খ্রিষ্টীয় ত্রয়োদশ শতাব্দীতে সঙ্গীতরত্নাকরে সেকালের প্রচলিত রাগগুলোকে- উপরাগ, রাগ, ভাষা, বিভাষা, অন্তর্ভাষা
নামে বিশেষভাবে শ্রেণিভুক্ত করেছিলেন। এর ভিতরে ২৮টি রাগকে রাগ ও উপরাগে
অন্তর্ভুক্ত করেছিলেন। এই দুটি ভাগের রাগগুলো হলো-
- উপরাগ (৮টি): শকতিলক, টক্কসৈন্ধব, কোকিলাপঞ্চম, রেনগুপ্ত, পঞ্চমষাড়ব,
ভাবনাপঞ্চম, নাগগান্ধার ও নাগপঞ্চম
- রাগ (২০টি): শ্রীরাগ, নট্ট, বঙ্গাল (২টি), ভাস, মধ্যমষাড়ব, রক্তহংস, কোল্হহাস,
প্রসব, ভৈরব, ধ্বনি, মেঘরাগ, সোমরাগ, কামোদ (২টি), আম্রপঞ্চম, কন্দর্প, দেশ,
কৈশিকককুভ ও নট্টনারায়ণ
সঙ্গীতরত্নাকরে যাষ্টিকে উদ্ধৃতিতে ১৫টি ভাষারাগের উল্লেখ করেছেন। এই গ্রন্থে সৌবীর, ককুভ.
টক্ক, পঞ্চম, ভিন্নপঞ্চম, টক্ককৈশিক, হিন্দোল, বোট্ট, মালবকৈশিক, গান্ধারপঞ্চম,
ভিন্নষড়্জ, বেসরষাড়ব, মালবপঞ্চম, তান ও পঞ্চমষাড়ব। এই ১৫টি ভাষারাগকে বলা হয়েছে-
ভাষাগীতের জনকরাগ। নামের বিচারে বৃহদ্দেশীতে উল্লিখিত ভাষারাগের সাথে
সঙ্গীতরত্নকরে প্রভেদ লক্ষ্য করা যায়।
- ভাষাজনক রাগ
- সৌবীর (৪টি): সৌবীরী, বেগমধ্যমা. সাধারিতা ও গান্ধারী
- ককুভ (৬টি): ভিন্নপঞ্চমী. কাম্ভোজী, মধ্যমগ্রামা, রগন্তী, মধুরী ও
শকমিশ্রা
- বিভাষা (৩টি): ভোগবর্ধনী, আভীরিক ও মধুকরী
- অন্তরভাষা (১ট)
- টক্কা (২১টি): শ্রবণা, শ্রবণোদ্ভবা, বৈরঞ্জী, মধ্যমগ্রামদেহা,
মালববেসরী, ছেবাটী, সৈন্দবী, জোলাঝলা, পঞ্চমললিতা, সৌরাষ্ট্রী, পঞ্চমী,
বেগরঞ্জনী, গান্ধারপঞ্চমী, মালবী, তানবলিতা, ললিতা, রবিচন্দ্রিকা, ভানা,
অম্বাহেরিকা, দিহ্যা ও বেসরী
- বিভাষা (৩টি): দেবারবর্ধনী, আন্ধ্রী, গুর্জরী ও ভাবনী
- পঞ্চম (১০টি): কৈশিকী, ত্রাবণী, তানোদ্ভোবা, আভীরী, গুর্জরী,
সৈন্ধবী, দাক্ষিণাত্যা, আন্ধ্রী, মাঙ্গলী ও ভাবনী
- বিভাষা (২টি): ভাস্মানী ও আন্ধালিকা
- ভিন্নপঞ্চম (৪টি): ধৈবতভূষিতা, শুদ্ধভিন্ন, বারটী ও বিশালা
- প্রেঙ্খক বা হিন্দোল (৯টি): বেসরী, চূতমঞ্জরী, ষড়্জমধ্যমা. মাধুরী.
ভিন্নপৌরালী, গৌরী. মানবেসরী, ছেবাটি ও পিঞ্জরী
- বোট্টে (১টি): মাঙ্গলী
- মালবকৈশিক (১৩ট): বাঙ্গালী, মাঙ্গলী, হর্ষপুরী, মালববেসরী, খঞ্জনী,
গুর্জরী, গৌড়ী, পৌরালী, অর্ধবেসরী, শুদ্ধা, মালবরূপা, সৈন্ধবী ও আভীরিকা।
- বিভাষা (২টি): কাম্ভোজী ও দেবারবর্ধনী
- গান্ধারপঞ্চম (১টি): গান্ধারী
- ভিন্নষড়্জ (১৭টি): গান্ধারবল্লী, কচ্ছেলী, স্বরবল্লী, নিষাদিনী.
ত্রবণা. মধ্যমা. শুদ্ধা, দাক্ষিণ্যাত্যা. পুলিন্দষ্কা, তুম্বুরা, ষড়্জভাষা,
কালিন্দী, ললিতা, শ্রীকণ্ঠিকা, বাঙ্গালী, গান্ধারী, সৈন্ধবী
- বিভাষা (৪টি): পৌরালী ও মালবা, কালিঙ্গী ও দেবারবর্ধনী
- বেসরষাড়ব (২টি): নাদ্যা ও বাহ্যষাড়বা
- বিভাষা (২ট): পার্বতী ও শ্রীকণ্ঠী
- মালবপঞ্চম (৩টি): বেঘবতী, ভাবনী ও বিভাবনী
- তান (১টি): তানোদ্ভবা
- পঞ্চমষাড়ব (১টি): পোতা
- রেবাগুপ্ত (১টি) শকা।
- বিভাষা (১টি): পল্লবী
- অন্তরভাষা (৩টি): ভাসবলিতা, কিরণাবলী ও শকবলিতা