চচ্চৎপুট
ভিন্ন নাম: চঞ্চৎপুট<

প্রাচীন ভারতীয় সঙ্গীত পদ্ধতিতে তাল বিশেষ  খ্রিষ্টীয় দ্বিতীয় শতাব্দীতে রচিত ভরতের নাট্যশাস্ত্রে একে চঞ্চৎপুট নামে অভিহিত করা হয়েছে। খ্রিষ্টীয় ষষ্ঠ শতাব্দীতে মতঙ্গের রচিত বৃহদ্দেশীতে এই তালের নাম হিসেবে পাওয়া যায়- চচ্চৎপুট। পরে এই নামটিই প্রতিষ্ঠা লাভ করেছিল।

নাট্যশাস্ত্রে তালের দুটি উৎসের কথা বলা হয়েছে। এই উৎস দুটি হলো- চতরশ্র ও ত্র্যশ্র। এর ভিতরে চঞ্চৎপুট হবে চতরশ্র। প্রাচীন সঙ্গীত পদ্ধতিতে ৫টি লঘু অক্ষর উচ্চারণের (কচটতপ) সময়কে ধরা হতো এক লঘু মাত্রা।

মাত্রা ও অক্ষরের পরিমাপ হলো-
১ লঘু মাত্রা= ৪ অক্ষর। সঙ্কেত= I
১ গুরু মাত্রা= ৮ অক্ষর=
S
১ প্লুত মাত্রা=১২ মাত্রা। সঙ্কেত = S'
চচৎপুট তালের প্রথম দুটি দীর্ঘ মাত্রা, পরের ভাগে হ্রস্ব অর্থাৎ ১ মাত্রা হবে। শেষে ব্যবহৃত হবে দীর্ঘ মাত্রা। সব মিলিয়ে এর মান হবে- গুরু-গুরু-লঘু-গুরু। সঙ্গীতরত্নাকরের মতে এর শেষাংশ গুরু হলেও- এর ব্যবহার হতো প্লুত বা তিন মাত্রার মতো। এর সংকেত দাঁড়ায় গ গ ল প এই বিচারে চচ্চৎপুট তালের তালাঙ্ক হয়, গ গ ল প =S S I । অক্ষরের বিচারে হয় ৮।৮।২।১২

মূল তালটি ছিল যথাক্ষর। এর অপর দুটি প্রকরণ ছিল দ্বিকল এবং চতুষ্কল।
চচ্চৎপুট তালের দ্বিকল ছিল- যথাক্ষরের দ্বিগুণ। দ্বিকলে এই তালের দ্বিগুণ হতো- 
            গগ গগ লল পপ =
SS SS II S'S' = SS SS S SS
এখানে শেষ অক্ষরটি গুরু হলেও প্লুত হিসেবে বিবেচিত হলে- বিবেচিত হতো। কিন্তু দ্বিকলে একে গুরু হিসেবে মান্য করে দুটি
S'S' হতো দুটি গুরু মাত্রা ফলে শেষ দুটি সঙ্কেত হতো SS হিসেবে

চচ্চৎপুট তালের যথাক্ষরের ৪গুণ। যথাক্রের  চারিগুণ হতো- 

        SSSS SSSS IIII
S'S'
        =SSSS SSSS SS
(S=I) S'S'S'S' (S'=SI)
        =SSSS SSSS SSSS SSSS


তথ্যসূত্র: