আশাবরী ঠাট
উত্তর ভারতীয় ভারতীয় সঙ্গীত শাস্ত্রে বর্ণিত ঠাট। প্রাচীনকালে এই মেলের নাম ছিল নটভৈরবী। তখন এর স্বরগুলো ছিল- স র জ্ঞ ম প দ ণ র্স। পরবর্তী সময়ে এই এর নামকরণ করা হয়েছিল ভৈরবী।

কালক্রমে এই ভৈরবী ঠাটে শুদ্ধ ঋষভের পরিবর্তে কোমল ঋষভের প্রয়োগ শুরু হয়েছিল। তখন এর রূপ দাঁড়িয়েছিল
জ্ঞ ম প দ ণ র্স। এই বিশেষ রূপটি কালক্রমে ভৈরবী নামে পরিচিতি লাভ করে। পক্ষান্তরে আদি ভৈরবী ঠাটের স্বরগুলো নিয়ে (স র জ্ঞ ম প দ ণ র্স) সৃষ্ট ঠাটটি আশাবরী নামে ঠাট তালিকায় যুক্ত হয় ।

কাজী নজরুল ইসলাম বেতারে ১৯৩৯ খ্রিষ্টাব্দের ২৮ ডিসেম্বর ১৯৩৯ (বৃহস্পতিবার ১২ পৌষ ১৩৪৬) মেল-মেলন নামে ঠাট-ভিত্তিক একটি অনুষ্ঠান পরিচালনা করেছিলেন। এই অনুষ্ঠানের প্রথম আলোচ্য ঠাট ছিল আশাবরী। নজরুলের পাণ্ডুলিপিতে আশাবরী ঠাট ও রাগের যে বর্ণনা দিয়েছেন, তা হলো-

প্রাচীন সঙ্গীতগ্রন্থে যাহা নটভৈরবী মেল নামে খ্যাত তাহাকেই আজকাল আশাবরী ঠাট বলা হইয়া থাকে। ইহার সুর:- ষড়্‌জ, তীব্র রেখাব, কোমল গান্ধার, শুদ্ধ মধ্যম, পঞ্চম, কোমল ধৈবত, কোমল নিখাদ। লোক-কান্ত আশাবরী রাগিণীর নামানুসারে ইহার নামকরণ করা হইয়াছে। প্রাচীন গ্রন্থে ইহার নাম 'ভৈরবী মেল' এই জন্য লিখিত আছে যে পূর্ব্বে  ভৈরবীর রেখাব তীব্র ছিল এখন চলতি রীতি অনুসারে ভৈরবীর রেখাব কোমল। তাই ইহার বর্তমান নাম আশাবরী ঠাট রাখা হইয়াছে। ইহার অন্তর্গত রাগ রাগিণীতে আশাবরী অঙ্গপ্রধান।
 

আশাবরী ঠাটের আরোহণ-অবরোহণ: স র জ্ঞ ম প দ ণ র্স- র্স ণ দ প ম জ্ঞ র স

  1. অঞ্জনী টোড়ি
  2. আড়ানা
  3. আশাবর
  4. কৌশিকী কানাড়া
  5. খট
  6. জৌনপুরী
  7. জিলফ
  8. দরবারী-কানাড়া
  9. দেশী
  10. শ্যামকোষ, রাগ
  11. সিন্ধু ভৈরবী

সূত্র :