যোগাযোগ
একটি সত্তার সাথে অন্য একটি সত্তার যুক্ত থাকা বা হওয়াটা একটি ঘটমান দশা।
ঊর্ধ্বক্রমবাচকতা {যোগাযোগ | মনুষ্য কার্যকলাপ | কার্যক্রম | মনস্তাত্ত্বিক ঘটনা | বিমূর্তন | বিমূর্ত সত্তা | সত্তা | }
ইংরেজি:
communication

ব্যাখ্যা: একটি সত্তার সাথে অন্য একটি সত্তার যুক্ত থাকা বা হওয়াটা একটি ঘটমান দশা। একই ভাবে দুটি সত্তা পরস্পর থেকে বিযুক্ত হওয়াটাও একটি ঘটমান দশা। এরূপ দুটি দশার পুনপুন পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে যোগাযোগ ঘটে। ধরা যাক, একজন মানুষ অন্য একজন মানুষের পরস্পরের কাছে এলো। এটা হবে উভয়ের জন্য যুক্ত দশা। যতক্ষণ এরা যুক্ত থাকবে, ততক্ষণ একটি স্থায়ী সংযোগ থাকবে। কিন্তু লোক দুটি পরস্পরের সাথে কিছু সময় যুক্ত থাকার পর বিচ্ছিন্ন হয়ে গেলো। এর ফলে উভয়ের ভিতরে অযোগ দশার সৃষ্টি হবে। যদি লোক দুটির ভিতরে বারবার এরূপ যোগ ও অযোগ (অযুক্ত দশায় নেই) দশায় চলতে থাকে, তবে তাকে বলা হবে যোগাযোগ।

যোগাযোগের ক্ষেত্রকে বিচার করলে দেখা যায়, সকল যোগাযোগ একই রকমের হয় না। যখন দুটো মানুষ চোখে চোখ রেখে বুঝবার চেষ্টা করে, তখন তা হয়ে ওঠে মনস্তাত্ত্বিক ঘটনার বিষয়। কিন্তু স্যাটেলাইট থেকে স্যাটেলাইটে যে যোগাযোগ হয়, তা যান্ত্রিক। আবার মানুষ যখন বাঘের পায়ের ছাপ থেকে, বাঘের উপস্থিতি বুঝতে পারে, তখন তা হয়ে যায় আধা-মনস্তাত্ত্বিক যোগাযোগ। এরূপ নানা বিষয় বিবেচনা করলে যোগাযোগের যে সকল প্রকরণ পাওয়া যায়, তাকে নিম্নোক্ত ভাগে ভাগ করতে পারি।
১. যান্ত্রিক যোগাযোগ: স্বয়ংক্রিয়ভাবে যন্ত্রসমূহের ভিতরে এই যোগাযোগ ঘটতে পারে। মানুষ নিজেদের ভিতরে এই যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে তোলে। যেমন- স্যাটেলাইট থেকে স্যাটেলাইটে যোগাযোগ।
২. কর্ম যোগাযোগ: মানুষ নিজের প্রয়োজনে বড় পরিসরে কর্মক্ষেত্রে এই ধরনের যোগাযোগ রক্ষা করে। এক্ষেত্রে মানুষের চেয়ে বড় করে দেখা হয়, কর্মক্ষেত্রকে। যেমন- অফিসের সাথে যোগাযোগ। এই জাতীয় যোগাযোগের সাথে থাকে মনস্তাত্ত্বিক ঘটনার গভীর সম্পর্ক। যেমন-
  • মনস্তাত্ত্বিক ঘটনা (psychological feature) :জীবের মনোজগতের ঘটনা।
    • কার্যক্রম (event) : একটি সুনির্দিষ্ট স্থানে এবং সময়ে ঘটে যাওয়া কোনো কার্যক্রম।
      • মনুষ্য কার্যকলাপ (act, human action, human activity) : মানুষ করে বা মানুষের কারণে সংঘটিত হয়, এমন কার্যকলাপ
        • যোগাযোগ (communication, communicating): মানুষের কার্যকলাপের ভিতর দিয়ে এই যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে তোলা হয়।
যোগাযোগ হতে পারে দুই ভাবে। এর একটি সবার সাথে উন্মক্ত যোগাযোগ। যেমন

আবার যখন কোনো যোগাযোগের ঘটনা ঘটে, তখন এর মাধ্যমকে বিবেচনায় জরুরি হয়ে পড়ে। যখন দুটি মানুষ পরস্পরের সাথে কথা বলে, তখন তা আন্তঃযোগাযোগ ঘটে। কিন্তু এর মাধ্যম হিসেবে থাকে ভাষা। ক্ষেত্রে বিশেষে এই ভাষার ব্যবহার হতে পারে মৌখিক, সাংকেতিক, চিঠি, দৃশ্য ইত্যাদি। মাধ্যমের বিচারে যোগাযোগের ঊর্ধক্রমবাচকতা হবে-   

ঊর্ধ্বক্রমবাচকতা {| বিমূর্তন | বিমূর্ত সত্তা | সত্তা | }

এই বিচারে যোগাযোগকে নিম্নোক্ত ভাগে ভাগ করা যায়।