সৈন্ধবী
প্রাচীন ভারতীয় সঙ্গীত পদ্ধতিতে ভাষা রাগ বিশেষ। খ্রিষ্টীয় ষষ্ঠ শতাব্দীতে মতঙ্গের রচিত বৃহদ্দেশী গ্রন্থে বর্ণিত টক্ক রাগের অন্তর্গত ১৬টি ভাষা রাগের একটি। সিন্ধু দেশের দেশী রাগ হিসেবে এর নামকরণ করা হয়েছিল- সৈন্ধবী। এই রাগের ষড়্জ-ধৈবত, গান্ধার-মধ্যম  এবং উভয় স্বরই গমকযুক্ত হয়  তবে এদের ভিতরে ধৈবতের ব্যবহার প্রাধান্য পায়।

সঙ্গীতরত্নকরের মতে- সৈন্ধবী চার প্রকার। এগুলো হলো- টক্কভাষা জাত, পঞ্চম ভাষাজাত. মালকৈশিক-জাত এবং ভিন্নষড়্জ-জাত। নিচে এই সৈন্ধবীগুলো সম্পর্কে আলোকপাত করা হলো।

টক্ক-জাত সৈন্ধবী রাগের পরিচিতি

গ্রাম: ষড়্‌জ গ্রাম
গ্রামরাগ: টক্ক
রাগ প্রকৃতি: ভাষা (গীত)
আরোহণ : স, র, অন্তর গান্ধার, ম, প, ধ, কাকলী নিষাদ, র্সা
আরোহণ: র্সা, কাকলী নিষাদ, ধ, প, ম, অন্তর গান্ধার, র, স
জাতি: সম্পূর্ণ-সম্পূর্ণ
অংশস্বর: মধ্যম
ন্যাস স্বর: ষড়্‌জ

টক্ক-জাত সৈন্ধবী রাগের আক্ষিপ্তিকা। বৃহদ্দেশী

পঞ্চম-জাত সৈন্ধবী রাগের পরিচিতি:

দক্ষিণ ভারতীয় সঙ্গীত পদ্ধতির খরহরপ্রিয়া মেলের অন্তর্গত রাগ বিশেষ।

আরোহণ : ণ্ ধ্ ণ্ স স র জ্ঞ ম
অবরোহণ: প ম জ্ঞ র স ণ্ ধ্ ণ্ স
জাতি: ষাড়ব-সম্পূর্ণ। (আরোহণে পঞ্চম বর্জিত)

তথ্যসূত্র: