খ্রিষ্টীয় দ্বিতীয়-তৃতীয় শতাব্দীতে ভরতের পুত্র ও শিষ্য শার্দুল এই রাগকে
টক্ক ভাষারাগের
বিভাষা রাগ হিসেবে উল্লেখ করেছিলেন।
খ্রিষ্টীয় ষষ্ঠ শতাব্দীতে মতঙ্গের রচিত বৃহদ্দেশী গ্রন্থে-
শর্দুলের উদ্ধৃতিতে এই রাগের বিবরণ যুক্ত করেছিলেন। খ্রিষ্টীয় ত্রয়োদশ শতাব্দীতে
শার্ঙ্গদেব তাঁর রচিত সঙ্গীতরত্নাকরে এই রাগটিকে টক্ক রাগের চারটি বিভাষা রাগের
মধ্যে এই রাগটিকে অন্তর্ভুক্ত করেছিলেন।
বৃহদ্দেশী গ্রন্থানুসারে দেবলবর্ধনী রাগের পরিচিতি
গ্রামরাগ:
টক্ক
রাগ প্রকৃতি:
বিভাষা রাগ
জাতি: সম্পূর্ণ-সম্পূর্ণ
[টক্ক রাগ থেকে উৎপন্ন বলে ধারণা করা হয়- এই রাগে অন্তর গান্ধার ও কাকলী নিষাদ ব্যবহৃত হয়।
গান্ধার অল্প ব্যবহৃত হয়]
অংশস্বর:
পঞ্চম
ন্যাস স্বর: ষড়্জ
বৃহদ্দেশীর থেকে প্রস্তারের উদহারণ
পা পা নী সা সা নী সা রী রী ধা পা পা
মা মা মা মা
ধা সা সা সা নী সা রী রী রী নিধ মা গা
পা ধা সা সা নী ধা নী সা।
॥ দেবালবর্ধনী ॥
তথ্যসূত্র:
- বৃহদ্দেশী। মতঙ্গ। সম্পাদনা রাজ্যেশ্বর মিত্র।
সংস্কৃত পুস্তক ভাণ্ডার। ১৯৯২। অধ্যায়: রাগ।
পৃষ্ঠা: ১৯৪-১৯৫
- সঙ্গীতরত্নাকর। শারঙ্গদেব। সুরেশচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়
অনূদিত। রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়। দ্বিতীয় প্রকাশ ১৪০৮