গ্রাম: মধ্যমগ্রাম
জাতি প্রকৃতি: শুদ্ধ
স্বরজাতি: পঞ্চস্বরা
- সম্পূর্ণ: সকল স্বর ব্যবহৃত হবে।
- ষাড়ব: গান্ধার বর্জিত হবে
- ঔড়ব: গান্ধার ও নিষাদ বর্জিত হবে। অংশ স্বর ঋষভ হলে ঔড়ব হবে না।
অংশস্বর: ঋষভ ও পঞ্চম
গ্রহস্বর: ঋষভ ও পঞ্চম
ন্যাস স্বর: পঞ্চম
অপন্যাস: ঋষভ, পঞ্চম ও নিষাদ
রস: মধ্যম ও পঞ্চম-এর ব্যবহার বহুল হল হলে শৃঙ্গার ও হাস্য হয়।
তাল: চচ্চৎপুট।
বৃত্তি: চিত্র, বার্তিক ও দক্ষিণ।
গীতি: এককল চিত্রামার্গে মাগধীগীতিতে, দ্বিকলে বার্তিক মার্গে সম্ভাবিতা গীতি এবং চতুষ্কলে দক্ষিণামার্গে পৃথুলা গীতিতে ব্যবহৃত হতো।
প্রয়োগ: ধ্রুবা গান হিসেবে নাটকের
এর ব্যবহার ছিল ধ্রুবা গানে। নাটকের তৃতীয় প্রেক্ষণে এর প্রয়োগ ছিল। মূলত নৈষ্ক্রামিকী ধ্রুবায়- বীর, রৌদ্র এবং অদ্ভুত রসে এর প্রয়োগ ছিল। তাল হিসেবে ব্যবহৃত হত চচ্চৎপুটট। এই গান এককল চিত্রামার্গে মাগধীগীতি, দ্বিকলে বার্তিক মার্গে সম্ভাবিতা গীতি এবং চতুষ্কলে দক্ষিণামার্গে পৃথুলা গীতিতে ব্যবহৃত হতো।
সঙ্গীতরত্নাকরে এই রাগের যে প্রস্তার দেওয়া হয়েছে, তা নিচে দেওয়া হলো-
এই জাতির সাথে অন্য জাতির মিশ্রণে সৃষ্ট বিকৃত জাতিসমূহ।
এরপর খ্রিষ্টীয় ষষ্ঠ শতাব্দীর ভিতরে এই গ্রামরাগগুলোর সাথে অন্যান্য দেশীরাগগুলো
যুক্ত হয়। তখন আদি গ্রামরাগ এবং বিভিন্ন দেশী দেশে প্রচলিত রাগগুলোকে একত্রিত করে
বর্গীকরণ করা হয়। এই সময়ে মতঙ্গের রচিত বৃহদ্দেশী গ্রন্থে গ্রামরাগের শ্রেণীগুলোকে
গীতের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল। তিনি ভরতের পরবর্তী সঙ্গীতজ্ঞদের ভাবনার সাথে সমন্বয়
করে গীতের শ্রেণিকরণ সম্পন্ন করেছিলেন। এই গ্রন্থে তিনি ৭ প্রকার
গীতের উল্লেখ
করেছিলেন। এগুলো হলো-
চোক্ষ
(শুদ্ধা), ভিন্না (ভিন্নকা),
বেসরা, গৌড়ী গৌড়িকা,
ও সাধারিতা।
গ্রামরাগগুলোকে সাধারণ কিছু বৈশিষ্ট্যের বিচারে গীতের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল। এই
সময় রাগগুলো গ্রামভিত্তিক পরিচয় হারিয়ে- গীতভিত্তিক পরিচয়ে পরিচিত হয়ে উঠেছিল। ফলে
ষড়্জ ও মধ্যম গ্রামরাগ থেকে উদ্ভুত রাগগুলো গীতের অধীনস্থ হয়ে গিয়েছিল। এই সময়
পঞ্চমী ছিল শুদ্ধ বা চোক্ষ গীতের অধীনস্থ মধ্যম গ্রামের একটি
গ্রামরাগ।