চচ্চৎপুট
ভিন্ন নাম: চঞ্চৎপুট
প্রাচীন ভারতীয় সঙ্গীত পদ্ধতিতে
তাল বিশেষ। ভরতের নাট্যশাস্ত্র মতে- তালের উৎস দুই প্রকার।
প্রকার দুটি হলো- চতরশ্র ও ত্র্যশ্র। এরই অপর নাম চঞ্চৎপুট ও চাপুট। উল্লেখ্য
বৃহদ্দেশী, সঙ্গীতরত্নাকর ইত্যাদি গ্রন্থে চঞ্চৎপুটকে চচ্চৎপুট নামে অভিহিত করা
হয়েছে। নাট্যশাস্ত্র মতে- এই তাল ব্যবহৃত হতো নাটকের পূর্বরঙ্গে নৃত্য ও গীতের সাথে।
এই তালের প্রথম দুটি দীর্ঘ মাত্রা, পরের ভাগে হ্রস্ব অর্থাৎ ১ মাত্রা হবে। শেষে
ব্যবহৃত হবে দীর্ঘ মাত্রা। সব মিলিয়ে এর মান হবে- গুরু-গুরু-লঘু-গুরু।
সঙ্গীতরত্নাকরের মতে এর শেষাংশ গুরু হলেও- এর ব্যবহার হতো প্লুত বা তিন মাত্রার মতো।
মোট মাত্রার সংখ্যা ছিল ৩২।
তালের মাত্রা সঙ্কেত।
I
=লঘু,
মাত্রা সংখ্যা ৪
S
=গুরু,
মাত্রা সংখ্যা ৮
S'
=প্লুত,
মাত্রা সংখ্যা ১২
|
মাত্রা সঙ্কেত |
S |
S |
I |
S' |
|
মাত্রামান |
৮ |
৮ |
৪ |
১২ |
প্রাচীন জাতি গানে এই তালটি সুনির্দিষ্ট গ্রামরাগের সাথে
পরিবেশিত হতো। যে সকল জাতি গান এবং গ্রামরাগে ব্যবহৃত হতো।
তথ্যসূত্র:
- বৃহদ্দেশী। মতঙ্গ। সম্পাদনা রাজ্যেশ্বর মিত্র। সংস্কৃত পুস্তক ভাণ্ডার।
১৯৯২।
- নাট্যশাস্ত্র। চতুর্থ খণ্ড, একত্রিংশ অধ্যায় (তালব্যাঞ্জক)।
পৃষ্ঠা: ৪৮
- সঙ্গীতমকরন্দঃ। নারদ। সম্পাদনা ও ভাষান্তর: ডঃ
প্রদীপকুমার ঘোষ। রিসার্চ ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়ান মিউজিকোলোজি। ১ মার্চ ১৯৮৮
- সঙ্গীতরত্নাকর। তালাধ্যায়। শার্ঙ্গদেব। সুরেশচন্দ্র
বন্দ্যোপাধ্যায়। রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়, কলকাতা। ২২ শ্রাবণ ১৪০৮। পৃষ্ঠা:
১৭৪