শার্দুল
খ্রিষ্টীয় দ্বিতীয় বা তৃতীয়
শতাব্দীর সঙ্গীতজ্ঞ।
প্রাচীন ভারতীয় সঙ্গীতের দুটি ভরত ও নারদ পন্থীদের মধ্যে শার্দুল
ছিলেন নার্দ সম্প্রদায়ের। শার্দুল এবং কোহলের প্রশ্নোত্তরের
মধ্য দিয়ে একটি গ্রন্থ রচিত হয়েছিল। এটি 'শার্দুল' বা 'ব্যাল কোহল' নামে পরিচিত। এই
গ্রন্থে শার্দুল সঙ্গীত বিষয়ে কোহলকে যে সকল প্রশ্ন করেছেন, তার উত্তর দিয়েছেন
কোহল। এর থেকে ধারণা করা যায়, খ্রিষ্টীয় শতাব্দীর
সঙ্গীতজ্ঞ ও নারদের পুত্র ও শিষ্য কোহল, শার্দুলে অগ্রজ ছিলেন।
নারদের মতই পাঁচটি শ্রুতির কথা বলেছেন। তবে এই পাঁচটি শ্রুতির
পাশাপাশি ২২টি শ্রুতিরও উল্লেখ করেছিলেন।
এছাড়া
খ্রিষ্টীয় ষষ্ঠ শতাব্দীতে মতঙ্গের রচিত বৃহদ্দেশী গ্রন্থে-
শর্দুলের উদ্ধৃতিতে কয়েকটি বিভাষা রাগের বর্ণনা
করেছেন। এগুলো হলো-
-
টক্ক ভাষারাগ: বিভাষা রাগ-
দেবালবর্ধনী,
পৌরালী,
ত্রাবণী,
তানবলিতিকা,
দোহ্যা,
শার্দূলী ও
অলঘ্বী
-
হিন্দোল ভাষারাগ: বিভাষা রাগ:
ভিন্নবলিতিকার, রবিচন্দ্রা, ভিন্নপৌরালী, দ্রাবিড়ী,পিঞ্জরী, পার্বতী
- মালবপঞ্চমী ভাষারাগ: বিভাষা রাগ: বিভাবনী, ভাবনী,
বেগবন্তী, পঞ্চমা, অন্ধ্রী, মধ্যমা, পার্বতী এবং গান্ধারিকা
- ভিন্নষড়্জ ভাষারাগ: বিভাষা রাগ: ত্রাবণী, ষড়্জভাষা,
মালব, গুর্জরী, বাহ্যষাড়ব, কৌসলী, গান্ধারী, স্বরবলিতা, ললিতা, নিষাদবতী,
তম্বুরু এবং গান্ধারললিতা
তথ্যসূত্র:
- বৃহদ্দেশী। মতঙ্গ। সম্পাদনা রাজ্যেশ্বর মিত্র। সংস্কৃত পুস্তক ভাণ্ডার।
১৯৯২। অধ্যায়: রাগ।