দাক্ষিণাত্যা
ভারতীয় সঙ্গীত পদ্ধতিতে একটি বিভাষা রাগ

বৃহদ্দেশীতে [পৃষ্ঠা: ১৯২-১৯৩] যাষ্টিকের উদ্ধৃতিতে পঞ্চমের এবং ভিন্নষড়্‌জ গ্রাম রাগের ভাষা রাগ হিসেবে উল্লেখ আছে
। কিন্তু দাক্ষিণ্যাতা রাগের রাগ-বিবরণী অংশে [পৃষ্ঠা: ২২১, ২২৫] একে বলা হয়েছে-  পঞ্চম এবং ভিন্নষড়্‌জ -এর এর বিভাষা রাগ

পঞ্চমের বিভাষা রাগ
বৃহদ্দেশীতে এই রাগ-বিষয়ক শ্লোকটি সম্পূর্ণ পাওয়া যায় নি। রামকৃষ্ণ কবি ভারতকোষে এই রাগটিকে ভাষা রাগ বলা হয়েছে। এই রাগটি মধ্যমগ্রাম হওয়ার কারণে এর পঞ্চম থেকে সপ্তম পর্যান্ত উঁচু স্বর হবে।
এটি দেশাখ্য পর্যায়ের রাগ। কারণ এই রাগ গৃহীখত হয়েছিল ভারতের দাক্ষিণ্যাত্য থেকে।
গ্রাম: ষড়্‌জ গ্রাম
রাগ: পঞ্চম
রাগ-প্রকৃতি: বিভাষা রাগ
আরোহণ: স, র, অন্তর গান্ধার, ম, প, ধ, কাকলী নিষাদ, র্সা
আরোহণ: র্সা, কাকলী নিষাদ, ধ, প, ম, অন্তর গান্ধার, র, স
জাতি: সম্পূর্ণ-সম্পূর্ণ।
অংশস্বর: পঞ্চম
ন্যাস স্বর: পঞ্চম
শার্ঙ্গদেবের রচিত সঙ্গীতরত্নাকরে এই রাগের পঞ্চমকে গ্রহ, অংশস্বর ও ন্যাস স্বর বলা হয়েছে। বৃহদ্দেশীতে বর্ণিত আক্ষিপ্তিকা হলো-

ভিন্নষড়্‌জ-এর বিভাষা রাগ
এই রাগে ষড়্‌জ ধৈবত  ও ঋষভ মধ্যমের মধ্যে স্বরসঙ্গতি হয়। এটি দেশাখ্য রাগ। এই রাগের পঞ্চম দুর্বল। এর বিলোপ হলে- ষাড়বে পরিণত হয়

গ্রাম: ষড়্‌জ গ্রাম
গ্রামরাগ: ভিন্নষড়্‌জ
রাগ প্রকৃতি:  বিভাষা রাগ
জাতি: সম্পূর্ণ -সম্পূর্ণ [পঞ্চম দুর্বল, এই স্বর বর্জিত হলে, ষাড়ব জাতির হয়]
অংশস্বর: ধৈবত
ন্যাস স্বর: ধৈবত

বৃহদ্দেশী থেকে রাগটির আক্ষিপ্তিকা দেওয়া হলো-



তথ্যসূত্র: