পুঙ
ঊর্ধ্বক্রমবাচকতা
{
|
আনদ্ধ
বাদ্যযন্ত্র
|
ঘাত
বাদ্যযন্ত্র
|
সঙ্গীতযন্ত্র
|
যন্ত্র
|
ডিভাইস
|
যন্ত্রকরণতা
|
মানবসৃষ্টি |
সমগ্র |
দৈহিক লক্ষ্যবস্তু
|
দৈহিক
সত্তা
|
সত্তা
|}
মণিপুরী নৃত্যে ব্যবহৃত আনদ্ধ
তালযন্ত্র বিশেষ।
এই যন্ত্রের দেহ কাঠামো কাঠের। এর উভয় বাদনোপযোগী অংশ প্রসারিত এবং প্রায় সমান। এর
দেহ কাঠামোর মধ্যভাগ খোলের মতো বেশি স্ফীত নয়। উভয় দিকের চামড়া আচ্ছাদিত অংশ চামড়ার
ফিতা দ্বারা আবদ্ধ থাকে। এর খিরন মাঝের প্রায় পুরো অংশ জুড়ে থাকে। ফলে ময়দান অংশ
বেশ সংকীর্ণ দেখায়।
এই বাদ্যযন্ত্রটি মণিপুরী নৃত্যে
প্রচুর ব্যবহৃত হয়। বিশেষ করে পুঙ চালোন নাচে এই যন্ত্রে উৎপাদিত তালধ্বনি মূখ্য
স্থান দখল করে থাকে।
নৃত্যাভিনয়ের সাথে এই বসে বা নেচে নেচে এই তালযন্ত্রটি বাজানো হয়। এই যন্ত্র
বাজানোর জন্য, বাদক আঙুল এবং হাতের তালু ব্যবহার করে থাকেন। উভয় হাতে ছন্দের
বোলবাণী অনুসারে চামড়াচ্ছাদিত অংশে আঘাত করে শব্দ উৎপন্ন করা হয়ে থাকে। বাজানোর
জন্য এতে কাঠি বা এই জাতীয় কোনো উপকরণ ব্যবহার করা হয় না।
সূত্র :
ভারতের নৃত্যকলা । গায়ত্রী বসু। নবপত্র প্রকাশন। নভেম্বর ১৯৮৯।