গ্রাম: মধ্যমগ্রামএর ব্যবহার ছিল ধ্রুবা গানে। নাটকের তৃতীয় প্রেক্ষণে করুণ রসে এর প্রয়োগ ছিল। তাল হিসেবে ব্যবহৃত হত চচ্চৎপুট। এই গান এককল চিত্রামার্গে মাগধীগীতিতে, দ্বিকলে বার্তিক মার্গে সম্ভাবিতা গীতি এবং চতুষ্কলে দক্ষিণামার্গে পৃথুলা গীতিতে ব্যবহৃত হতো।
জাতি প্রকৃতি: শুদ্ধ
স্বরজাতি:
- সম্পূর্ণ: সকল স্বর ব্যবহৃত হবে। তবে ঋষভ ও ধৈবতের অল্পত্ব হবে। ম ধ রগ সুরশৈলী হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
- ষাড়ব: ঋষভ বর্জিত হবে।
- ঔড়ব: ঋষভ ও ধৈবত বর্জিত হবে। ম গ ম সুরশৈলী ব্যবহৃত হয়।খ
অংশস্বর: গান্ধার, ষড়্জ, মধ্যম, পঞ্চম এবং নিষাদ
গ্রহস্বর: গান্ধার, ষড়্জ, মধ্যম, পঞ্চম এবং নিষাদ
ন্যাস স্বর: গান্ধার
অপন্যাস: ষড়্জ এবং পঞ্চম
রস: অংশস্বর গান্ধার ও নিষাদ হলে করুণ হয়। মধ্যম ও পঞ্চম বহুল হলে শৃঙ্গার ও হাস্য হয়।
এই জাতির সাথে অন্য জাতির মিশ্রণে সৃষ্ট বিকৃত জাতিসমূহ।
গান্ধারী ভাষারাগ
খ্রিষ্টীয় চতুর্থ পঞ্চম শতাব্দীর
সঙ্গীতজ্ঞ
যাষ্টিকের
মতে এই রাগটি ছিল
ভিন্নষড়্জ
গ্রামরাগের
ভাষা রাগ।
বৃহদ্দেশীতে বৃহদ্দেশীতে [পৃষ্ঠা: ১৯২-১৯৩] যাষ্টিকের উদ্ধৃতিতে
ভিন্নষড়্জ গ্রাম রাগের
ভাষারাগ হিসেবে উল্লেখ আছে। কিন্তু
দাক্ষিণ্যাতা রাগের রাগ-বিবরণী
অংশে [পৃষ্ঠা: ২২৫] এর রাগ পরিচিতি হিসেবে উল্লেখ আছে- এটি সঙ্কীর্ণা রাগ। এই
রাগে গান্ধার স্বরের বিশেষভাবে ব্যবহৃত হয়। গান্ধার ও ধৈবতের মধ্যে স্বরসঙ্গতি।
রাগটি
মোগল আমলে জনপ্রিয়তা লাভ করেছিল সদারঙ্গের রচিত খেয়াল গানের মাধ্যমে। গোপেশ্বর
বন্দ্যোপাধ্যায়ের রচিত সঙ্গীতচন্দ্রিকাতে সদরাঙ্গের রচিত একটি খেয়াল গান পাওয়া যায়
[পৃষ্ঠা: ৮৫৬]। ভাতেখণ্ডেজির ঠাট বিন্যাসে রাগটিকে
আশাবরী
ঠাটে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এই রাগে জ্ঞ, দ, ণ এবং দুই ঋষভ ব্যবহৃত হয়। এর
আরোহণে শুদ্ধ ঋষভ এবং অবরোহণে কোমল ঋষভ ব্যবহৃত হয়। এর আরোহ অনেকটা
জৌনপুরীর মতো এবং
অবরোহণে
ভৈরবী-এর
মতো।
আরোহণ:
স র ম প দ ণ র্স।
অবরোহণ : র্স দ প, ণ
দ প, দ ম প, জ্ঞ ঋ স।
ঠাট
:
আশাবরী
।
জাতি : ষাড়ব (গান্ধার
বর্জিত)-সম্পূর্ণ (বক্র)।
বাদীস্বর : কোমল ধৈবত।
সমবাদী স্বর : কোমল
গান্ধার।
অঙ্গ :
উত্তরাঙ্গ।
সময়
:
দিনের দ্বিতীয় প্রহর।