বাংলা করতাল |
করতাল
ঊর্ধ্বক্রমবাচকতা
{
|
ঘন
বাদ্যযন্ত্র
|
ঘাত
বাদ্যযন্ত্র
|
সঙ্গীতযন্ত্র
|
যন্ত্র
|
ডিভাইস
|
যন্ত্রকরণতা
|
মানবসৃষ্টি |
সমগ্র |
দৈহিক লক্ষ্যবস্তু
|
দৈহিক সত্তা
|
সত্তা
|}
দুই করতলে ধরে বাজানো হয়। এই থেকে এর নামকরণ করা হয়েছে করতাল। দুই হাতের আঙুলের
সাথে এর রজ্জু পেঁচিয়ে পরস্পরের গায়ে আঘাত করে এই যন্ত্র বাজানো হয়।
ধাতু নির্মিত ঘন জাতীয় ঘাত বাদ্যযন্ত্র। এর আকার
মন্দিরা'র চেয়ে আকারে
ছোট। তালের লয় এবং ছন্দ রক্ষাকারী যন্ত্র হিসেবে ব্যবহৃত হয়। এর আওয়াজ বেশ তীব্র
এবং ততটা সুখশ্রাব্য নয়।
মণিপুরী করতাল |
ভারতীয় লোকগানে প্রাচীনকাল থেকে করতাল ব্যবহৃত হয়ে আসছে। তবে চৈতন্যদেবের আমল থেকে
করতাল কীর্তন গানে ব্যবহৃত হওয়া শুরু হয় ব্যাপকভাবে। বিশেষ করে পথ-কীর্তনে এই
যন্ত্রটি অপরিহার্য যন্ত্র হিসেবে বিবেচনা করা হয়। ভারতের প্রায় সকল লোকগানে
করতালের ব্যবহার আছে। তবে সকল করতালের গড়ন বাংলা করতালের মতো নয়। উড়িষ্যায়
দেবদাসীদের নৃত্যগীতের সময় করতালের ব্যবহার করা হতো।
মণিপুরী নৃত্যে করতাল ব্যবহৃত হয়। তবে ওই করতাল বাংলাদেশে ব্যবহৃত করতালের মতো নয়। মণিপুরী করতালের ধাতব অংশ কাঠের কাঠামোর ভিতরে আবদ্ধ থাকে। জোড়া হিসেবে দুই হাতে এই করতাল বাজানো হয়। মণিপুরী করতালের কাঠের দণ্ডের দুই মাথায় ধাতব পাত থাকে। আর আঙুল প্রবেশের জন্য আংটা থাকে। এই আংটার ভিতরে আঙুল ঢুকিয়ে দৃঢ়ভাবে আবদ্ধ করে ছন্দ রক্ষা করে বাজাতে হয়। পাশ্চাত্য ড্রাম সেটের সাথে করতাল যুক্ত থাকে।
সূত্র :
ভারতের নৃত্যকলা । গায়ত্রী বসু। নবপত্র প্রকাশন। নভেম্বর ১৯৮৯।