গুর্জরী রাগ
ভারতীয় সঙ্গীত পদ্ধতিতে একটি রাগ। সমতুল্য নাম গুজ্জরী, গুঞ্জরী।

দক্ষিণ ভারতীয় পদ্ধতিতে মায়ামালবগৌড় বা মায়ামালবগৌল মেলের অন্তর্গত রাগ বিশেষ। দক্ষিণভারতীয় পদ্ধতিতে এর স্বরগুলোও হলো- আরোহ-অবরোহ হলো স র গু ম প ধ নু র্স- স ধ নু প ম গু র স।

উত্তর ভারতীয় পদ্ধতিতে এর সমতুল্য মায়ামালবগৌড় -এর সমতুল্য ঠাট ভৈরব। উত্তর ভারতীয় পদ্ধতিতে এই রাগের আরোহ-অবরোহ- স ঋ গ ম প দ ন র্স- স দ ন প ম গ ঋ স।

রাগ পরিচিতি

আরোহণ: স জ্ঞ ম প দ ন র্স
অবরোহণ: র্স ন দ প ম জ্ঞ ঋ স
ঠাট: ভৈরবী
জাতি: ষাড়ব-সম্পূর্ণ
বাদীস্বর:দ
সমবাদী স্বর:জ্ঞ
অঙ্গ: পূর্বাঙ্গ।
সময়:দিবা দ্বিতীয় প্রহর

বর্তমানে উত্তর ভারতে শুধু গুর্জরী নামে কোনো রাগের প্রচলন নেই। বাংলা গানে এই রাগ প্রথম ব্যবহৃত হয়েছিল চর্যাগীতি-তে। হরপ্রসাদ শাস্ত্রী-কর্তৃক উদ্ধারকৃত গ্রন্থে এই রাগের গান সংখ্যা। এই রাগে নিবদ্ধ গানের সংখ্যাসংখ্যা ৪টি। এই গানগুলো হলো-

  1. ভবণই গহণ গম্ভীর বেগেঁ বাহী [তথ্য] [পদ সংখ্যা ৫]
  2. আপণে রচি রচি ভব নির্ব্বাণা [তথ্য] [পদ সংখ্যা ২২]
  3. আই এ অণু অনা এ জগ রে ভাংতিএঁ সো পড়িহাই [তথ্য]   [পদ সংখ্যা ৪১] এই পদে রাগের নাম উল্লেখ আছে -কাহ্ণু গুংজরী (কহু গুজ্জরী)
  4. কমল কুলিশ মাঝেঁ ভইঅ মইলী  [তথ্য] [পদ সংখ্যা ৪৭]

প্রাচীন ভারতীয় প্রবন্ধগানর সলাগসূড় ধারার উৎপন্ন ধ্রুব গান এবং ধ্রুবা গান-এ এই রাগের ব্যবহার ছিল। সুলতান আলাউদ্দীন খিলজি রাজত্বকালে (১২৯৬-১৩১৬ খ্রিষ্টাব্দ), বৈজু বাওরাগোপাল নায়ক এই রাগে ধ্রুপদ রচনা করেছিলেন। এঁদের রচিত ভৈরবী রাগে নিবদ্ধ ধ্রুপদের নমুনা পাওয়া যায়। পরবর্তী সময়ে গুর্জরী রাগে নিবদ্ধ গান রচনা করেছিলেন- তানসেন

বৈজুবাওরা রচিত ধ্রুপদ

তানসেনের রচিত ধ্রুপদ


তথ্যসূত্র: