গৌড়পঞ্চম
প্রাচীন ভারতীয় সঙ্গীত শাস্ত্রে বর্ণিত
গৌড়িকা
গীতির অন্তর্ভুক্ত একটি গ্রামরাগ বিশেষ। এটি
ষড়্জ গ্রামের শুদ্ধা জাতির
ধৈবতী
ও ষড়্জগ্রামের বিকৃত জাতির
ষড়্জমধ্যমা থেকে উৎপন্ন হয়েছিল।
এক নজরে প্রাচীন ভারতের গৌড়পঞ্চমের পরিচয়
- গ্রাম: ষড়্জ
- গীতি: শুদ্ধ
জাতি
ধৈবতী
ও বিকৃতজাতির
ষড়্জমধ্যমা থেকে উদ্ভব হয়েছিল
- গ্রহস্বর: ধৈবত
- অংশস্বর: ধৈবত
- ন্যাসস্বর: মধ্যম
- জাতি: ষাড়ব-ষাড়ব [পঞ্চম
বর্জিত]
- অল্পত্ব: অন্তর
গান্ধার ও
কাকলী নিষাদ
- ব্যবহৃত বিকৃত স্বর:
অন্তর গান্ধার ও কাকলী নিষাদ
- অলঙ্কার:
প্রসন্নমধ্য বর্ণালঙ্কার
- রস: বীভৎস ও ভয়ানক
- তাল: চচ্চৎপুট
- মার্গ: চিত্রা,
বার্তিক ও দক্ষিণ
- প্রয়োগ: নাটকে
ব্যবহৃত ধ্রুবাগানে ব্যবহৃত হতো। উদ্ভটনাট্যে এবং বিপ্রলম্ভ শৃঙ্গারে ব্যবহার হতো
শারঙ্গদেবের রচিত
সঙ্গীতরত্নাকরে এর আক্ষিপ্তিকা দেওয়া আছে।
তথ্যসূত্র:
- বৃহদ্দেশী। মতঙ্গ। সম্পাদনা রাজ্যেশ্বর মিত্র। বিশ্বভারতী, কলকাতা। পৃষ্ঠা
১৫৮ - ১৫৯ ।
- সঙ্গীতরত্নাকর। শার্ঙ্গদেব। সুরেশচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়
অনূদিত। রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়। ২২ শ্রাবণ ১৪০৮।