আন্ধ্রী
ভারতীয় সঙ্গীত পদ্ধতিতে একটি বিভাষা রাগ। এর অপর নাম অন্ধালী।

ভরতের নাট্যশাস্ত্রে এই নামে একটি জাতিগানের উল্লেখ আছে। তবে এই জাতিগানটি ছিল সে আমলে প্রচলিত গ্রাম রাগ। এই গ্রাম রাগটি উৎপত্তি হয়েছিল মধ্যম গ্রাম থেকে। ষড়্‌জগ্রামের আর্যভী এবং মধ্যম গ্রামের গান্ধারী'র সংমিশ্রণে এই গ্রামরাগ বা জাতিগানের উৎপত্তি হয়েছিল। এই কারণে একে বলা হয়েছে বিকৃত জাতিগান। ব্যবহার ছিল ধ্রুবা গানে। নাটকের চতুর্থ প্রেক্ষণে এর প্রয়োগ ছিল। তাল হিসেবে ব্যবহৃত হত চচ্চৎপুট।  এই গান এককল চিত্রামার্গে মাগধীগীতিতে, দ্বিকলে বার্তিক মার্গে সম্ভাবিতা গীতি এবং চতুষ্কলে দক্ষিণামার্গে পৃথুলা গীতিতে ব্যবহৃত হতো।  

খ্রিষ্টীয় ষষ্ঠ শতাব্দীতে রচিত বৃহদ্দেশীতে [পৃষ্ঠা: ১৯২] যাষ্টিকের উদ্ধৃতিতে পঞ্চমের দশটি ভাষার রাগের একটি হিসেব উল্লেখ করা হয়েছে। কিন্তু আন্ধ্রী রাগের বিবরণী অংশে [পৃষ্ঠা: ২২১-২২২] একে বলা হয়েছে-  পঞ্চম -এর একটি বিভাষা রাগ। এই রাগে ষড়্‌জ দুর্বল। এই রাগে কাকলী নিষাদ ব্যবহৃত হয়।  বৃহদ্দেশীতে বলা হয়েছে- এই রাগ কিন্নরগণের প্রিয় ছিল।  
গ্রাম: মধ্যমগ্রাম
গ্রামরাগ: পঞ্চম
রাগ প্রকৃতি:  বিভাষা রাগ
আরোহণ : স, র, অন্তর গান্ধার, ম, প, ধ, কাকলী নিষাদ, র্সা
আরোহণ: র্সা, কাকলী নিষাদ, প, ধ, ম, গ, র, স
জাতি: সম্পূর্ণ-সম্পূর্ণ
অংশস্বর: ঋষভ
ন্যাস স্বর: ঋষভ
বৃহদ্দেশীতে দেওয়া এই রাগের আক্ষিপ্তিকা দেওয়া হলো।



তথ্যসূত্র: