কুকুভ
উত্তর ভারতীয় সঙ্গীত শাস্ত্রে বর্ণিত বিলাবল ঠাটের রাগ বিশেষ।

খ্রিষ্টীয় যাষ্টিক এই রাগের প্রথম উল্লেখ পাওয়া যায়, খ্রিষ্টীয় ষষ্ঠ শতাব্দীতে রচিত মতঙ্গের রচিত 'বৃহদ্দেশী' গ্রন্থে। যাষ্টিক একে গ্রামরাগ হিসেবে উল্লেখ করেছিলেন। 
এই গ্রামরাগের অধীনস্থ ভাষা রাগ ছিল ৭টি। এগুলো হলো- কাম্বোজা, মধ্যমগ্রামিকা, সালবাহনিকা, ভাবর্ধনী, মুহরী, শকমিশ্রিতা ও ভিন্নপঞ্চমী।

শার্ঙ্গদেবের রচিত সঙ্গীতরত্নকারও মতে এই রাগটি ককুভ গ্রামরাগ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।

পণ্ডিত বিষ্ণু নারয়ণ ভাতখণ্ডে (১৮৬০-১৯৩৩ খ্রিষ্টাব্দ) এই রাগটিকে বিলাবলের ঠাটের অন্তর্ভুক্ত করেন। বর্তমানে উত্তর ভারতীয় সঙ্গীত পদ্ধতিতে ভাতখণ্ডেজির রাগবিধি অনুসৃত হয়ে  থাকে। তাঁর রচিত 'হিন্দুস্থানী সঙ্গীত পদ্ধতি' গ্রন্থে এই রাগ সম্পর্কে বলা হয়েছে-

'কুকুভ রাগ বিলাবল ঠাঠ থেকেই উদ্ভূত হয়। প্রভাতেই এ-রাগ গাওয়া হয়। বাদী স্বর মধ্যম এবং সম্বাদী ষড়্‌জ। বিলাবলের মতো এখানে সম্পূর্ণ আরোহ দেখতে সুন্দর লাগে। বিলাবলের মতো এখানেও দুটি নিষাদের প্রয়োগ হয়। 'সা-প' এবং 'সা-ম' স্বর-সঙ্গতি মাহাত্ম্যপূর্ণ। কিছু লোক অল্‌হৈয়া ও ঝিঁঝিট যোগ করে গান আর কিছু লোক জৈজৈওয়ন্তী ও অল্‌হৈয়া-র মিশ্রণে এই রাগ গেয়ে থাকেন।'

বর্তমানে প্রচলিত কুকুভ রাগের পরিচিত

আরোহণ:  স র গ ম প ধ ন র্স      
অবরোহণ: র্স ণ ধ প ম গ র স
ঠাট: বিলাবল
জাতি: সম্পূর্ণ-সম্পূর্ণ
বাদীস্বর: মধ্যম
সমবাদী স্বর: ষড়্জ
অঙ্গ: পূর্বাঙ্গ।
সময়: দিবা প্রথম প্রহরের সূচনালগ্নে (প্রাতঃকাল)
পকড়: সগ, ম, ণ ধ প, মপ, গম, স, গম, ধণর্স, র্সধণপ, র্সধণপ, ধম, গ, স, গ, ম

সূত্র: