মাঙ্গলী
ভারতীয় সঙ্গীতশাস্ত্রের একটি
রাগ বিশেষ। খ্রিষ্টীয় চতুর্থ পঞ্চম শতাব্দীতে যাষ্টিকের মতে এই রাগটিকে
পঞ্চম
ও মালবকৈশিক
গ্রাম রাগের দুটি স্বতন্ত্র ভাষারাগ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।
বৃহদ্দেশী গ্রন্থে যাষ্টিকের মত অনুসারে বিবরণ লিপিবদ্ধ করা
হয়েছে।
তাঁর পূর্ববর্তী সঙ্গীতজ্ঞদের উদ্ধৃতিতে
এই রাগের বিবরণ পাওয়া যায়।
এই রাগটিকে সঙ্কীর্ণজাতীয় রাগ। এই রাগটিকে বলা হয়েছে- বিদেশজাত
বৃহদ্দেশী ও সঙ্গীত
রত্নাকরের মতানুসারে এই রাগের পরিচয় তুলে ধরা হলো-
গ্রামরাগ: মধ্যম
গ্রামরাগ:
পঞ্চম
রাগ প্রকৃতি:
ভাষারাগ
জাতি: সম্পূর্ণ -সম্পূর্ণ
অংশস্বর:
ধৈবত
ন্যাস স্বর:
পঞ্চম
এই রাগে ষড়্জ, ধৈবত এবং ধৈবত, ঋষভ স্বদ্বয়ে সম্বাদ হয়। এই রাগে নিষাদের বহুল প্রয়োগ ছিল। এই রাগে স্বরসঙ্গতি ঘটে ষড়্জ
ও ধৈবতের মধ্যে। বৃহদ্দেশী থেকে এই রাগের উদাহরণ দেওয়া হলো।

তথ্যসূত্র:
- বৃহদ্দেশী। মতঙ্গ। সম্পাদনা রাজ্যেশ্বর মিত্র। সংস্কৃত পুস্তক ভাণ্ডার।
১৯৯২। পৃষ্ঠা: ২০৮
- রাগ অভিধান। নিত্যান্ন্দ কর্মকার। প্রগ্রেসিভ
পাবলিসার্স। ফেব্রুয়ারি ২০০৭। পৃষ্ঠা ১৮, ২৫।
- সঙ্গীতশাস্ত্র তৃতীয় খণ্ড। ইন্দুভূষণ রায়। আদিনাথ ব্রাদার্স। কলকাতা।
জানুয়ারি ২০১৮। পৃষ্ঠা ২৩১