ত্রাবণী
প্রাচীন ভারতীয় সঙ্গীত পদ্ধতিতে রাগ বিশেষ। খ্রিষ্টীয় তৃতীয় শতাব্দীর দিকে এই রাগটি ত্রাপণী বা ত্রাবণী দেশ থেকে আহরিত হয়েছিল। তবে এই দেশটি বর্তমান ভারতবর্ষের কোন অঞ্চলকে বুঝাতো তা জানা যায় না।

প্রাচীন গ্রন্থাদি অনুসরণে এর তিনটি পরিচিতি পাওয়া যায়। এগুলো হলো-

খ্রিষ্টীয় দ্বিতীয়-তৃতীয় শতাব্দীতে ভরতের পুত্র ও শিষ্য শার্দুল এই রাগকে টক্ক ভাষারাগের বিভাষা রাগ হিসেবে উল্লেখ করেছিলেন। এর অংশ স্বর ধৈবত এবং ন্যাসস্বর।

বৃহদ্দেশীতে বর্ণিত শার্দুল মতে ত্রাবণী বিভাষা রাগের পরিচিতি

গ্রামরাগ: টক্ক
রাগ প্রকৃতি: বিভাষা
আরোহণ : স, গ, ম, ধ, কাকলী নিষাদ, র্সা
আরোহণ: র্সা, কাকলী নিষাদ, ধ, ম, গ, স
জাতি: ঔড়ব- ঔড়ব [পঞ্চম ও ঋষভ বর্জিত]
অংশস্বর: ধৈবত
ন্যাস স্বর: ষড়্‌জ
বৃহদ্দেশীতে বর্ণিত আক্ষিপ্তিকা  নিচে তুলে ধরা হলো।
ধা মা গা ধা মা গা মা মা গা ধা নী সা সা গা গা মাা
ধা মা গা সা সা মা গা সা গা মা মা মা ধা মা গা সা সা সা।
                                                   ত্রাবণী

খ্রিষ্টীয় চতুর্থ পঞ্চম শতাব্দীতে যাষ্টিক মতে এই রাগটি ছিল পঞ্চম গ্রামরাগের ১০টি ভাষা রাগের একটি ছিল ত্রাবণী।  বৃহদ্দেশী ও সঙ্গীত রত্নকরের মতে এই রাগের পরিচয় তুলে ধরা হলো-

গ্রামরাগ: পঞ্চম
রাগ প্রকৃতি: ভাষারাগ
অংশস্বর: ধৈবত (ষড়্‌জ সঙ্গীতরত্নাকরের মতে)
ন্যাস স্বর: পঞ্চম

এই রাগের পঞ্চম এবং ঋষভ দুর্বল। এই রাগে দ্বিশ্রুতিক গান্ধার ও নিষাদের মধ্যে স্বর-সঞ্চার ঘটে থাকে। সঙ্গীত রত্নাকরের মতে এতে ষড়্‌ জ, পঞ্চম ও মধ্যমের বহুল প্রয়োগ দেখা যায়।  বৃহদ্দেশী থেকে এর স্বরালাপের নমুনা নিচে দেওয়া হলো।


তথ্যসূত্র::