিত নাট্যশাস্ত্রে প্রথম এই গ্রামরাগ বা জাতিগানের পরিচয় দেওয়া হয়। নিচের
নাট্যশাস্ত্রে এই গ্রামরাগ বা জাতিগান সম্পর্কিত বর্ণিনানুসারে, এর পরিচয় তুলে ধরা
হলো।
গান্ধারপঞ্চমী জাতির পরিচয়:
গ্রাম: মধ্যম
গ্রামজাতি: বিকৃত
[মধ্যম গ্রামের গান্ধারী
ও
পঞ্চমী
গ্রামরাগের সংমিশ্রণ
সৃষ্ট]
স্বরজাতি: সপ্তস্বরা
অংশস্বর: পঞ্চম
গ্রহস্বর: পঞ্চম
ন্যাস স্বর: গান্ধার
অপন্যাস: ঋষভ ও পঞ্চম
তাল: চচ্চৎপুট। ১৬ কলা
প্রয়োগ: ধ্রুবা গান। চতুর্থ প্রেক্ষণ
স্বরসংখ্যাভিত্তিক
জাতি:
- সম্পূর্ণ: সকল স্বর ব্যবহৃত হবে।
- ষাড়ব: ষড়্জ বর্জিত
- ঔড়ব: নাই
তথ্যসূত্র:
-
নাট্যশাস্ত্র (চতুর্থ খণ্ড)। ভরত। বঙ্গানুবাদ: ডঃ সুরেশচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায় ও
ডঃ ছন্দা চক্রবর্তী। নবপত্র প্রকাশন।ডিসেম্বর ২০১৪। পৃষ্ঠা:
১৯
-
সঙ্গীতরত্নাকর। শার্ঙ্গদেব। সুরেশচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুবাদ। রবীন্দ্রভারতী
বিশ্বিদ্যালয়। ২২ শ্রাবণ ১৫০৮।