ঊর্ধ্বক্রমবাচকতা { স্বর | সাঙ্গীতিক স্কেল | সঙ্গীতোপযোগী ধ্বনি| শ্রবণ যোগাযোগ | যোগাযোগ | বিমূর্তন | বিমূর্ত সত্তা | সত্তা|}অর্থ: প্রাচীন ভারতীয় সঙ্গীতে ব্যবহৃত যে স্বর অংশ (প্রধান, মুখ্য)।
পরে জাতিগানের দশলক্ষণের ভিতরে অংশস্বরকে ধরা হয়েছে। এই স্বরটি আধুনিক রাগশাস্ত্রে অনেকে বাদীস্বর বলে থাকেন। মূলত রাগের মুখ্য স্বর হিসেবে একে বাদীস্বরের সাথে তুলনা করা যায়, বটে কিন্তু ব্যবহারের ক্ষেত্রে এই দুট স্বর এক নয়। প্রাচীন গ্রামরাগ বা জাতিগানে অংশ স্বর রাগভেদে একাধিক হতে পারে। কিন্তু আধুনিক বাদীস্বর একটি রাগে এটি স্বরই হয়ে থাকে। ১৮টি জাতিগানের অংশস্বর ছিল ৬৩টি। উল্লিখিত গ্রন্থানুসারে জাতিগানগুলোর অংশস্বরের তালিকা দেওয়া হলো-
জাতি গান | অংশ স্বর |
মধ্যমোদীচাবা | পঞ্চম |
নন্দয়ন্তী | পঞ্চম |
গান্ধারপঞ্চমী | পঞ্চম |
ধৈবতী | ধৈবত ও ঋষভ |
গান্ধারোদীচ্যবা | ষড়্জ ও মধ্যম |
পঞ্চমী | ঋষভ ও পঞ্চম |
আর্যভী | ঋষভ, ধৈবত ও নিষাদ |
নৈষাদী | ঋষভ, গান্ধার ও নিষাদ |
কৈশিকী | ষড়্জ, গান্ধার ও পঞ্চম |
ষড়্জোদীচ্যবতী | ষড়্জ, মধ্যম, ধৈবত ও নিষাদ |
কর্মারবী | ঋষভ, ধৈবত, নিষাদ ও পঞ্চম |
আন্ধ্রী | ঋষভ, গান্ধার, পঞ্চম এবং নিষাদ |
মধ্যমা | ষড়্জ, ঋষভ, মধ্যম, পঞ্চম এবং ধৈবত |
ষাড়্জী | ষড়্জ গান্ধার, মধ্যম, পঞ্চম এবং ধৈবত |
গান্ধারী | ষড়্জ, গান্ধার, মধ্যম, পঞ্চম এবং নিষাদ |
রক্তগান্ধারী | ষড়্জ, গান্ধার, মধ্যম, পঞ্চম এবং নিষাদ |
কৈশিকী | ষড়্জ, গান্ধার, মধ্যম, পঞ্চম, ধৈবত এবং নিষাদ |
ষড়্জমধ্যমা | সাতটি স্বরই অংশস্বর |