যন্ত্রসঙ্গীত
যন্ত্রসঙ্গীত হলো সঙ্গীতের প্রধান তিনটি
ধারার একটি। এর মূল উপাদান বাদ্যযন্ত্র। যে সকল যন্ত্রের সাহয্যে
সঙ্গীতোপযোগী
শব্দ উৎপন্ন করা যায়, তার সাধারণ নাম হলো বাদ্যযন্ত্র।
বাদ্যযন্ত্রের সাহায্যে
সঙ্গীতোপযোগী
শব্দ দিয়ে ধ্বনির নান্দনিক চিত্র অঙ্কন করা হয়। এই চিত্র দেখার নয়‒
শোনার।
সঙ্গীতে ব্যবহৃত যন্ত্রের সাধারণ নাম
বাদ্যযন্ত্র। এই জাতীয় যন্ত্র ব্যবহৃত হয় একক বাদন বা কণ্ঠসঙ্গীত
বা নৃত্যের সহযোগী যন্ত্র হিসেব।
পরিবেশনের প্রকৃতি অনুসারে যন্ত্রসঙ্গীতকে দুটি
ভাগে ভাগ করা যায়। ভাগ দুটি হলো
একক বাদন : একটি বাদ্যযন্ত্র বাজিয়ে যখন কোনো সঙ্গীতকে উপস্থাপন করা হয়। পাশ্চাত্য সঙ্গীতে একটি বেহালা বা গীটার বা পিয়ানো দিয়ে এরূপ সঙ্গীত পরিবেশন দেখা যায়। কিন্তু ভারতীয় সঙ্গীতে প্রকৃষ্ঠ একক বাদন নেই বললেই চলে। ভারতীয় সঙ্গীতে সেতার, সরোদ, বেহালা ইত্যাদির সাথে সহযোগী তালরক্ষাকারী যন্ত্র থাকে। তবে এক্ষেত্রে একটি যন্ত্রকেই প্রাধান্য দেওয়া হয়। ভারতীয় একক সুরযন্ত্র বাদন পদ্ধতিতে সহযোগী হিসেবে তবলা বা পাখোয়াজ জাতীয় তালযন্ত্র বাজানো হয়, তখন সুরযন্ত্রের পাশাপাশি তালযন্ত্রে লহরা তুলে শ্রোতাকে মুগ্ধ করা হয়।
দুই বা ততোধিক বাদন : দুই বা তার বেশি যন্ত্র ব্যবহার করে সঙ্গীত উপস্থাপন করা হয়, এমনটাই সচরাচর চোখে পড়ে।
নির্মাণাধীন.......