পঞ্চম
ভারতীয় সঙ্গীতশাস্ত্রের একটি রাগ বিশেষ।  খ্রিষ্টীয় ষষ্ঠ শতাব্দীতে মতঙ্গের রচিত বৃহদ্দেশী গ্রন্থে বর্ণিত টক্ক রাগের অন্তর্গত ১৬টি ভাষা রাগের একটি। বৃহদ্দেশীতে একে বলা হয়েছে 'লোকরঞ্জনী'। প্রাচীন এই  রাগের পঞ্চম-ঋষভ এবং ষড়্জ-মধ্যম স্বরসঙ্গতি ঘটতো।  

বৃহদ্দেশীতে বর্ণিত পঞ্চম রাগের পরিচিতি
গ্রাম: ষড়্‌জ গ্রাম
গ্রামরাগ: টক্ক
রাগ প্রকৃতি: ভাষা (গীত)
আরোহণ : স, র, অন্তর গান্ধার, ম, প, ধ, কাকলী নিষাদ, র্সা
আরোহণ: র্সা, কাকলী নিষাদ, প, ধ, ম, অন্তর গান্ধার, র, স
জাতি: সম্পূর্ণ-সম্পূর্ণ
অংশস্বর: পঞ্চম
ন্যাস স্বর: ষড়্‌জ
বৃহদ্দেশীতে বর্ণিত পঞ্চম রাগের আক্ষিপ্তিকা।



প্রাচীন ভারতের ধ্রুবাগানে ব্যবহৃত এই রাগ বিবর্তিত হয়ে উত্তর ভারতীয় সঙ্গীত পদ্ধতিতে নতুন রূপ লাভ করেছিল। খ্রিষ্টীয় সপ্তদশ শতাব্দীর দিকে ঠাট পদ্ধতিত এর ঠাট মারবা।  এই সময়ে কিছু রাগের মতো - এই রাগে চিত্ররূপ প্রকাশিত হয়েছিল। [চিত্ররূপ-১৬৯০-১৬৯০ খ্রিষ্টাব্দ ]

এর দুটি প্রকরণ প্রচলিত রয়েছে।

প্রথম প্রকরণ

আরোহণ: স ম হ্মগ, হ্মধ ন ধ র্স 
অবরোহণ: র্স ন ধ হ্মমগ হ্ম ম গ ঋ স
ঠাট: মারবা
জাতি: ষাড়ব (পঞ্চম বর্জিত) -ষাড়ব (পঞ্চম বর্জিত)
বাদীস্বর: মধ্যম
সমবাদী স্বর: ষড়্‌জ
অঙ্গ: পূর্বাঙ্গ।
সময়: রাত্রির শেষ প্রহর

দ্বিতীয় প্রকরণ

আরোহণ: স গ হ্ম, মধ ন র্স 
অবরোহণ: র্স ন ধ হ্মম গ ঋ স
ঠাট: মারবা
জাতি: ঔড়ব (ঋষভ পঞ্চম বর্জিত) -ষাড়ব (পঞ্চম বর্জিত)
বাদীস্বর: মধ্যম
সমবাদী স্বর: ষড়্‌জ
অঙ্গ: পূর্বাঙ্গ।
সময়: দিবা  প্রথম প্রহর

তথ্যসূত্র: