ভারতীয় শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের অন্যতম সঙ্গীতজ্ঞ, সঙ্গীত রচয়িতা,
শিল্পী।
বৈজু বাওরার জন্ম ও মৃত্যকাল সম্পর্কে সুনির্দিষ্টভাবে জানা যায় না। এছাড়া পিতামাতা,
সঙ্গীতগুরু পরিবার সম্পর্কে কিছু জানা যায় না। বিভিন্ন গ্রন্থসূত্রের বিচারে জানা যায়, তিনি সুলতানআলাউদ্দীন
খিলজির রাজদরবারের (রাজত্বকাল:
১২৯৬-১৩১৬ খ্রিষ্টাব্দ) তিন জন্য অন্যতম সঙ্গীতসাধক স্থান পেয়েছিলেন। এঁরা হলেন
আমির খসরু,
গোপাল নায়ক এবং বৈজু
বাওরা।
তাঁর মূল নাম বৈজু। হিন্দি ভাষায় বাওরা অর্থ হলো পাগল বা পাগলা।
বৈজু ছিলেন মূলত যোগীপুরুষ এবং সঙ্গীত সাধক। তাঁর সাধনার জন্য একটি আশ্রম ছিল বটে,
কিন্তু বেশির ভাগ সময়ে ভবঘুরের মতো ঘুরে বেড়াতেন। সাধারণ মানুষের কাছে তাঁর আচরণ
ছিল ছন্নছাড়া, সংসার বিবাগী পাগলা। সেই থেকে তাঁর নাম হয়েছিল বৈজু বাওরা।
বৈজু বাওরার গান শুনে সুলতান মুগ্ধ হয়েছিলেন এবং তাঁকে তাঁর দরবারের স্থায়ীগায়ক হয়ে
থাকার অনুরোধ করেছিলেন। সেই অনুরোধে তিনি মাঝে মাঝে মধ্যে সুলতানের দরবারে আসতেন।
কিছুদিন গান-বাজনা করার পর, তিনি অন্য কোথাও চলে যেতেন। বিভিন্ন গ্রন্থাদি অনুসরণে
জানা যায়- সুলতান আলাউদ্দীনের রাজত্বকালে (১২৯৬-১৩১৬ খ্রিষ্টাব্দ) সুলতানের রাজদরবারে
গোপাল নায়ক,
ও
বৈজু বাওরা
সালগসূড়ের ধ্রুবা গান পরিবেশন করতেন। অনেকের মতে এই ধ্রুবাগানকে
বৈজু বাওরা
ধ্রুপদে পরিণত করেছিল। বলাই বাহুল্য একে ধ্রুপদের আদি রূপ হিসেবে গণ্য করা যায়।
বৈজু বাওরার রচিত ধ্রুপদের যে সকল নমুনা পাওয়া যায়। তাতে তাল ব্যবহার করা হয়-
তেওরা,
বৈজু বাওরার রচিত গানের তালিকা