১. যান্ত্রিক যোগাযোগ: স্বয়ংক্রিয়ভাবে যন্ত্রসমূহের ভিতরে এই যোগাযোগ ঘটতে পারে। মানুষ নিজেদের ভিতরে এই যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে তোলে। যেমন- স্যাটেলাইট থেকে স্যাটেলাইটে যোগাযোগ।(mass-communication) যখন বহুমানুষের সাথে অবাধে যোগাযোগ স্থাপন করা হয়। যেমন- জনসভায় রাজনৈতিক নেতার বক্তব্য, সর্ব সাধারণের জন্য প্রচারিত রাষ্ট্রীয় প্রজ্ঞাপন ইত্যাদি।
২. কর্ম যোগাযোগ: মানুষ নিজের প্রয়োজনে বড় পরিসরে কর্মক্ষেত্রে এই ধরনের যোগাযোগ রক্ষা করে। এক্ষেত্রে মানুষের চেয়ে বড় করে দেখা হয়, কর্মক্ষেত্রকে। যেমন- অফিসের সাথে যোগাযোগ। এই জাতীয় যোগাযোগের সাথে থাকে মনস্তাত্ত্বিক ঘটনার গভীর সম্পর্ক। যেমন-যোগাযোগ হতে পারে দুই ভাবে। এর একটি সবার সাথে উন্মক্ত যোগাযোগ। যেমন
- মনস্তাত্ত্বিক ঘটনা (psychological feature) :জীবের মনোজগতের ঘটনা।
- কার্যক্রম (event) : একটি সুনির্দিষ্ট স্থানে এবং সময়ে ঘটে যাওয়া কোনো কার্যক্রম।
- মনুষ্য কার্যকলাপ (act, human action, human activity) : মানুষ করে বা মানুষের কারণে সংঘটিত হয়, এমন কার্যকলাপ
- যোগাযোগ (communication, communicating): মানুষের কার্যকলাপের ভিতর দিয়ে এই যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে তোলা হয়।
- আন্তঃযোগাযোগ( intercommunication)। বহু মানুষ বা ব্যাক্তির পারস্পরিক সম্মতিতে নিজেদের মধ্যে গড়ে উঠা যোগাযোগ।
- গণ-যোগাযোগ
আবার যখন কোনো যোগাযোগের ঘটনা ঘটে, তখন এর মাধ্যমকে বিবেচনায় জরুরি হয়ে পড়ে। যখন দুটি মানুষ পরস্পরের সাথে কথা বলে, তখন তা আন্তঃযোগাযোগ ঘটে। কিন্তু এর মাধ্যম হিসেবে থাকে ভাষা। ক্ষেত্রে বিশেষে এই ভাষার ব্যবহার হতে পারে মৌখিক, সাংকেতিক, চিঠি, দৃশ্য ইত্যাদি। মাধ্যমের বিচারে যোগাযোগের ঊর্ধক্রমবাচকতা হবে-
ঊর্ধ্বক্রমবাচকতা {| বিমূর্তন | বিমূর্ত সত্তা | সত্তা | }এই বিচারে যোগাযোগকে নিম্নোক্ত ভাগে ভাগ করা যায়।