উত্তর ভারতীয় রাগসঙ্গীতে এটি একটি ঠাট।
অপর নাম- মারোয়া। প্রাচীন সঙ্গীত শাস্ত্রে এর সমতূল্য মেলের নাম ছিল- 'গমন শ্রম'।
এই মেলের রাগসমূহ পরিবেশন অত্যন্ত কঠিন হওয়ায়, এর এরূপ নামকরণ করা হয়েছিল।
এর কাঠামো- স ঋ গ হ্ম ধ ন র্স।
পূরবী ঠাটের সাথে এর মিল সবচেয়ে বেশী। উল্লেখ্য, মারোয়া ঠাটের ধৈবতকে কোমল করলে
পূরবী ঠাট পাওয়া যায়।
এই ঠাটের প্রধান রাগের সংখ্যা ১২টি। দিবারাত্রির বিচারে এই রাগগুলো ২টি ভাগে ভাগ করা যায়। যেমন-
- রাত্রির রাগ:
পূরিয়া, মারোয়া, জয়ত, গৌরী, সাজগিরি ও বরারী
- দিনের রাগ: ললিত,
পঞ্চম, ভাটিয়ারি, বিভাস, ভাস্কর ও সোহিনী।
এছাড়া রয়েছে মিশ্র-প্রকৃতির রাগ। যেমন-
পুরিয়া কল্যাণ। শুদ্ধ ও মিশ্র প্রকৃতির রাগ মিলিয়ে
এই ঠাটে যে সকল রাগ পাওয়া যায়, সেগুলো- হলো-
তথ্যসূত্র:
-
রাগ বিন্যাস (প্রথম কলি)। শ্রীশচীন্দ্র নাথ ভট্টাচার্য্য। এস, চন্দ্র এন্ড
কোং। শারদীয়া সপ্তমী, সেপ্টেম্বর ১৯৭৬।
-
মারিফুন্নাগমাত। রাজা নওয়াব আলী খান। অনুবাদ মকসুদুর রহমান হিলালী। বাঙলা
একাডেমী বর্ধমান হাউস। ঢাকা।